সিটি কলেজ সরিয়ে নেয়াসহ ১১ আবদার ঢাকা কলেজের


2024-Novemer 18/Dhaka College.jpg

ঢাকা সিটি কলেজকে বর্তমান অবস্থান থেকে সরিয়ে নেয়াসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ঢাকা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকম রফিকুল ইসলাম। এ সময় অধ্যক্ষ একেএম ইলিয়াসসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দাবিগুলো হল দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি শিক্ষকরাও আহত হয়েছেন; আমাদের স্থাপনায় সেনাবাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাঙচুর করেছে। যা আমাদের জন্য লজ্জানজক। এ হামলায় সংশ্লিষ্ট জড়িত প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে; বিশেষ করে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা যারা এই হামলার নির্দেশ দিয়েছে তাদের পদত্যাগ করতে হবে; ইতোপূর্বে সব বিশৃঙ্খলার সাথে সিটি কলেজ কিছু সন্ত্রাসী শিক্ষার্থী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এবং পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে সিটি কলেজকে স্থানান্তর করতে হবে; সিটি কলেজের যেসব শিক্ষকরা এই নিন্দনীয় ঘটনা সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে ও জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে; এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে পরিদর্শন করতে হবে; এই হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে; বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাত শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাই, পরিকল্পিতভাবে ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে হামলা করে বর্তমান সরকারতে ব্যর্থ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে সরাসরি সিটি কলেজ ও পুলিশ জড়িত ছিল। ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে ঢাকা কলেজে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

এর পূর্বে, বুধবার (২০ নভেম্বর) ‍দুপুরে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ঢাকা কলেজের বাস যেতে তারা বাধা দেন এবং সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের ‘শঙ্খনীল’ নামে একটি বাস ভাঙচুর করে। এর পরপরই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সায়েন্স ল্যাবে গেলে তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

এর পূর্বে, গেল ২৮ অক্টোবর সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। পরে ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ রাখেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর পর মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়। শনিবার (১৬ নভেম্বর) কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কাজী নেয়ামুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×