.png)
আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং হিজবুল্লাহর সাথে ইরানের ঘনিষ্ঠতার বিষয়কে কেন্দ্র করে তেহরানের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছেন লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ রাজি।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) তিনি স্পষ্ট করে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরান সফরের প্রস্তাব গ্রহণ করছেন না। এর পরিবর্তে ইরানের সঙ্গে আলোচনার জন্য দুই পক্ষের সম্মতিতে একটি নিরপেক্ষ তৃতীয় দেশে বৈঠক করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এনএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউসুফ রাজি বলেন, বিদ্যমান অবস্থা বিবেচনায় তিনি এখনই তেহরান যেতে আগ্রহী নন, যদিও তিনি সফর প্রত্যাখ্যানকে ইরানের সঙ্গে সংলাপ এড়ানো বলে মনে করছেন না। সফর বাতিলের কারণ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও তিনি তৎক্ষণাৎ সাড়া দেননি।
গত সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে রাজিকে তেহরান সফরের আমন্ত্রণ দেন।
লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারস্পরিক সম্মান, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি এবং কোনো কারণেই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির ভিত্তিতে ইরানের সঙ্গে ‘‘গঠনমূলক নতুন অধ্যায়’’ শুরু করতে দেশটি প্রস্তুত।
হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে অস্ত্র ধারণের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ না থাকলে শক্তিশালী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ বহু বছর ধরে লেবাননের রাজনীতিতে প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে সক্রিয়। গত বছরের ইসরায়েলি হামলায় গোষ্ঠীটি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত যুদ্ধবিরতির পর লেবানন-ইসরায়েল সংঘাত থেমে গেলেও ইসরায়েলি বাহিনী মাঝে মাঝেই হিজবুল্লাহর অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে।
যুদ্ধবিরতির পর থেকে সংগঠনটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র চাপের মুখে রয়েছে- বিশেষত অস্ত্র সমর্পণ ও সামরিক ক্ষমতা রাষ্ট্রের হাতে হস্তান্তরের দাবিতে।
চলতি বছরের আগস্টে ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলি লারিজানি বৈরুত সফরকালে সতর্ক করে বলেছিলেন, লেবানন যেন ‘‘বন্ধু আর শত্রু’’র পার্থক্য ভুল না করে। এর আগে গত জুনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি ঘোষণা করেছিলেন, লেবাননের সঙ্গে সম্পর্কের ‘‘নতুন অধ্যায়’’ শুরু করতে চায় তেহরান।
সূত্র: রয়টার্স