রংপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত: ৭ পুলিশ প্রত্যাহার


রংপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত: ৭ পুলিশ প্রত্যাহার

রংপুর জেলার তারাগঞ্জে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে জামাতা ও শ্বশুর নিহতের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ছয় পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় তারাগঞ্জ থানার এসআই আবু জুবায়ের এবং রংপুর পুলিশ লাইনস থেকে যুক্ত এসআই শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহারিত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- ধীরাজ কুমার রায়, হাসান আলী, ফিরোজ কবির, মোক্তার হোসেন, বাবুল চন্দ্র রায় এবং ফারিকিত আখতার। বর্তমানে মামলার তদন্তভার তারাগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলামকে দেয়া হয়েছে।

রংপুরের পুলিশ সুপার আবু হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তথ্য অনুযায়ী, ৯ আগস্ট রাত ১০টার দিকে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় চোর সন্দেহে রূপনাল দাস (৪১) ও প্রদীপ দাস (৩৫) নামের দুজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। নিহতরা শ্বশুর ও ভাগ্নি জামাই।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রূপনাল দাসের মেয়ে নুপুর দাসের বিয়ে মিঠাপুকুরের শ্যামপুরের লালচাঁদ দাস ওরফে ডিপজলের সঙ্গে ঠিক হয়। শনিবার সন্ধ্যায় ভবিষ্যৎ জামাই প্রদীপ দাসের সঙ্গে রূপনাল বাজারে যায়। বুড়িরহাট বাজারে পৌঁছালে স্থানীয়রা তাদের চোর সন্দেহে আটক করে এবং পরে জনতার হাতে দুজনকেই গণপিটুনি দেওয়া হয়।

সেনাবাহিনী ও পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেন। হাসপাতালে চিকিৎসক রূপনাল দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রদীপ দাসকে রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তিনি মারা যান।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা ঘটনার প্রতিবাদে রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। ইউএনও রুবেল রানা, থানার ওসি এম এ ফারুক হোসেন ও উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পাপন দত্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বজনদের আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

তারাগঞ্জ থানার ওসি এ ফারুক হোসেন জানান, রূপনালের স্ত্রী হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন এবং দুজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×