মারা গেলেন পদত্যাগে বাধ্য করানো চট্টগ্রামের সেই শিক্ষক

চট্টগ্রাম সিটির হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ এসএম আইয়ুব হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গেল ২৪ সেপ্টেম্বর কলেজে অবরুদ্ধ করে আরো দুই শিক্ষকের সাথে তাকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে এসএম আইয়ুবকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় দুই ঘণ্টা পর দুপুর দুইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ওই শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করানো হলেও কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেনি। তবে, আইয়ুবের স্বজনেরা দাবি করেছেন, তিনি কলেজে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। হাজেরা তজু ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চয়ন দাশ জানান, বহিরাগত কিছু মানুষ এসে সেদিন কলেজে উপাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেছিল। এরপর থেকে তিনি নিরাপত্তা কথা বিবেচনায় কলেজে আসেননি। কয়েক দিন আগে কলেজে এসে পুনরায় পদত্যাগপত্র দিলেও সেটি গ্রহণ করা হয়নি। তবে, তিনি মানসিকভাবে খারাপ সময় কাটাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। এ ধরনের ঘটনা মোটেও কাম্য ছিল না। এ দিকে, এই শিক্ষকের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে। তার স্বজনদের আহাজারির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। তাৎক্ষণিকভাবে এসএম আইয়ুবের ছেলে শেফায়েত খান কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক ভাগনে বলেন, ‘কলেজটিতে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন মামা। তিনি একইসাথে রসায়ন বিভাগের প্রধান ও উপাধ্যক্ষ ছিলেন। যেহেতু কলেজটি সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির পারিবারিক উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত, তাই সাম্প্রতিক পট পরিবর্তনের পর তিনিসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক একটি স্বার্থান্বেসী গোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। তারাই মামাকে হেনস্তা করেছে। কয়েক মাস পরই তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।’ জানা গেছে, গেল ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর কলেজটিতে নানা দাবিতে বিক্ষোভ করে এক দল শিক্ষার্থী। এরই জেরে ২৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগপত্র লিখে জোর করে শিক্ষক এসএম আইয়ুবকে সই করানো হয়।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবির প্রতি সমর্থন ধর্ম উপদেষ্টার

ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক।’ শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আকরাম খাঁ মিলনায়তনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত ‘বৈষম্যের শিকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা: উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে সভায় ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আমরা যদি ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো লালন করতে না পারি, তাহলে আগামী দিনে এ দেশে ইসলামি শিক্ষার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাঁচ হাজার ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্তকরণের ঘোষণা দিলেও নানা কারণে সেটা বাস্তবায়িত করা হয়নি।’ তিনি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ফোরামের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। খালিদ হোসেন বলেন, ‘এ দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে। কিন্তু, ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই। এটা বৈষম্য। এ বৈষম্য নিরসন করা প্রয়োজন।’ ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ধর্ম মন্ত্রণালয়াধীন নয়, এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন।’ তিনি ফোরামের নেতৃবৃন্দকে তাদের দাবির বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। এছাড়া, উপদেষ্টা তার পক্ষ হতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করার বিষয়ে ফোরামের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন। খালিদ হোসেন আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক মুসলমান। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীও রয়েছে। ধর্ম চর্চা, ধর্ম পালন ও ধর্ম প্রচার সব নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।’ তিনি বলেন, ‘এ দেশের পাঠ্যক্রমে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ঈমান, আকিদা, কুরআন ও সুন্নাহর আদর্শ প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটা না হলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্ম শিখবে। এটা নিয়ে আমাদের কোন আপত্তি নেই। ঠিক একইভাবে মুসলমানদেরকে তাদের কুরআন, সুন্নাহ, ঈমান, আকিদা সম্পর্কে শিক্ষা লাভের অধিকার থাকতে হবে।’ খালিদ হোসেন আরো বলেন, ‘অতীতে এ দেশে বার বার ইসলামি শিক্ষাকে সঙ্কুচিত করার চক্রান্ত করা হয়েছে। এ চক্রান্ত আগামীতে চলবে না।’ সভায় লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মাসউদুর রহমান তালুকদার। সভায় ফোরামের পক্ষ হতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে জাতীয়করণসহ সাত দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক ফোরামের সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম মাহবুবের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মোমেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি নাছির উদ্দীন খান ও জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া।

রোববার-সোমবারও বন্ধ থাকবে ঢাকা সিটি কলেজ

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আগামী রোববার (২৪ নভেম্বর) ও সোমবারও (২৫ নভেম্বর) ঢাকা সিটি কলেজের সব ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কলেজ প্রশাসন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী নেয়ামুল হকের সই করা নোটিশে ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘অনিবার্য কারণে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় রোববার এবং পর দিন সোমবার সব ক্লাস স্থগিত থাকবে।’ এর পূর্বে, গেল বুধবার (২০ নভেম্বর) সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সাথে ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পর দিন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বন্ধ ছিল উভয় প্রতিষ্ঠানের ক্লাস-পরীক্ষা। অপর দিকে, বর্তমান অবস্থা নিয়ে কাজী নেয়ামুল হক জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সিনিয়র শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধির সমন্বয়ে সভা হয়েছে। সভায় উভয় কলেজের শিক্ষকদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর পূর্বে, গেল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওই দুপুর আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত থেমে থেমে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে পুরো এলাকাজুড়ে। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ (যৌথ বাহিনী) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়েন।

