বাবার মুখে আলিয়ার বাস্তব জীবনের বড় ধাক্কা ও ব্যর্থতার গল্প


বাবার মুখে আলিয়ার বাস্তব জীবনের বড় ধাক্কা ও ব্যর্থতার গল্প

বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের অভিনয় জীবনের প্রথম বড় ব্যর্থতা আসে ২০১৫ সালের ছবিতে ‘শানদার’। শাহিদ কাপুরের সঙ্গে তার অভিনীত এই ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। সেই হিট-ফ্লপের পর আলিয়া ভেতর থেকে ব্যথিত ছিলেন এবং ব্যর্থতাকে মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কান্ননের সঙ্গে আলাপের সময় মহেশ ভাট বলেন, শানদার মুক্তির পর আলিয়া প্রথমবার সত্যিকারের ব্যর্থতার স্বাদ পেয়েছিল। কয়েকটি সফল ছবির পর এই ব্যর্থতা তাকে ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সে মানতেই পারছিল না।

মহেশ ভাট জানান, এই সময় আলিয়ার পাশে ছিলেন তার পরিবার, বিশেষ করে বাবা মহেশ নিজে। তার উপদেশে আলিয়া আবার নিজের কাজের প্রতি মনোযোগী হন। ব্যর্থতা সব মানুষের জীবনে আসে। রাজ কাপুরের মতো কিংবদন্তির জীবনেও ব্যর্থতা এসেছিল। আমি আলিয়াকে বলেছিলাম, এই ধরনের ঘটনা মনে করিয়ে দেয় তুমি সাধারণ মানুষ ছাড়া আর কিছু নও। এরপর সে আবার কাজে মনোযোগ দেয়, বলেন মহেশ ভাট।

একই আলাপচারিতায় তিনি তার জামাতা রণবীর কাপুরকেও প্রশংসা করেছেন। মহেশ ভাট বলেন, রণবীর খুব সৎ ছেলে। এমন পরিবারমুখী মানুষ এই ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম দেখা যায়। সে তার ঘর, পরিবার আর মেয়েকে খুব ভালোবাসে। প্রচুর বই পড়ে, সিনেমা দেখে। কম কথা বলে, কিন্তু মন দিয়ে শোনে এটাই বড় অভিনেতার লক্ষণ।

মহেশ ভাট আরও যোগ করেন, নতুন প্রজন্মের নায়িকারা যেমন মা হওয়া এবং কাজ একসঙ্গে সামলাচ্ছেন, আলিয়া তার বড় উদাহরণ।

সূত্র: এনডিটিভি

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×