৩ দিন পর বন্ধ হবে ১০টির বেশি সিম, কঠোর অবস্থানে বিটিআরসি
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:৩৬ এম, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
আর মাত্র তিন দিন পরই বন্ধ হয়ে যাবে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ১০টির বেশি নিবন্ধিত সিম। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, ৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো এনআইডিতে ১০টির বেশি সিম থাকলে অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি কমিশনের জারি করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রাহকরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজেদের পছন্দমতো সর্বোচ্চ ১০টি সিম রেখে বাকিগুলো বাতিল বা মালিকানা হস্তান্তরের সুযোগ পাবেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যোগাযোগ করে সিমগুলো ডি-রেজিস্টার বা ট্রান্সফার করা যাবে। সময়সীমা শেষ হলে বিটিআরসি নিজস্ব প্রক্রিয়ায় দৈবচয়নের মাধ্যমে অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করবে।
গ্রাহকেরা সহজেই জানতে পারবেন তাদের এনআইডিতে বর্তমানে কতটি সিম নিবন্ধিত আছে। এজন্য যেকোনো মোবাইল থেকে *16001# ডায়াল করে এনআইডির শেষ চারটি সংখ্যা পাঠালেই সেই তথ্য পাওয়া যাবে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, অবৈধ সিম ব্যবহার, প্রতারণা এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কমিশনের মতে, সঠিক মালিকানা নিশ্চিত করা এবং সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি।
‘দৈবচয়ন’ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, “দৈবচয়ন অর্থ র্যান্ডম সিলেকশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত সিম বাছাই করা হবে। এতে কোনো মানবিক সিদ্ধান্ত বা প্রভাবের সুযোগ থাকবে না।” তিনি আরও জানান, পুরো প্রক্রিয়াটি কম্পিউটার অ্যালগরিদমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যেখানে এলোমেলোভাবে সিম নম্বর বেছে নিয়ে কিছু সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল করা হবে। অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তির নামে যদি ১০টির বেশি সিম থাকে, তবে কোনগুলো বন্ধ হবে তা মানুষ নয়, কম্পিউটারই নির্ধারণ করবে।
বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ। অথচ প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি ব্যবহারকারী ৫টির কম সিম ব্যবহার করেন, প্রায় ১৬ শতাংশ গ্রাহকের নামে ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে, আর ৩ শতাংশ গ্রাহক ব্যবহার করেন ১১টির বেশি সিম।