ফের শিক্ষা প্রশাসনে বড় রদবদল, এবার ৪৬ কর্মকর্তাকে পদায়ন

গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বগ্রহণ করে শিক্ষা প্রশাসনে দফায় দফায় পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে। কয়েক দফায় অনেক আওয়ামী লীগপন্থি ও দুর্নীতি-অনিয়মে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বদলি করা হচ্ছে। এবার শিক্ষা প্রশাসনে একসঙ্গে ৪৬ জন কর্মকর্তাকে নতুন করে পদায়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে ঢাকা, যশোর, কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক, উপসচিব, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অডিট অফিসার, কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে নতুনদের পদায়ন করা হয়েছে। অনেককে আবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) ওএসডি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা-২ থেকে জারি করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ পদায়ন করা হয়। দুটি প্রজ্ঞাপনে মোট ৪৬ জন কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে। উপ-সচিব মাহবুব আলমের সই করা প্রজ্ঞাপনে সুলতানা মাহমুদা ইয়াসমিনকে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ করা হয়েছে। কুমিল্লা বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক পদে পদায়ন পেয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মজুমদার, একই বোর্ডের উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক হয়েছেন গোলাম মহিউদ্দিন, উপ-পরিচালক হয়েছেন মোহাম্মদ শাহজাহান। এছাড়া ঢাকা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শকের দায়িত্ব পেয়েছেন তিতুমীর কলেজের অধ্যাপক কাজী ফয়জুর রহমান, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক জাকির হোসেন। ঢাকা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হয়েছেন মোহাম্মদ নুরুল হক, উপসচিব ইমদাদ জাহিদ, যশোর বোর্ডের অডিট অফিসার হয়েছেন রুবেল হোসাইন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হয়েছেন খুরশিদ আলম মল্লিক। প্রজ্ঞাপনে ১২টি সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ এবং তিনটি কলেজে নতুন উপাধ্যক্ষও পদেও পদায়ন করা হয়েছে।

প্রাথমিকের জন্য ৫ কোটি ৩২ লাখ নতুন বইয়ের অনুমোদন

আগামী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্তরের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে ৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬০টি পাঠ্যপুস্তক সংগ্রহ করবে সরকার। এই পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ (কাগজসহ), বাঁধাই ও সরবারাহে ব্যয় হবে ২৭৬ কোটি ৬৩ লাখ ২৩ হাজার ৭৯০ টাকা। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৫ শিক্ষাবষের্র জন্য প্রাথমিক স্তরের (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির) পুনঃদরপত্র আহ্বান করা ২৭টি লটের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২৮টি লটে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য অভ্যন্তরীণ পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হলে ৪৬টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ৪৩টি দরপত্র রেসপনসিভ হয়। টিইসি কর্তৃক ২৮টি লটের বিপরীতে ২৭টি লটে সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার ২৫৭ টাকায় ১ কোটি ২৮ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬০টি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিটি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, কাগজসহ বাঁধাই ও সরবরাহ বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ৫০ টাকা ৫২ পয়সা। ২৮টি লটের মধ্যে ২৭টি লটের সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে ক্রয়ের সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশ করা দর সর্বমোট প্রাক্কলিত দর থেকে ১৮.৬৫ শতাংশ বেশি। ১টি লটের বিপরীতে যোগ্য কোনো দরদাতা প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি। বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাথমিক স্তরের (চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি) ২০টি প্যাকেজে ৯৫টি লটের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সকল শিক্ষার্থীর কাছে তাদের কাঙ্ক্ষিত পাঠ্যপুস্তক যথাসময়ে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাথমিক স্তরের (চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি) ২০টি প্যাকেজে ৯৮টি লটের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য অভ্যন্তরীণ ই-জিপি পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ১৯৬টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ১৭৯টি দরপত্র রেসপনসিভ হয়। টিইসি কর্তৃক ৯৮টি লটের বিপরীতে ৯৫টি লটে সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২১১ কোটি ৪৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৩ টাকায় ৪ কোটি ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪০০টি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিটি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, কাগজসহ বাঁধাই ও সরবরাহ বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ৫২ টাকা ৩৯ পয়সা। সুপারিশ করা দর সর্বমোট প্রাক্কলিত দর থেকে ১৪.১৩ শতাংশ বেশি।

