যুক্তরাষ্ট্রকে বৈঠকের অনুরোধ করেনি ইরান: দাবি তেহরানের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:৫০ পিএম, ০৮ জুলাই ২০২৫

ইরান দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও বৈঠকের অনুরোধ তারা করেনি। গত মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তেহরান আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছে। দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম এ তথ্য জানিয়েছে।
তেহরানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বলেছেন, আমরা মার্কিন পক্ষকে কোনও বৈঠকের অনুরোধ করিনি।
এর আগে সোমবার হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন, আমরা ইরানের সঙ্গে বৈঠকের সময় নির্ধারণ করেছি। তারা কথা বলতে চায়, একটি সমাধান খুঁজতে চায়। এখন তারা দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এর মধ্যে ছিল ফরদো, ইস্পাহান ও নতাঞ্জ। হামলায় নিহত হন ইরানের উচ্চপর্যায়ের সেনা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা। এসব হামলার কয়েকদিন আগেই পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরুর লক্ষ্যে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি বৈঠকের পরিকল্পনা ছিল, যা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়।
এই প্রেক্ষাপটে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আলোচনার পক্ষপাতী মনোভাব প্রকাশ করায় নিজ দেশেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া ব্যক্তিত্ব টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পেজেশকিয়ান বলেন, যদি পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তোলা যায়, তাহলে আলোচনার কোনও সমস্যা নেই।
কঠোর অবস্থান নেওয়া কায়হান পত্রিকার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, আপনি কি ভুলে গেছেন এই আমেরিকানরাই তো আলোচনা ব্যবহার করেছে সময় কেনার জন্য এবং হামলার প্রস্তুতির জন্য?
আরেক রক্ষণশীল দৈনিক জাভান মন্তব্য করেছে, প্রেসিডেন্টের বক্তব্য কিছুটা বেশি নরম মনে হয়েছে।
অন্যদিকে, সংস্কারপন্থি দৈনিক পত্রিকা হাম মিহান প্রেসিডেন্টের মনোভাবকে ইতিবাচক বলে প্রশংসা করেছে। পত্রিকাটি লিখেছে, এই ধরনের সাক্ষাৎকার বহু আগেই দেওয়া উচিত ছিল।
ইরানি কর্তৃপক্ষের দাবি, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১ হাজার ৬০ জন নিহত হয়েছে। পাল্টা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলেও প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৮ জন। ২৪ জুন থেকে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা