প্রবীণদের ইস্যুগুলোকে সংস্কারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:৪৮ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

প্রবীণদের কল্যাণ নিয়ে নেওয়া হচ্ছে নতুন চিন্তা। অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে রেখে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রবীণ ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
রোববার, ৫ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল প্লাজার ৭১ মিলনায়তনে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, “বার্ধক্যে নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্বসহ বয়সজনিত বহুবিধ শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। সমাজের সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় এ জনগোষ্ঠী যেন শেষ বয়সে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি জনহিতৈষী সংগঠন ও বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, দেশে এখনো প্রবীণদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সরকারি নীতি প্রণীত হয়নি। তবে এখনই সময় প্রবীণবান্ধব নীতিমালা ও অবকাঠামো গড়ে তোলার। চিকিৎসা ব্যয় দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবীণদের সুরক্ষা ও যত্ন নেওয়া তরুণ প্রজন্মের সামাজিক দায়িত্ব।
আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
ড. হোসেন জিল্লুর বলেন, “প্রবীণবান্ধব সমাজ-কাঠামো বানানোর জন্য প্রয়োজন সরকারি পর্যায়ে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন, যা দেশের প্রচলিত প্রবীণ কাঠামো, নীতিমালা পর্যালোচনা করে সকল অধিকার নিশ্চিত ও মর্যাদাপূর্ণ করবে। সবমিলিয়ে কল্যাণমুখী স্বস্তিময় জীবনের বিধান নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, প্রবীণদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। একাকিত্ব যেন তাদেরকে গ্রাস না করে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সমাজে প্রজন্মগত সংযোগ বজায় রাখতে প্রবীণদের নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক কার্যক্রমে যুক্ত করার ওপরও তিনি গুরুত্ব দেন।
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চীফ প্যাট্রোন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এবং ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।