সিটি কলেজ সরিয়ে নেয়াসহ ১১ আবদার ঢাকা কলেজের

ঢাকা সিটি কলেজকে বর্তমান অবস্থান থেকে সরিয়ে নেয়াসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ঢাকা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকম রফিকুল ইসলাম। এ সময় অধ্যক্ষ একেএম ইলিয়াসসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দাবিগুলো হল দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি শিক্ষকরাও আহত হয়েছেন; আমাদের স্থাপনায় সেনাবাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাঙচুর করেছে। যা আমাদের জন্য লজ্জানজক। এ হামলায় সংশ্লিষ্ট জড়িত প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে; বিশেষ করে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা যারা এই হামলার নির্দেশ দিয়েছে তাদের পদত্যাগ করতে হবে; ইতোপূর্বে সব বিশৃঙ্খলার সাথে সিটি কলেজ কিছু সন্ত্রাসী শিক্ষার্থী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এবং পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে সিটি কলেজকে স্থানান্তর করতে হবে; সিটি কলেজের যেসব শিক্ষকরা এই নিন্দনীয় ঘটনা সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে ও জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে; এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে পরিদর্শন করতে হবে; এই হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে; বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাত শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাই, পরিকল্পিতভাবে ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে হামলা করে বর্তমান সরকারতে ব্যর্থ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে সরাসরি সিটি কলেজ ও পুলিশ জড়িত ছিল। ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে ঢাকা কলেজে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এর পূর্বে, বুধবার (২০ নভেম্বর) ‍দুপুরে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ঢাকা কলেজের বাস যেতে তারা বাধা দেন এবং সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের ‘শঙ্খনীল’ নামে একটি বাস ভাঙচুর করে। এর পরপরই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সায়েন্স ল্যাবে গেলে তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর পূর্বে, গেল ২৮ অক্টোবর সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। পরে ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ রাখেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর পর মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়। শনিবার (১৬ নভেম্বর) কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কাজী নেয়ামুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়।

ঢাবিতে শেখ হাসিনার প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শেখ হাসিনা, রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুর প্রতীকী কফিন মিছিল করেছে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রজনতা’ নামে একটি সংগঠন। বুধবার (২০ নভেম্বর) মিছিলটি ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনাতয়নের (টিএসসি) পায়রা চত্বর থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, হলপাড়া, কলাভবনসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টিএসসিতে এসে শেষ হয়। এর পূর্বে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি যেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা। এ সময় বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের হামলায় জুলাই-আগস্টে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তারা আর কখনো ফিরবে না। তাহলে ফ্যাসিবাদ কেন আবার ফিরে আসবে। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রতি বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো দুই হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখছে। তাদের এমন স্বপ্ন এ বাংলাদেশে আর কখনো বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘‘বিএনপি একটি বড় দল হিসেবে নাকি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের রায় দিয়েছেন।’’ আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই- আপনাদের ম্যান্ডেট কে দিয়েছে? আহত ও শহীদদের ম্যান্ডেট হল- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। আওয়ামী লীগের দোসররা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এখনো আহতরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। অথচ আমাদের শুনতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে। আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসররা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। যে ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে তারা চায় না আওয়ামী লীগ ফিরে আসুক। এ বিষয়ে উপদেষ্টাদের কাছে থেকে আমরা সুস্পষ্ট বিবৃতি চাই।’ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর ১০০ দিন পার হওয়ার পরও ফ্যাসিবাদীরা উঁকিঝুঁকি করছে। বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করছে। উপদেষ্টা পরিষদেও যুক্ত হচ্ছে। তাদের কবর দেওয়ার জন্য ছাত্র-জনতা ফের এক হয়েছে।’ মিছিলে অংশ নেয়া ছাত্র-জনতা ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না; জাতীয় পার্টির ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান।

ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজে সংঘর্ষে আহত ৩২ শিক্ষার্থী ঢামেক হাসপাতালে

ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকাল চারটা থেকে আহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। আহতরা হলেন শাহরিয়ার (২১), নূর হোসেন (২৪), মো. তুষার (১৮), অনিম (২১), সিজান (১৮), রিফাত (২১), আরাফাত (২১), নিরব (২১), শরিফ (২১), ইয়াকুব (১৮), মেহেদী হাসান (২১), আল ইমরান (১৮), তানভীর (১৮), সুজন (১৮), আরিফ (১৭), মহিউদ্দিন (২৩), তারেক (৩২), তাহসিন (১৮), ফয়সাল (১৮), তরিকুল ইসলাম রাজীব (২৫), মো. আলী (১৭), হাসান (১৮), ইসমাইল (১৮), ফাইয়াদ (১৮), মাহির (১৭), সাকিন (১৮), তানভীর (১৮), তামিম (১৮), তাসফিকুর রহমান (১৭), আশিক (১৮), রাজ (১৮) ও মেহেদী (১৮)। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের মধ্যে সংঘর্ষে আহত অনেক শিক্ষার্থী ঢামেক হাসপাতালে এসেছেন। কেউ কেউ চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে গেছেন। কয়েকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ঢাকা কলেজের বাসে সিটি কলেজের হামলার জেরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করেন। পরে দুপুরে ঢাকা কলেজের একটি বাসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জুবায়ের আরেফিন প্রিয় অভিযোগ করেন, বুধবার (২০ নভেম্বর) আনুমানিক দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কলেজ থেকে হেঁটে বাসায় ফেরার সময় ধানমন্ডি এক নম্বর রোডে ১০-১৫ জন কলেজ ছাত্র দৌড়ে এসে আমার মাথার পেছন দিকে আঘাত করতে শুরু করে। শার্টের পকেট ছিঁড়ে আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। আমি তাদের বলি, ভাই আমি তো কিছুই করিনি, তাহলে কী সমস্যা। তারা বলল, এটা কলেজে কলেজে মারামারি, তুমি বুঝবে না। ছেলেগুলো কলেজ ড্রেস পরে ছিল। কিন্তু, গলায় কোন আইডি কার্ড ছিল না। সাদা শার্ট-কালো প্যান্ট ও ঘাড়ে ব্যাগ ছিল। আশপাশের মানুষের মন্তব্যে বুঝা গেছে তারা সিটি কলেজের ছাত্র।

