বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৬:৪১ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দূরীকরণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের শিক্ষাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আগামীকাল রোববার (৫ অক্টোবর) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষে আজ শনিবার তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। খবর বাসসের।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “মহামতি গৌতম বুদ্ধ জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে মানুষের কল্যাণ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ নির্মাণই ছিল তার মূল লক্ষ্য। তার মানবিকতা, ত্যাগ ও জীবনের প্রতি ভালোবাসা আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে বৌদ্ধ ঐতিহ্য হাজার বছরের সম্পর্কের। প্রাচীনকালে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চলটি এশিয়ার বৌদ্ধধর্মের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত ছিল। এ কথা প্রমাণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের অস্তিত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। যুগ যুগ ধরে এখানে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সকল অর্জনে এবং দেশের প্রগতি ও উন্নয়নে প্রত্যেকের অবদান রয়েছে।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা আরও দৃঢ় হবে। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়নিষ্ঠ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠনের অভিযাত্রাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পারব—এটাই আমার প্রত্যাশা।”
তিনি ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করেছেন।