
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নিয়ে ইরান জানতে চেয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষায়, তেহরান ওয়াশিংটনকে জিজ্ঞেস করেছে— যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারবে কি না।
ট্রাম্প বলেন, ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবে তিনি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “ইরান জানতে চেয়েছে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া সম্ভব কি না। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করতে বড় বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। আমি বিষয়টি শুনতে আগ্রহী এবং দেখি কী হয়। আমি এ ব্যাপারে উন্মুক্ত।”
তবে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখা এবং আঞ্চলিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ না করে, তাহলে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে সহযোগিতার কোনো সুযোগ থাকবে না।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে “সর্বোচ্চ চাপ” নীতি পুনরায় জোরদার করেন। এর অংশ হিসেবে তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন থেকে বিরত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে।
এছাড়া চলতি বছরের জুনে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার সময় তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলাও চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, এর আগে পারমাণবিক ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে পাঁচ দফা আলোচনা হয়েছিল। তবে জুনে ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধের পর থেকে সেই সংলাপ স্থবির হয়ে পড়ে।
মূল বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু হলো ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম। পশ্চিমা দেশগুলো এই কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে চায়, যাতে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করতে না পারে। কিন্তু তেহরান স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা সেই দাবি মেনে নেবে না।