ঢাকা-সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থামাতে কাঁদানে শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকাল পৌনে তিনটার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, ওই এলাকার সড়কগুলোতে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এরপর সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছু হটেন। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব মোড়ের কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে চলে যান। শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই এলাকায় যান চলাচলা শুরু হয়েছে। দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের এ সংঘর্ষের মধ্যে বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে নিউ মার্কেট ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের এ সংঘর্ষের পেছনে রয়েছে গতকাল মঙ্গলবারের (১৯ নভেম্বর) একটি ঘটনা। পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্রের একটি বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে তাদের সাথে সিটি কলেজের কয়েক শিক্ষার্থীর হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে আজ বেলা ১১টার দিকে সিটি কলেজের এক দল শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের দুইটি বাস ভাঙচুর করেন। পাল্টায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা জোটবদ্ধ হয়ে সিটি কলেজে গিয়ে ভাঙচুর করেন। পরে, সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধ হয়ে বিকাল তিনটার দিকে সায়েন্স ল্যাব মোড়ের দিকে এগিয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা এগিয়ে আসেন। পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সংঘর্ষের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সায়েন্স ল্যাবের আশপাশের সড়কগুলোতে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়।’

শুধু পরীক্ষার নম্বরের ওপর জোর দেয়া শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি উচিত নয়

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘দেশে উদ্যোক্তাদের একটি প্রজন্ম তৈরি করতে হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হতে হবে, যাতে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে।’ বুধবার (২০ নভেম্বর) ঢাকায় সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা। তবু, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে। এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে সংস্কার করা উচিত; যাতে এটি একটি প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। আমাদের এমন শিক্ষাব্যবস্থা দরকার, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মানুষ হতে সাহায্য করবে। আমাদের তরুণদের মধ্যে সৃজনশীলতার যে সম্ভাবনা রয়েছে, তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে।’ প্রধান উপদেষ্টা সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ও পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা উচিত নয় যেখানে শুধু পরীক্ষার নম্বরের ওপর জোর দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার নম্বর কত পেল সেটাই যে সবকিছু না, এটি সবার উপলব্ধি করা উচিত।’ প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সমাজে জেনারেশন গ্যাপ (পূর্ববর্তী প্রজন্মের সাথে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যবধান) কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই নতুন প্রজন্মের ভাষা, তাদের আকাঙ্ক্ষা ও তাদের চিন্তার প্রক্রিয়া বুঝতে হবে।’ মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, ‘আমাদের তরুণদের ভাষা ও চিন্তা প্রক্রিয়া বুঝতে হবে। আমাদের জানতে হবে কীভাবে প্রবীণ প্রজন্ম তাদের অভিজ্ঞতা তরুণ প্রজন্মের সাথে শেয়ার করে নিতে পারে।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তরুণ ও প্রবীণ প্রজন্মের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে, এটি সমস্যা তৈরি করবে। আমাদের অবশ্যই দুই প্রজন্মের মধ্যে ধ্যান-ধারণার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে।’ তিনি আমাদের জাতীয় পাঠ্যক্রমে পারিবারিক মূল্যবোধ অন্তর্ভুক্তির প্রতিও জোর দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের উপস্থিত ছিলেন।

ফের সংঘর্ষে জড়াল ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীরা

ঢাকা সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এখনো থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ। সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের কলেজের প্রধান ফটকের সামনে ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরপরই এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ধাওয়া করছেন, ইট-পাটকেল ছুড়ছেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সায়েন্স ল্যাব মোড় ও আশপাশের এলাকার সড়কে যান চলচাল বন্ধ হয়ে গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার (২০ নভেম্বর) থেকে সিটি কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, ‘স্বৈরাচারের সহযোগী’ শিক্ষকদের পদত্যাগ দাবিতে বুধবার (২০ নভেম্বর) বিক্ষোভ করছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে দুপুরের দিকে ঢাকা কলেজের একটি বাসে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। তবে, বিকাল চারটা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। গোটা এলাকায় শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেগ পোহাতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। এ নিয়ে দুই কলেজ কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই বিভিন্ন সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের প্রধান ফটক তুলে নিয়ে এসেছিল।

প্রাথমিকের সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত হাইকোর্টে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচাপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। কাল বুধবার (২০ নভেম্বর) থেকে এ সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষককে নিয়োগ পত্র দেওয়ার কথা ছিল। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর মোহাম্মদ আজমী। গেল ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ছয় হাজার ৫৩১ জন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

আন্দোলন স্থগিত করল তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব কিনা; সে ব্যাপারে সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে সময় পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সিরাজ উদ দৌলা খান। তিনি জানান, আগামী রোববার থেকে বৃহস্পতিবারের একটি কমিটি গঠন হতে পারে। এর পূর্বে, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বসেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমযার্দা) এম আমিনুল ইসলাম। এ দিকে, ছাত্রদের পক্ষ থেকে ছিলেন মাহমুদ হাসান মুক্তার, মোশাররফ রাব্বি, নেয়েক নূর মোহাম্মদ, আব্দুল হামিদ, নূরুদ্দিন জিসান, মতিউর রহমান জয়, জাহাঙ্গীর সানি, মেহেদী হাসান মাল, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেল্লাল, আল নোমান নিরব, হাবিবুল্লাহ রনি, মো. তোয়াহা ও কাউসার বলে রাখা ভাল, সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করছেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ‘ক্লোজডাউন’ কর্মসূচি চলছিল তাদের।

প্লেপেন স্কুল ও জাপান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি

প্লেপেন স্কুলের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় জাপান দূতাবাসের সহায়তায় জাপানে একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। এতে প্লেপেন স্কুলের নয় শিক্ষার্থী এবং দুই জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। জাপান দূতাবাসের সহায়তায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে টোকোনাম সিটি স্টুডেন্টস ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ কনফারেন্স অ্যাসোসিয়েশন (টিএসআইই) এবং টোকোনাম সিটি কাউন্সিল। প্লেপেন প্রথম বাংলাদেশি স্কুল হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ টোকোনাম ফ্লোট ফ্ল্যাস্টিভ্যালে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিনিধিদলের যাত্রা শুরু হয় জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আইকনিক টোকিও স্কাইট্রি পরিদর্শনের মাধ্যমে। টোকোনামে পৌঁছানোর পর, টিএসআইই স্বেচ্ছাসেবক এবং আয়োজক পরিবারগুলো দলটিকে উষ্ণ স্বাগত জানায়। দুই সপ্তাহ অবস্থানকালে দলটি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়। তারা INAX ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করেছে, যা শৌচাগারের ফিক্সচার, দরজা এবং সিরামিক তৈরিতে দক্ষতার জন্য বিখ্যাত। টোকোনামের দীর্ঘস্থায়ী মৃৎশিল্পের ঐতিহ্যে নিজেদের নিমজ্জিত করে তারা বিখ্যাত মৃৎশিল্পের ফুটপাথও অন্বেষণ করেছে। ছাত্ররা টোকোনামে শহরের মেয়র মি. তাতসুয়া ইতোর সঙ্গে দেখা করে। ট্রিপের হাইলাইট ছিল টয়োটা স্মারক মিউজিয়াম অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোলজি পরিদর্শন, যেখানে শিক্ষার্থীরা জাপানের সমৃদ্ধ শিল্প ইতিহাস সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করেছিল। একটি পৃথক ইভেন্টে, তারা আইচি প্রিফেকচারের গভর্নর মি. হিদেকি ওমুরার সঙ্গে দেখা করার জন্য সম্মানিত হয়েছিল, যেখানে প্লেপেনের ছাত্ররা বাংলাদেশি ঐতিহ্য উদযাপনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছিল। আইচি প্রিফেকচারের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের আইকনিক অ্যাসেম্বলি বিল্ডিং কমপ্লেক্স দেখতে ও জানতে সাহায্য করেছেন। বিনিময়টি রোটারি ক্লাবে পরিদর্শনের মাধ্যমে অব্যাহত ছিল, যেখানে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ বিষয়ে উপস্থাপনা করে এবং প্লেপেনের মূল্যবোধের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা একটি বিশেষ ক্যালিগ্রাফি ক্লাসও উপভোগ করেছিল, যেখানে তারা ঐতিহ্যবাহী জাপানি লেখার কৌশল শিখেছিল। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জাপানি শিক্ষার্থীদের সাথে সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করে সেকাই জুনিয়র হাই স্কুল এবং নানরিও জুনিয়র হাই স্কুল পরিদর্শনের সুযোগ পেয়েছিলেন। স্থানীয় জীবন উপভোগ করার জন্য, প্লেপেন শিক্ষার্থীরা হোস্ট পরিবারের সাথে থাকে, তাদের জাপানি সংস্কৃতিতে একটি খাঁটি নিমজ্জিত করে। তাদের স্থানীয় খামারে কমলা বাছাই করার, ঐতিহ্যবাহী কিমোনো ব্যবহার করার এবং কেন্ডো, কারাতে এবং ডজবলের মতো জাপানি ক্রীড়া কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল। ঢাকায় জাপান দূতাবাস মাধ্যমে এই বিনিময় প্লেপেন শিক্ষার্থীদের একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে দেয়, যা দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সাংস্কৃতিক বোঝাপড়ার সেতু তৈরি করে এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতা বৃদ্ধি করে।

তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে কমিশন গঠন না করা পর্যন্ত সড়কে থাকবে শিক্ষার্থীরা

ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালী এলাকায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। প্রথম দফায় সড়ক ছাড়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ফের তারা মহাখালীতে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন। এ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে কমিশন গঠন না করা পর্যন্ত তারা সড়কেই অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে কমিশন গঠনের দাবিতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে এসে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছিলেন। পরে ১২ জনের প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে আলোচনার জন্য গেলে তারা চারটার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন। তবে, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আলোচনা শেষে সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন। এ সংবাদ পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা মহাখালীতে সড়ক অবরোধ করেন। এরপর অবশ্য প্রতিনিধিরা সচিবালয় থেকে সরে এসে মহাখালীতে শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দেন। তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাফায়েত শফিক সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুইজন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের সাথে কথা বলেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যাওয়া প্রতিনিধিরা। সেখানে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত আসেনি। উপদেষ্টারা জানিয়েছেন, ব্যাপারটি নিয়ে কী করা হবে, সেটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হবে। এখন সরকার কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেটি বিবৃতি দিয়ে না জানানো পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ধোঁয়াশার মধ্যে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত বিবৃতির দাবিতে তারা সড়ক অবরোধ করেছেন। তবে, সোমবার (১৯ নভেম্বর) রাত আটটার দিকে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের একজন আবদুল হামিদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘দাবির ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে সচিবালয়ে আলোচনা বসতে বার বার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর তারা সচিবালয়ে যান। প্রথমে তারা (উপদেষ্টারা) ইতিবাচক ছিলেন; কিন্তু পরে তারা জানান কাল ফের আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদের উদ্দেশ্য মনে হচ্ছে কালক্ষেপণ করা। এ পরিস্থিতিতে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়। এখন আমাদের দাবি, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার কমিশন গঠন করা। এখন আমরা আর সচিবালয়ে যাব না। কলেজে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত কমিশন করার সিদ্ধান্ত না আসবে, সড়ক ছাড়ব না।’ আর সচিবালয়ে থেকে নিজেদের অনশন প্রত্যাহার করা নিয়েছেন জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা এখন তিতুমীর কলেজের সামনে অবস্থান অব্যাহত রাখব।’ এর পূর্বে একই দাবিতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে দেড় থেকে দুই হাজার শিক্ষার্থী তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি আমতলী মোড় হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় অবস্থান নেয়। এতে মহাখালী থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকের সড়কে দুই পাশেই সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। বিকাল চারটা পর্যন্ত এ অবরোধ চলে। বিকাল চারটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের দিকে চলে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর শিক্ষার্থীরা ফের সড়কে নেমে আসেন।

৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল পুনরায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত পিএসসির

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল পুনরায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সোমবার (১৮ নভেম্বর) পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল গেল ৯ মে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় দশ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের সঙ্গে আরো সমসংখ্যক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘৪৪তম, ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সন্দেহ সংক্রান্ত সব বিষয় গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়। কমিশন উল্লিখিত পরীক্ষাগুলোর স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে কয়েটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে তিন হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গেল ১৮ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গেল ২৫ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। গেল ৮ অক্টোবর তৎকালীন কমিশন পদত্যাগ করে। মৌখিক পরীক্ষায় সমমান বজায় রাখার জন্য আগের কমিশন কর্তৃক গৃহীত ৪৪তম বিসিএস-২০২১’-এর আংশিক অর্থাৎ তিন হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর গৃহীত মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থী অর্থাৎ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিগিগিরই মৌখিক পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলমান ও দ্বিতীয় পরীক্ষক কর্তৃক মূল্যায়নের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখার স্বার্থে নতুন কমিশন সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ রেলওয়ের (উপসহকারী প্রকৌশলী) নন-ক্যাডার পদে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করছে। খুব শিগগিরই এ পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ফের সড়কে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

মহাখালী থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ফের সড়কে আন্দোলন শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনরত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে কলেজটির সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত প্রকাশ না করায় তাদের এ অবরোধ।’ এর পূর্বে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে কলেজটির শিক্ষার্থীরা। সাড়ে চার ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেয় তারা। এতে মহাখালি হয়ে যান চলাচল শুরু হয়। তবে, অবরোধের জেরে অসহনীয় যানজটে ভোগান্তিতে পরে নগরবাসী। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের ট্রেন চলাচল। এছাড়া মহাখালী, আমতলী, জাহাঙ্গীর গেটসহ আশপাশের সড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট। বিক্ষোভের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুরগামী একটি ট্রেনকে থামানোর চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু, ট্রেনটি না থেমে গতি কমিয়ে চলতে থাকলে বিক্ষোভকারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এক শিশুসহ কয়েকজন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। ট্রেনের কয়েকটি জানালার কাঁচও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাখালীর বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি/শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিতুমীর কলেজের ১২ ছাত্র

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্তি বাতিল করে সরকারি তিতুমীর কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দুই মাস ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সবশেষ সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না দিলে তারা কলেজে ফিরে যাবেন না। এরপর দুপুরে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাতে সাড়া দিয়ে বিকেল তিনটার দিকে সচিবালয়ে যায় তিতুমীরের ১২ শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা শিক্ষা উপদেষ্টা অথবা সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেছেন। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় করতে কমিশন গঠনসহ গ্রহণযোগ্য ও সুনির্দিষ্ট আশ্বাস পেলে তারা কর্মসূচি স্থগিত রাখবেন। আরা যদি সে ধরনের কোন আশ্বাস সরকার না দেয়, তাহলে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে শিগগির নয়া কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সদস্য মাহামুদুল হাসান জানান, তারা আলোচনা করছেন। এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্তে আসার মত কথাবার্তা হয়নি। পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন। সরকারি তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে কমিশন গঠনের দাবিতে গেল দুই মাসে একাধিক বার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এর পূর্বে গেল ২৪ অক্টোবর একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন তারা। তাদের আন্দোলনে রাজধানীজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। তারা সরকারকে দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের তাগিদ দেন।

এইচএসসি পাসের পরই বিসিএস পরীক্ষা নিতে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন

এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করার পরই বিসিএস পরীক্ষা নেয়াসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে ‘প্রশাসনিক সংস্কার ও উন্নয়ন: বর্তমান প্রেক্ষিত ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা এ সুপারিশ করেন। নিচে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সুপারিশগুলো তুলে ধরা হলো- সেমিনারে কর্মকর্তারা নানা সুপারিশ তুলে ধরেন। জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এইচএসসি পাস করার পরেই বিসিএস পরীক্ষার পক্ষে মতামত তুলে ধরেন। দক্ষ জনপ্রশাসনের জন্য প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে সাহসী কর্মকর্তার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, অবিলম্বে প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। সাবেক যুগ্ম সচিব হারুনুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে উপসচিব এবং জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পদায়নের পক্ষে মত দেন। বর্তমানে ইউএনও পদে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এবং ডিসি পদে উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পদায়ন দেওয়া হয়। মূল প্রবন্ধেও নানা সুপারিশ উঠে আসে। এর মধ্যে রয়েছে বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) প্রক্রিয়ায় সংস্কার, নিয়োগপ্রক্রিয়ার শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, যুগ্ম সচিব পর্যায় থেকে পরবর্তী বিভিন্ন স্তরে পদোন্নতির জন্য বিশেষ কোনো নৈর্ব্যক্তিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরীক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তন করা ইত্যাদি। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব মো. আনোয়ার উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

যে কারণে ঢাবি ছাত্রদলের ছয় নেতাকে অব্যাহতি

অনুপ্রবেশের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা) শাখা ছাত্রদলের ছয় নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হলে সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে অভিযোগগুলোর তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ছয়জনকে স্ব স্ব পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হল।’ অব্যাহতি প্রাপ্তরা হল সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রিমন, মাহাদী ইসলাম নিয়ন, জেন্ডার ন্যায্যতা ও সমতা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা সুকাইনা নাফিসা তরঙ্গ, সহ-পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন, সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রায়হান হোসেন। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়। পাশাপাশি, এই তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

প্রাইমারি সহকারী শিক্ষকদের জন্য এ মুহূর্তে ১০ম গ্রেড বাস্তবসম্মত নয়

সহকারী শিক্ষকদের জন্য এ মুহূর্তে ১০ম গ্রেড বাস্তবসম্মত নয়, তবে প্রস্তাবটা অযৌক্তিক নয় বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। রোববার (১৭ নভেম্বর) সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে আছেন। তারা ১০ম গ্রেড চাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকরা এখনও ১০ম গ্রেড পাননি। সহকারী শিক্ষকদের জন্য এ মুহূর্তে ১০ম গ্রেড বাস্তবসম্মত নয়, তবে প্রস্তাবটা অযৌক্তিক নয়। প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড ১১তম। সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হন। তখন গ্রেড পরিবর্তন হবে। আশা করি একদিন পাবে। এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। তিনি আরও বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষকের ৯ হাজার ৫৭২টি পদ সৃজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। সেখানে সহকারী শিক্ষকরা শতভাগ পদোন্নতি পাবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, বিগত কয়েক বছর থেকে ১ জানুয়ারি বই উৎসব করে আসছে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি জানুয়ারিতে বই দেওয়ার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাঠ্যপুস্তকে কিছুটা পরিমার্জন হয়েছে। প্রাথমিকের বই ছাপানোর ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আশা করি জানুয়ারিতে প্রাথমিকের বই পৌঁছে দিতে পারব। উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশে যে প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে উঠেছে, তারা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য ও দক্ষ। জুলাই-আগস্টের টালমাটাল অবস্থায়ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের ছন্দে পরিবর্তন হয়নি, ভেঙে পড়েনি। সরকারের সংস্কার ও পুনর্গঠন কাজে যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন। জনগণ ট্যাক্স দেয়, তারা নিরাপত্তা চায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা দিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা জটিল। ধীরে ধীরে উন্নতি ঘটবে। সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবু নুর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম। উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে আমরা কোনো না কোনোভাবে ইনভলভ। প্রাথমিক শিক্ষা ঠিকমতো না হলে গোড়ায় গলদ থেকে যায়। প্রাথমিক শিক্ষা ঠিকমতো চলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন। এলজিইডি আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করার ক্ষেত্রে জড়িত আছে। আপনারা ঠিক সময়মতো মানসম্মত অবকাঠামো তৈরি করবেন। প্রশাসন সেগুলো নজরদারিতে রাখবে। তিনি আরও বলেন, একটি গবেষণায় উঠে এসেছে- প্রাথমিক শিক্ষায় ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে সিলেট অঞ্চল পিছিয়ে আছে। আমাদের বিপুল জনশক্তি রয়েছে। জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তরে সিরিয়াসলি কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি কখনও। যদি নেওয়া হতো ডেফিনেটলি এ অবস্থায় থাকতো না। উপদেষ্টা সেখানে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। দুপুরে উপদেষ্টা সিলেটে গ্র্যান্ড হোটেলে ‘ওয়ার্কশপ অন ডিজাইনিং ফর দ্য নেক্সট সেক্টর প্রোগ্রাম পিইডিপি-৫’ এ বক্তব্য দেন। পরে তিনি সিলেট পিটিআই পরিদর্শন।

জানুয়ারিতে বই দেয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে:  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আমাদের দেশে যে প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে উঠেছে; তারা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য ও দক্ষ। জুলাই-আগস্টের টালমাটাল অবস্থায়ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের ছন্দে পরিবর্তন হয়নি, ভেঙে পড়েনি। সরকারের সংস্কার ও পুনর্গঠন কাজে যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন। জনগণ ট্যাক্স দেয়, তারা নিরাপত্তা চায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা প্রদানে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা জটিল। ধীরে ধীরে উন্নতি ঘটবে। উপদেষ্টা আজ সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবু নুর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, ডিআইজি মোঃ মুশফেকুর রহমান, পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম। উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার সাথে আমরা কোন না কোনভাবে ইনভলভ। প্রাথমিক শিক্ষা ঠিকমতো না হলে গোড়ায় গলদ থেকে যায়। প্রাথমিক শিক্ষা ঠিকমতো চলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন। এলজিইডি আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করার ক্ষেত্রে জড়িত আছে। আপনারা ঠিক সময়মত মানসম্মত অবকাঠামো তৈরি করবেন। প্রশাসন সেগুলো নজরদারিতে রাখবেন। তিনি জানান, একটি গবেষণায় উঠে এসেছে- প্রাথমিক শিক্ষায় ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে সিলেট অঞ্চল পিছিয়ে আছে। আমাদের বিপুল জনশক্তি রয়েছে। জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তরে সিরিয়াসলি কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি কখনও। যদি নেয়া হতো ডেফিনেটলি এ অবস্থায় থাকত না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা জানান, বিগত কয়েক বছর থেকে পহেলা জানুয়ারি বই উৎসব করে আসছে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি জানুয়ারিতে বই দেয়ার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাঠ্যপুস্তকে কিছুটা পরিমার্জন হয়েছে। প্রাথমিকের বই ছাপানোর ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আশা করি জানুয়ারিতে প্রাথমিকের বই পৌঁছে দিতে পারব। সহকারী শিক্ষকগণ ১৩ তম গ্রেডে আছেন। তারা দশম গ্রেড চাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকরা এখনো দশম গ্রেড পাননি। সহকারী শিক্ষকদের জন্য এই মুহূর্তে দশম গ্রেড বাস্তবসম্মত না, তবে প্রস্তাবটা অযৌক্তিক নয়। প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড ১১তম। সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হন। তখন গ্রেড পরিবর্তন হবে। আশা করি একদিন পাবে। এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। সহকারী প্রধান শিক্ষকের ৯,৫৭২টি পদ সৃজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। সেখানে সহকারী শিক্ষকরা শতভাগ পদোন্নতি পাবে। উপদেষ্টা পরে একই স্থানে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। দুপুরে উপদেষ্টা সিলেটে গ্রান্ড হোটেলে 'ওয়ার্কশপ অন ডিজাইনিং ফর দা নেক্সট সেক্টর প্রোগ্রাম পিইডিপি-৫' এ বক্তৃতা করেন। এরপর উপদেষ্টা সিলেট পিটিআই পরিদর্শন।

ঢাবির টিএসসির পায়রা চত্বরে নবান্নের সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির পায়রা চত্বরে নৃত্য, আবৃত্তি, সংঙ্গীত, নাটক, যাদু প্রদর্শনী, পালাগান ও পুথিঁপাঠসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে পহেলা অগ্রহায়ণ নবান্ন উৎসব। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর আয়োজনে সাংস্কৃতিক উৎসব, র‌্যালি ও মেলার আয়োজন করা হয়। উৎসবে লালনগীতি পরিবেশন করেন একক ও বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা। এ উপলক্ষে নবান্ন মেলা স্টলে, পিঠাপুলি, বাহারি পোশাক, রঙিন সজ্জায় বাঁশির ধ্বনি ও দর্শকদের অংশগ্রহণে মুখর হয়ে উঠে পুরো চত্বর। প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি আবদুল হাই শিকদার। তিনি বলেন, ‘গেল ৫ আগস্ট যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তা অর্থবহ করতে হবে সংস্কৃতি দিয়ে। হাফ ডান স্বাধীনতা থেকে আমরা পূণাঙ্গ স্বাধীনতা পেয়েছি। সংস্কৃতিকে মোকাবেলা করতে হবে সংস্কৃতি দিয়ে, নাটককে মোকাবেলা করতে হবে নাটক দিয়ে। আমরা যদি জাতীয় সংহতিকে সমৃদ্ধ রাখতে পারি, তাহলে আমাদের অবস্থা সিকিমের মত হবে না।’ বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর আহ্বাক, মিন্ময় মিজানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর নিবাহী সদস্য এসএম বিপাশ আনোয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী ও গবেষক নাসিম আহমেদ ও ঢাবির ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শহীদুল জাহীদ।

দুই ঘণ্টা অবরোধের পর  সড়ক ছেড়েছে শিক্ষার্থীরা

মেধার ভিত্তিতে ভর্তির দাবিতে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর সড়ক ছেড়েছে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, ‘লটারি নয়, মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করতে হবে’। জানা যায়, মহামারি করোনার সময়ে প্রতিষ্ঠানটিতে লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই পদ্ধতি বাতিল করে মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে ভর্তির দাবি জানিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটামও দেওয়া হয়। দাবি না মানায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শিক্ষর্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবরোধের কারণে আসাদগেট ও আশপাশের এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের মাধ্যমে আলোচনা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দেয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আসলাম বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দেয়। এদিকে শিক্ষার্থীরা চলে গেলেও আসাদগেট ও আশপাশের এলাকার সড়কে তীব্র যানজট রয়েছে।