ক্ষমতা নেওয়ার ৪ মাসেই পদত্যাগ করলেন মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:৫৬ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

মঙ্গোলিয়ার রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়; ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র চার মাসের মাথায় পদত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী গম্বোজাভ জান্দানশাতার। আস্থা ভোটে পরাজয়ের পর শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন।
১২৬ সদস্যের সংসদে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে অংশ নেন ১১১ জন আইনপ্রণেতা। এর মধ্যে ৭১ জন জান্দানশাতারকে বরখাস্তের পক্ষে রায় দেন, বিপক্ষে ভোট পড়ে ৪০টি। আস্থা হারানোর ফলে বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
সংসদে আনা আস্থাহীনতার প্রস্তাবের সূত্রপাত ঘটে ১০ অক্টোবর। তখন ৫০ জনেরও বেশি সংসদ সদস্য জান্দানশাতারের বিরুদ্ধে 'সাংবিধানিক লঙ্ঘন এবং শাসনব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ' জানিয়ে তাকে অপসারণের দাবি জানান।
আলোচিত এই অভিযোগের কেন্দ্রে ছিল তার সাম্প্রতিক সময়ে বিচার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে করা নিয়োগ। আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ, পার্লামেন্টের সঙ্গে পরামর্শ না করে একতরফাভাবে এসব নিয়োগ দেন জান্দানশাতার, যা সরাসরি সংবিধান পরিপন্থী।
সংসদ সদস্যদের ভাষ্য ছিল, “(এই নিয়োগ) মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের ক্ষমতা হরণ করেছে, সংবিধানের মৌলিক নীতি লঙ্ঘন করেছে এবং আইনের শাসনের নীতি লঙ্ঘন করেছে।”
এর পাশাপাশি, বিচার বিভাগীয় একটি চলমান তদন্ত বিষয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেওয়াকেও প্রধানমন্ত্রী জান্দানশাতারের বিরুদ্ধে আনা আরেকটি বড় অভিযোগ হিসেবে তুলে ধরা হয়। সমালোচকরা মনে করছেন, তার এই মন্তব্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
মাত্র চার মাস আগে, ৫৫ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তবে তার শাসনকাল ছিল অস্থিরতায় ভরা, যার সূত্রপাত হয়েছিল আগের প্রধানমন্ত্রী লুভসান্নামস্রেইন ওয়ুন-এরদেনের বিতর্কিত অপসারণের পর। ওয়ুন-এরদেন নিজের ছেলের অযৌক্তিক খরচ নিয়ে জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়ে পদচ্যুত হন, যার ফলে জান্দানশাতার দায়িত্ব পান।