শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০১:৫৭ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে সাক্ষ্য দেন মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা।
প্রসিকিউশনের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যান্যরা।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তানভীর জোহা তদন্তকালে জব্দ করা শেখ হাসিনার বেশ কিছু ফোনালাপ বাজিয়ে শুনান। এসব জবানবন্দি ট্রাইব্যুনালের ওয়েবসাইটসহ সব ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার হয়।
এর আগে, ২৩ সেপ্টেম্বর বিচারকার্যের শুরুতে ৪৫ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন শাহেদ জোবায়ের লরেন্স। পরে ৫০তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। একইদিন জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে আরও দুজন সাক্ষ্য দেন - আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেকর্ড ও লাইব্রেরি ইনচার্জ মো. কামরুল হোসাইন ও আনিসুর রহমান। তাদের জেরা করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী।
২২ সেপ্টেম্বর ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে শহীদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী জবানবন্দি দেন। এর মাধ্যমে ঘটনার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ হলেই মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু হবে।
এছাড়া, আজ সকালে মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতেই সাক্ষীরা জবানবন্দি দিচ্ছেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশেই জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালানো হয়। তিনি এ জন্য ক্ষমা চান এবং ট্রাইব্যুনালে অনেক অজানা তথ্য উপস্থাপন করেন।
সাক্ষীদের বক্তব্যে উঠে এসেছে গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা, কামালসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।