জুলাই সনদকে আইনিভাবে বৈধ ও সংসদে কার্যকর করতে হবে: শহীদ মুগ্ধের বাবা


জুলাই সনদকে আইনিভাবে বৈধ ও সংসদে কার্যকর করতে হবে: শহীদ মুগ্ধের বাবা

জুলাই আন্দোলনে শহীদ মীর মুগ্ধের বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান জোরালোভাবে বলেছেন, শুধুমাত্র ঘোষণা দিয়ে নয়, জুলাই সনদকে অবশ্যই আইনি বৈধতা দিয়ে জাতীয় সংসদে কার্যকর করতে হবে।

শুক্রবার ১৭ অক্টোবর দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই দাবি জানান। সেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল আলোচিত জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান, যেখানে শহীদদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "আমি শহীদ মীর মুগ্ধের বাবা। আমাদের কথা একটাই; জুলাই সনদ ঘোষণার আগে সরকারকে স্পষ্টভাবে বলতে হবে, এর আইনি ভিত্তি কী এবং কবে থেকে কার্যকর হবে। আমরা চাই, এটা সংসদের প্রথম দিন থেকেই বাস্তবায়ন হোক।"

তিনি আরও বলেন, “জুলাই সনদ যদি প্রকৃত অর্থে জনগণের স্বপ্নের প্রতিফলন হতে চায়, তবে সেটিকে আইনি বৈধতা দিয়ে সংসদের প্রথম দিন থেকেই কার্যকর করতে হবে। শুধু ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা নয়, বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা চাই।”

আন্দোলনের আয়োজকদের পক্ষ থেকে আগেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল যে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি তুলে ধরবেন। এ প্রসঙ্গে মুগ্ধের বাবা বলেন, “আমরা এখানে এসেছি আমাদের দাবি নিয়ে। সনদ যদি হয়, তবে সেটা শুধু প্রতীকী কিছু হবে না– আইনি ও সাংবিধানিকভাবে বৈধ করতে হবে।”

জুলাই আন্দোলনে প্রাণ হারানোদের পরিবার এবং আহত যোদ্ধারা অনেক দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন, সরকার যেন এই সনদকে একটি রাজনৈতিক ঘোষণা হিসেবে সীমাবদ্ধ না রেখে সংসদীয় আলোচনার মাধ্যমে তা আইনে পরিণত করে। তাদের মতে, কেবল প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই সনদের বাস্তব রূপ দেওয়া সম্ভব নয়।

মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমাদের সন্তানেরা দেশ ও ন্যায়ের জন্য প্রাণ দিয়েছে। তাই আমরা চাই, সেই আত্মত্যাগের মর্যাদা যেন কাগজে নয়; সংবিধান ও সংসদের ভেতর প্রতিফলিত হয়।”

সকালে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে থেকেই সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। নিহত এবং আহতদের পরিবারের সদস্যরা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাসে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে দুপুরের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×