সালমান মারা যাওয়ার সময় বগুড়াতে নৌকায় খিচুড়ি খাচ্ছিলাম: ডন
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:০৬ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যু মামলাটি যখন হত্যাকাণ্ডের পর্যায়ে পৌঁছেছে, তখন তার মৃত্যুর রহস্য নতুন করে আলোচনায় এসেছে। পুরোনো তথ্য ও সাক্ষাৎকার ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠেছে।
মামলার প্রধান আসামি তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক এবং মামলার চতুর্থ আসামি খল অভিনেতা আশরাফুল হক ডন। সম্প্রতি আদালত এই দুই আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, পাশাপাশি হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে যাতে কেউ পালাতে না পারে।
এসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে শাহরিয়ার নাজিম জয়ের জনপ্রিয় শো ‘সেন্স অব হিউমার’-এ দেওয়া ডনের পুরনো সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও।
সেখানে জয় ডনকে প্রশ্ন করেন, “সালমান ভাইয়ের আত্মহত্যার কারণ কে হতে পারে—ওনার মা না ওনার স্ত্রী? এককথায় বললে কী বলবেন?”
ডন জবাবে বলেন, “এটা ফ্যামিলিগত ব্যাপার। সালমান ভাই মেন্টালি আপসেট ছিলেন।”
সাক্ষাৎকারে মৃত্যুর দিনটি উল্লেখ করে ডন বলেন, “সেদিন ছিল শুক্রবার। আমি তখন বগুড়াতে ছিলাম। সকালে এলাকার ছোট ভাই-বান্ধবদের সঙ্গে নদীতে নৌকায় খিচুড়ি পাকিয়ে খাচ্ছিলাম। হঠাৎ নদীর ঘাটে গিয়ে শুনলাম—‘ডন ভাই, আপনি এখানে! সালমান শাহ তো মারা গেছে।’ তখন ভেবেছিলাম হয়তো গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। কারণ সালমান খুব ভালো ড্রাইভার ছিল। ওর গাড়িতে উঠলে আমি সুরা পড়ে উঠতাম।”
তিনি আরও যোগ করেন, “বাড়ি ফিরে সন্ধ্যা ৭টার খবরের সময় টিভিতে দেখলাম সালমান মারা গেছে। তখনও বুঝিনি কী কারণে। পরে শুনলাম বাসায় মারা গেছে, তখন মনে হলো কোনো সমস্যা হয়েছে।”
সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে, যারা হলেন— সামিরা হক, আশরাফুল হক ডন, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, রুবি (মেফিয়ার বিউটি সেন্টার), আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী আহমেদ ফরহাদ।
এর মধ্যে রেজভী আহমেদ ফরহাদ এক জবানবন্দিতে দাবি করেছিলেন, “এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড। কয়েকজন মিলে সালমান শাহকে হত্যা করা হয়, যার সঙ্গে সামিরা ও ডনও জড়িত ছিলেন।”