হাটহাজারী মাদ্রাসায় হামলার প্রতিবাদ জামায়াতের
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:০৬ এম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মসজিদের অবমাননা এবং একটি মাদ্রাসায় হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রোববার এক বিবৃতিতে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এ ধরনের হামলা সমাজে বিভাজন ও সহিংসতা ছড়ানোর অপচেষ্টা।
তিনি বলেন, “শান্তি, সংযম ও সহনশীলতা ইসলামের শিক্ষা। উত্তেজনা নয় বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাটহাজারী মাদ্রাসা দেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে সন্ত্রাসী হামলা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ এবং এটি স্পষ্টভাবে উসকানিমূলক। মসজিদ ও মাদ্রাসার মতো ধর্মীয় পবিত্র স্থানে অবমাননা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এসব স্থান মুসলমানদের ঈমান ও আক্বিদার সঙ্গে জড়িত। তাই সকলের দায়িত্ব ধর্মীয় পবিত্র স্থানসমূহের মর্যাদা রক্ষা করা।
বিবৃতিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এক পৃথক বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নৃত্য শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান এবং এর পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের কোনো বিশেষজ্ঞ শিক্ষক না থাকায়, সমৃদ্ধ পাঠ্যসূচি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, এ কারণে সমাজে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে এবং তারা তাদের ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
গোলাম পরওয়ার বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে সঙ্গীত ও নৃত্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সঙ্গীত বা নৃত্য শিক্ষার্থীর আবশ্যিক কোনো বিষয় হতে পারে না। বরং কোনো পরিবারের যদি আগ্রহ থাকে তাহলে তারা ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষক রেখেও বিষয়টি শেখাতে পারে। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা সব ধর্মের জন্যই জরুরি।”