বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. কলিমুল্লাহ গ্রেপ্তার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০১:৩২ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৫

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগে তদন্ত চলছিল দীর্ঘদিন ধরে।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)-এর মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চলতি বছরের ১৮ জুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক উপাচার্য কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা পরস্পরের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্পের মূল পরিকল্পনা (ডিপিপি) উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন। তারা অনুমোদন ছাড়াই ৩০ কোটি টাকার চুক্তি সম্পাদন করেন। এ ছাড়া ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে রাখা নিরাপত্তা জামানতের অর্থ ব্যাংকে এফডিআর হিসেবে জমা রেখে সেই এফডিআর ঠিকাদারকে লোন দেওয়ার জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ ইস্যু করা হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্যারান্টার বানিয়ে সরকারের প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়।
অধ্যাপক কলিমউল্লাহ ২০১৭ সালের ১ জুন থেকে ২০২১ সালের ৯ জুন পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে ছিলেন। তার চার বছরের মেয়াদে একাধিক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন 'অধিকার সুরক্ষা পরিষদ' তার বিরুদ্ধে ১১১টি অভিযোগ উত্থাপন করে ‘হোয়াইট পেপার’ প্রকাশ করে।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে ওঠা ৪৫টি গুরুতর অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে। অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল অনিয়মিত নিয়োগ, প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব, এবং ক্ষমতার অপব্যবহার।