জুলাইয়ে মারণাস্ত্র দিয়ে ৩ লাখ ৫ হাজার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল: ট্রাইব্যুনালে তদন্ত কর্মকর্তা


জুলাইয়ে মারণাস্ত্র দিয়ে ৩ লাখ ৫ হাজার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল: ট্রাইব্যুনালে তদন্ত কর্মকর্তা

সাক্ষ্যপ্রদানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল‑১-এ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মামলার ৫৪ নম্বর সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর তাঁর প্রমাণ উপস্থাপন করলেন। তিনি আদালতে জানালেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থান দমন করতে পরিকল্পিতভাবে অত্যধিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

সাক্ষী মো. আলমগীর বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের একটি ২১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শুধুমাত্র ঢাকায় ৯৫,৩১৩ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছিল, আর সারাদেশে মোট গুলির সংখ্যা ছিল ৩,০৫,৩১১ রাউন্ড। এ সময় ব্যবহৃত অস্ত্রের মধ্যে ছিল এলএমজি, এসএমজি, চাইনিজ রাইফেল, শটগান, রিভলভার ও পিস্তল।

তিনি আরও যুক্তি উপস্থাপন করেন যে, তদন্তে সংগৃহীত আলামত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ যেমন পত্রপত্রিকা, ভিডিও ও অডিও ক্লিপ, প্রত্যক্ষদর্শী এবং শহীদ পরিবারের সাক্ষ্য, এছাড়া আসামিদের স্বীকারোক্তি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছিলেন।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে নিরীহ, নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ ছাত্র-জনতার ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, উসকানি, অপহরণ, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, সংবেদনশীল তথ্য বিকৃতকরণ ও মৃতদেহ দ্রুত দাফনের মতো ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়।

 

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×