গাজায় খাদ্য সংকটে যুদ্ধবিরতি আলোচনা অর্থহীন: হামাস নেতা খলিল আল-হায়্যা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:৪৭ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২৫

গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের মাঝে শান্তি আলোচনাকে অর্থহীন বলে আখ্যা দিয়েছেন হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল-হায়্যা। তিনি শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি থেমে যাওয়ার জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন।
রোববার, ২৭ জুলাই, এক টেলিভিশন ভাষণে হামাসের কাতার-ভিত্তিক এই রাজনৈতিক নেতা বলেন, খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে আলোচনার চলমান প্রচেষ্টা এখন আর কোনো তাৎপর্য বহন করে না।
আল-হায়্যা, যিনি হামাসের প্রধান আলোচক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন, দাবি করেন— সর্বশেষ আলোচনায় তাদের পক্ষ থেকে ‘সব ধরনের নমনীয়তা’ দেখানো হয়েছিল এবং ‘স্পষ্ট অগ্রগতি’ও অর্জিত হয়েছিল। তার ভাষ্য মতে, ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার, বন্দি ও জিম্মি বিনিময় এবং জরুরি ত্রাণ প্রবেশের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, হামাস তাতে কার্যত সম্মত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘তারা (মধ্যস্থতাকারীরা) আমাদের জানিয়েছিল যে ইসরায়েল ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। কিন্তু আমরা বিস্মিত হই যখন দেখি দখলদার বাহিনী আলোচনা থেকে সরে দাঁড়ায় এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত (স্টিভ) উইটকফ তাদের সঙ্গে আঁতাত করেন।’
আল-হায়্যার মতে, বর্তমান অবরোধ ও দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতিতে আলোচনা অব্যাহত রাখা অর্থহীন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘খাদ্য ও ওষুধ অবিলম্বে ও সম্মানের সঙ্গে প্রবেশ নিশ্চিত না করে কোনো আলোচনা হতে পারে না।’ ফিলিস্তিনিদের দুর্দশাকে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায় তিনি দখলদারদের কঠোর সমালোচনা করেন।
এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আলোচনার গতি ইচ্ছাকৃতভাবে ধীর করার অভিযোগ আনেন, যেন গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
এর আগে, গত শুক্রবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির আলোচনায় এখনো দুইটি বিষয়ে মতবিরোধ রয়ে গেছে— তা হলো বন্দি বিনিময় ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের সময়সূচি।
সেই কর্মকর্তা জানান, গত বৃহস্পতিবার আলোচনার ঠিক আগে হামাস এই দুটি বিষয়ে পৃথক প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। কিন্তু এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল আলোচনায় থাকা তাদের প্রতিনিধিদের প্রত্যাহার করে নেয়। পরে তারা হামাসের বিরুদ্ধে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ আলোচনা চালানোর অভিযোগ তোলে।