পিআরের কারণে নেপালে কয়েকবছরে ১৪ বার ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে: ডা. জাহিদ
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:২৪ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, নেপালে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ায় গত কয়েক বছরে ১৪ বার সরকার পরিবর্তন হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ ভবনে ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া) জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, “৫ আগস্টের আগে কেউ পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেনি। এখন কিছু দল কতৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট মতামত শোনাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “কেউ কেউ পিআরের জন্য রাস্তায় নামছেন। কিন্তু যারা জনগণের অনুমতি না নিয়েও জনগণের মতামত হিসেবে চালাচ্ছে, তারা নির্বাচন পেছাতে চায়।”
তিনি অভিযোগ করেন, ভুয়া ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।
ডা. জাহিদ বলেন, “নেপালে পিআর প্র্যাক্টিস হয়েছে দেখেই বিগত বছরে ১৪ বার ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে। দলবাজি করার জন্য, জনগণ না চাইলেও নিজেদের মতামতকে জনগণের মতামত চালিয়ে দেওয়ার জন্য যারা তাবেদারী করছেন তারা স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছেন।”
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, “পিআর চাইলে নির্বাচনী ইশতেহারে দেন, কেন প্রেসিডেন্সি অর্ডারের মাধ্যমে তা আদায় করতে হবে? সংবিধান এখনো কার্যকর। তবে তা অস্বীকার করার মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে।”
জনগণের মতামতকে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর ফায়দা আদায়ের জন্য ব্যবহার করলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, “গণতন্ত্রের মধ্যে ভিন্ন মত থাকবে, কিন্তু যখন কোনো দল তাদের সিদ্ধান্ত জনগণের ওপরে চাপিয়ে দেবে, তখন কর্তৃত্ববাদের আওয়াজ পাওয়া যায়। আর এতে ফ্যাসিবাদী চরিত্র ফুটে ওঠে।”
তিনি আরও বলেন, জনগণ না চাইলেও, জনগণের নামে পিআর দাবি করে স্বৈরাচারী শাসনের পথ প্রশস্ত করা হচ্ছে, নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টা চলছে। দলের এজেন্ডাকে জনগণের দাবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া হলে তা ব্যর্থ হবে এবং সাধারণ মানুষই তা প্রতিহত করবে।