১৪ বছরের দাম্পত্যে ইতি, আলাদা হলেন জনপ্রিয় জুটি জয়-মাহি
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:৪১ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
দীর্ঘ ১৪ বছরের সংসার জীবনের পর টেলিভিশনের পরিচিত মুখ জয় ভানুশালি ও মাহি বিজের পথ আলাদা হয়ে গেছে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক মাস আগে তারা বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং ২০২৫ সালের জুলাই বা আগস্ট মাসে তাদের ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সন্তানদের হেফাজতের বিষয়টিও নির্ধারিত হয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই মাস থেকেই জয়-মাহির বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। যদিও সেই সময় তারা প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। কয়েক সপ্তাহ আগে মাহি বিজও স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন যে, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কারো কাছে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
তবে তাদের ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধুই শেষ পর্যন্ত তাদের অবস্থান ফাঁস করেছেন। জানা যায়, জুলাই-আগস্ট মাসেই জয় ভানুশালি ও মাহি বিজ আইনি বিচ্ছেদের পথে পা বাড়িয়েছেন, যদিও তারা বিষয়টি জনসমক্ষে সম্পূর্ণ গোপন রেখেছিলেন।
জয় ভানুশালি ও মাহি বিজ ২০১১ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে; ২০১৯ সালে জন্ম নেওয়া কন্যা তারা এবং ২০১৭ সালে দত্তক নেওয়া রাজবীর ও খুশি।

হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্রের দাবি, বিচ্ছেদের মূল কারণ মাহি বিজের জয় ভানুশালির প্রতি ‘বিশ্বাসের অভাব’। এক সময় তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং যৌথ ভ্লগে পারিবারিক মুহূর্ত ভাগাভাগি করে পরিচিত ছিলেন, কিন্তু এখন আর একে অপরের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন না। তাদের শেষ যৌথ পোস্ট ছিল ২০২৪ সালের জুনে। সর্বশেষ তারা জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল আগস্ট মাসে কন্যা তারার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে, যেখানে অনুষ্ঠানটি ‘লাবুবু’ থিমে সাজানো হয়েছিল।
সূত্র আরও জানায়, দুই সপ্তাহ আগে মাহি বিজ সন্তানদের সঙ্গে নতুন বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়েছেন। জয় ভানুশালি সম্প্রতি কেবল তার কন্যাদের সঙ্গে একটি ট্রিপের ছবি প্রকাশ করেছেন।
অক্টোবর ১৮ তারিখে জয় ভানুশালি টোকিওর শিবুয়া ক্রসিংয়ে তার ও কন্যা তারার একটি ভিডিও পোস্ট করেন এবং লিখেন, ‘টোকিও ড্রিফট তো শুনা হবে, এখন দেখো বাবা-মেয়ে কিভাবে শিবুয়া ক্রসিংয়ে ড্রিফট করছে।’
এর আগে জুলাই মাসে বিচ্ছেদের গুজব ওঠার সময় মাহি বিজ হউটারফ্লাইকে বলেছিলেন, ‘যদি সত্যি হয়, তাহলে আমি কেন তোমাকে বলব? তুমি কি আমার চাচা? কি আমার আইনজীবীর খরচ দেবে? মানুষ কেন কারো বিচ্ছেদ নিয়ে এত ড্রামা সৃষ্টি করে? আমি কমেন্টে দেখি, কেউ লেখে, "মাহি তো ডেসেন্ট, জয় এমন", আবার কেউ লেখে, "জয় ভালো, মাহি এমন" - সবাই কাউকে দোষারোপ করতে চায়। তুমি কি সত্যিই জানো? তুমি কি জানো?’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে মানুষ একক মায়ের এবং বিচ্ছেদকে ভিন্নভাবে দেখে। তারা মনে করে এখন নাটক হবে, দুইজন একে অপরকে দোষ দেবে। আমি মনে করি, সমাজ থেকে অনেক চাপ আছে। শুধু জীবিত থাকো এবং অন্যকেও থাকতে দাও।’