
গাজা পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ‘শান্তি বোর্ড’ থেকে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে নীরবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে- এমন তথ্য জানিয়েছে ফিনান্সিয়াল টাইমস। এই সিদ্ধান্তকে ‘সঠিক দিকের অগ্রগতি’ হিসেবে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলন হামাস।
ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায়, ট্রাম্পের ২০ দফা উদ্যোগের অংশ হিসেবে ‘অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ’-এর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ব্লেয়ারকে রাখা নিয়ে আরব ও মুসলিম দেশগুলো তীব্র আপত্তি জানায়। পরবর্তীতে সেই চাপের মুখে তাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, তার নতুন পরিকল্পনার উদ্দেশ্য গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করে মানবিক সংকট নিরসন করা।
হামাস নিশ্চিত করেছে যে তারা মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি টনি ব্লেয়ারকে অপসারণের অনুরোধ জানিয়েছিল- কারণ, তাদের ভাষায় ব্লেয়ার “ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতি সুস্পষ্ট পক্ষপাতদুষ্ট।”
সংবাদমাধ্যম জানায়, বোর্ডে ব্লেয়ারই ছিলেন একমাত্র নাম, যাকে ট্রাম্প নিজে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিতে আগ্রহী ছিলেন। তাকে বোর্ডে রাখতে নানা ধরনের লবিং ও গোপন আলোচনাও চলছিল। তবে আঞ্চলিক আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত তাকে বাদ দেওয়া হয়।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাক আক্রমণে যুক্তরাজ্যকে জড়ানোয় মুসলিম বিশ্বজুড়ে ব্লেয়ার ব্যাপকভাবে সমালোচিত। একইসঙ্গে তিনি ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত হওয়ায় তার সম্পৃক্ততা ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।