সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণার গল্প বলছে ‘সহযাত্রী’
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:৩৮ এম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আজকের সময়ে দাম্পত্য সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হতেই অনেকেই ডিভোর্সকে সহজ সমাধান মনে করেন। কিন্তু মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালিত নাটক ‘সহযাত্রী’ দর্শকদের চোখে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিয়েছে। নাটকটি বলছে বিচ্ছেদ নয়, বোঝাপড়া, ধৈর্য আর ভালোবাসার মাধ্যমেই সংসার টিকে থাকে।
চ্যানেল আইতে প্রচারের পর শনিবার দুপুরে সিনেমাওয়ালার ইউটিউবে উন্মুক্ত হয় ‘সহযাত্রী’। মাত্র দুদিনে নাটকটি দুই মিলিয়নের বেশি দর্শক দেখেছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় পাঁচ হাজার দর্শক ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন, যেখানে অনেকে নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতার কথাও শেয়ার করেছেন।
নাটকের কাহিনিতে দেখা যায়, জয় ও অবনী (ফারহান আহমেদ জোভান ও নাজনীন নিহা) নিজেদের ভালোবাসার টানে বিয়ে করলেও ছোটখাটো বিষয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত তারা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু মামার পরামর্শে সেই ডিভোর্সের আয়োজন ঘিরেই গল্পে নতুন মোড় আসে, যেখানে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার গুরুত্ব উঠে আসে।
দর্শক চাঁদনি সুলতানা মন্তব্য করেছেন, ‘সহযাত্রী’ দেখার পর মনে হলো, ডিভোর্স কোনো সমাধান নয়। একটু বোঝাপড়া, ভালোবাসা আর ধৈর্যই পারে সম্পর্ককে আজীবন ধরে রাখতে।
উপমা পাল লিখেছেন, নাটকটা দেখে চোখে জল এসে গেছে। কত সহজে আমরা সম্পর্ক ভেঙে ফেলি, অথচ একটু ধৈর্য রাখলেই হয়তো টিকে যেতো।
অন্যদিকে তানভীর আহমেদ মনে করেন, বর্তমানে ডিভোর্সের হার যেভাবে বাড়ছে, এই নাটক অনেক দম্পতিকে নতুন করে সম্পর্ক শুরু করার অনুপ্রেরণা দেবে। সোনিয়া খন্দকার লিখেছেন, সহযাত্রী আমাদের ঘরের আয়নার মতো, যেখানে আমরা নিজেদের ভুলগুলো খুঁজে পাচ্ছি।
এছাড়া ফারিন চৌধুরী জানান, নাটকটি দেখে তিনি নিজ সংসারের সমস্যাগুলো নতুনভাবে ভেবে দেখেছেন।
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের মূল ভাবনা ও জোবায়েদ আহসানের রচনায় নির্মিত এই নাটকে আরও অভিনয় করেছেন এজাজুল ইসলাম, সুষমা সরকার, তানজিম অনিক, জেবিন ও তাবাসুম ছোঁয়া। দর্শকরা বলছেন, ‘সহযাত্রী’ কেবল একটি নাটক নয়, বরং সম্পর্ক বাঁচানোর শিক্ষা দিচ্ছে জীবন্ত এক আখ্যান।