চীনে প্রতারণা চক্রের ১১ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:২৮ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারে প্রতারণা ও জুয়া চক্র চালানো কুখ্যাত মিং পরিবারের ১১ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে চীনের একটি আদালত। টেলিযোগাযোগ প্রতারণা থেকে শুরু করে মাদক ও দেহব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরিবারের মোট ৩৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ওয়েনঝৌতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, অভিযুক্তদের মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড, পাঁচজনকে দুই বছরের স্থগিত মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের পাঁচ থেকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত জানায়, ২০১৫ সাল থেকে মিং পরিবার টেলিযোগাযোগ প্রতারণা, জুয়া ব্যবসা, মাদক পাচার এবং দেহব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিল। শুধু প্রতারণা ও জুয়ার মাধ্যমেই তারা ১০০০ কোটি ইউয়ান (প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) অবৈধভাবে উপার্জন করেছে।
মিয়ানমারের শান প্রদেশের লাউকাই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চারটি প্রভাবশালী পরিবার জুয়া ও প্রতারণা কেন্দ্র চালাত। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল মিং পরিবার। সেখানে অন্তত ১০ হাজার মানুষকে জোরপূর্বক প্রতারণা কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করা হতো। সবচেয়ে কুখ্যাত ছিল ক্রাউচিং টাইগার ভিলা নামের একটি কম্পাউন্ড, যেখানে শ্রমিকদের ওপর নিত্যদিন মারধর ও নির্যাতন চালানো হতো।
২০২৩ সালে মিয়ানমার সরকার এই অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালায়। বহু সদস্যকে গ্রেপ্তার করে চীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে পরিবারের প্রধান মিং শুয়েচ্যাং গ্রেপ্তারের আগে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘ এই প্রতারণা শিল্পকে স্ক্যামডেমিক হিসেবে উল্লেখ করেছে, যেখানে লাখো বিদেশি বিশেষত চীনা নাগরিকদের আটকে রেখে অনলাইন প্রতারণায় বাধ্য করা হতো।
চীনের আদালতের এ কঠোর রায় সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চলমান প্রতারণা চক্র দমনের স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মিয়ানমারে বড় ধাক্কা খাওয়ার পর এখন এই চক্রের একটি বড় অংশ কম্বোডিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি