ঢাবির টিএসসির পায়রা চত্বরে নবান্নের সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির পায়রা চত্বরে নৃত্য, আবৃত্তি, সংঙ্গীত, নাটক, যাদু প্রদর্শনী, পালাগান ও পুথিঁপাঠসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে পহেলা অগ্রহায়ণ নবান্ন উৎসব। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর আয়োজনে সাংস্কৃতিক উৎসব, র‌্যালি ও মেলার আয়োজন করা হয়। উৎসবে লালনগীতি পরিবেশন করেন একক ও বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা। এ উপলক্ষে নবান্ন মেলা স্টলে, পিঠাপুলি, বাহারি পোশাক, রঙিন সজ্জায় বাঁশির ধ্বনি ও দর্শকদের অংশগ্রহণে মুখর হয়ে উঠে পুরো চত্বর। প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি আবদুল হাই শিকদার। তিনি বলেন, ‘গেল ৫ আগস্ট যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তা অর্থবহ করতে হবে সংস্কৃতি দিয়ে। হাফ ডান স্বাধীনতা থেকে আমরা পূণাঙ্গ স্বাধীনতা পেয়েছি। সংস্কৃতিকে মোকাবেলা করতে হবে সংস্কৃতি দিয়ে, নাটককে মোকাবেলা করতে হবে নাটক দিয়ে। আমরা যদি জাতীয় সংহতিকে সমৃদ্ধ রাখতে পারি, তাহলে আমাদের অবস্থা সিকিমের মত হবে না।’ বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর আহ্বাক, মিন্ময় মিজানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যর নিবাহী সদস্য এসএম বিপাশ আনোয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী ও গবেষক নাসিম আহমেদ ও ঢাবির ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শহীদুল জাহীদ।

দুই ঘণ্টা অবরোধের পর  সড়ক ছেড়েছে শিক্ষার্থীরা

মেধার ভিত্তিতে ভর্তির দাবিতে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর সড়ক ছেড়েছে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, ‘লটারি নয়, মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করতে হবে’। জানা যায়, মহামারি করোনার সময়ে প্রতিষ্ঠানটিতে লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই পদ্ধতি বাতিল করে মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে ভর্তির দাবি জানিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটামও দেওয়া হয়। দাবি না মানায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শিক্ষর্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবরোধের কারণে আসাদগেট ও আশপাশের এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের মাধ্যমে আলোচনা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দেয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আসলাম বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দেয়। এদিকে শিক্ষার্থীরা চলে গেলেও আসাদগেট ও আশপাশের এলাকার সড়কে তীব্র যানজট রয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের চালু হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ফের ভর্তি পরীক্ষা চালু হচ্ছে। আগামী বছর থেকে এ ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএসএম আমানুল্লাহ। একই সাথে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে বগুড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হবে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব তথ্য জানান। জানা গেছে, গেল কয়েক বছর ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএসসি, এইচএসসির জিপিএ এবং প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা তৈরি হয়ে আসছে। তার ভিত্তিতে শূন্য আসনে ভর্তি করা হয়ে থাকে। সমাবেশে এএসএম আমানুল্লাহ বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক টিমের সব সদস্যকে সাথে নিয়ে আমরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। আমরা ২০২৫ সালকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাবর্ষ ঘোষণা করেছি। পূর্বের সব পরীক্ষা যদি আমরা আগামী বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে পারি তাহলে সেশনজট ৬০-৭০ শতাংশ কমাতে সক্ষম হব।’ সমাবেশে বক্তৃতা করেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হাছানাত আলী, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই ছিদ্দিক, পরিচালক রফিকুল ইসলাম।

বিপ্লবে বাচ্চারা প্রাণ দেয় আর মুরুব্বিরা পদ ভাগাভাগি করেন

বিপ্লবে বাচ্চারা গুলির সামনে জীবন দেয় আর মুরুব্বিরা পদ ভাগাভাগিতে মেতে উঠেন বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) শিক্ষা অধিকার সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ‘বাচ্চারা গুলির সামনে জীবন দেয় আর বিপ্লবের পর মুরুব্বিরা পদ ভাগাভাগি করেন!’ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সামনে প্রতিটি প্রশ্নের বিনিময়ে বুদ্ধিজীবীরা সুবিধা নিতেন বলেও অভিযোগ করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয় অর্জনকে একজনের একক অবদান হিসেবে তুলে ধরার অপপ্রয়াস থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তকে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অতিরঞ্জিত প্রশংসার ফলে তার প্রতি বিরক্তির উদ্রেক হয়েছে।’হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘তরুণরা শুধু ইতিহাসের পাঠক নয়, এবার তারা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তাই, ইতিহাসে যার যে অবদান পাঠ্যপুস্তকে তা যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে।’

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে ১ ডিসেম্বর

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে, যা চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর নির্বাচনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে। এবার প্রতি বিভাগে পরীক্ষার্থীদের ফি গত বছরের তুলনায় ১০০ টাকা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যা বুধবার (১৩ নভেম্বর) শিক্ষাবোর্ড অনুমোদন করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের তথ্যসংবলিত সম্ভাব্য তালিকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। সম্ভাব্য তালিকা থেকে ১ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। বিলম্ব ফি ছাড়া অনলাইনে ফি জমা দেওয়ার সময় ১০ ডিসেম্বর। আর ১০০ টাকা বিলম্ব ফি বা জরিমানা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ১১-১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফরম পূরণ করতে পারবে। জরিমানাসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। বিলম্ব ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর। কোন বিভাগে কত ফি মানবিক, ব্যবসা ও বিজ্ঞান শাখার জন্য আলাদা আলাদা ফি নির্ধারণ করেছে শিক্ষাবোর্ড। এরমধ্যে মানবিক ও ব্যবসা বিভাগের একজন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ‍২ হাজার ১২০ টাকা ফরম পূরণের ফি আদায় করতে পারবে স্কুলগুলো। বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণের ফি বাবদ দিতে হবে ২ হাজার ২৪০ টাকা। এর মধ্যে ব্যবহারিক ফিসহ কেন্দ্র ফি অন্তর্ভুক্ত বলেও জানিয়েছে বোর্ড। বিলম্ব ফি নিতে পারবে সর্বোচ্চ একশ টাকা। নবম ও দশম শ্রেণি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সর্বমোট ২৪ মাসের বেশি বেতন ও সেশন চার্জ নেওয়া যাবে না।

২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড

২০২৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষা তারিখ এখনও প্রকাশ করেনি শিক্ষা বোর্ড এরমধ্যে ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা সময়সূচি ঘুরছে সামাজিক মাধ্যমে। বিভ্রান্তিকর এ অপতথ্যের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পাঠ্যসূচি সম্পর্কিত চিঠি প্রচারিত হয়েছে, যা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে ইস্যুকৃত নয়। ২০২৬ সালৈর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

নতুন বছরের প্রথম মাসেই মিলবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক

নতুন বছরের প্রথম মাসেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যপুস্তক পাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের পাঠ্যপুস্তক এবং কারিগরি বোর্ডের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি এবং কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থীরা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথমদিকেই পাঠ্যপুস্তক পাবে।বৈঠক সূ্ত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাশাপাশি ইবতেদায়ির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ শ্রেণিগুলোর ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৬টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহে মোট ব্যয় হবে ৫২৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৭ টাকা।ইবতেদায়ির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিক (বাংলা ও ইরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরি শ্রেণির ৭ কোটি ৩১ লাখ ২৯ হাজার ৮৫৯টি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি। ১০৭টি লটে ৭৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে এই পাঠ্যপুস্তক নেওয়া হবে।এতে মোট ব্যয় হবে ২৮৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ১৩৮ টাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) সপ্তম শ্রেণি, দাখিল সপ্তম শ্রেণি এবং কারিগরির সপ্তম শ্রেণির বিনামূল্যের ৫ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৮৭টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। ৯৯টি লটে ৬৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে এই পাঠ্যপুস্তক নেওয়া হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৪০ কোটি ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৯ টাকা।

মাদরাসার কারিকুলাম সরকারের তত্ত্বাবধায়নে নেই: বিধান রঞ্জন

মাদরাসাগুলোতে কোন কারিকুলামে পড়াচ্ছে সেটা সরকারের নিয়ন্ত্রণে বা তত্ত্বাবধায়নে নেই বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় শিক্ষা একাডেমির এক গবেষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাইমারি থেকে মাদরাসায় শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেট হওয়ার পেছনে মাদরাসাকে অভিভাবকরা নিরাপদ মনে করেন। এজন্য বেশিরভাগ সময় প্রাইমারি থেকে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে। এছাড়া শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার আরও একটা কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক অবস্থা।প্রাইমারি পর্যায়ই একটি শিশুকে শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। সে জায়গাটিতে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।তিনি আরও বলেন, এখন ১৫০ উপজেলার স্কুলে মিড ডে মিল চালু করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করা হবে।

শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে কাজ শুরু হবে আগামীকাল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নাসির উদ্দীন বলেছেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের যে যৌক্তিক দাবি রয়েছে, সেগুলো যাতে বাস্তবায়ন করা যায় সেই লক্ষ্যে আগামীকাল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি আগামীকাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়ে যাবে।সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।অধ্যাপক নাসির উদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরাও আছি। দাবি পূরণ না হলে আমরাও আন্দোলনে অংশ নেব। শিক্ষার্থীদের আবাসনের সমস্যা রয়েছে, সেনাবাহিনীর হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করে শিক্ষার্থীদের এই কষ্ট দূর করা হবে। তার বক্তব্যের পর শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে থেকে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। সেখান থেকে তারা সরে গেলে সচিবালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি আগামী তিন দিনের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। তবে শিক্ষার্থীরা তা মানতে নারাজ, তারা এক কর্মদিবসের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার তাগিদ দেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ছাত্র আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান ভুলে যাইনি। আমাদের একটাই কষ্ট, এখনো শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে হয়। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আপনাদের সব দাবি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে মেনে নেওয়া হবে।এসময় শিক্ষার্থীরা তিন কর্মদিবসের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানালে নাহিদ ইসলাম বলেন, হলের সমস্যা তো আর একদিনের মধ্যে সমাধান সম্ভব নয়। আমরা আপনাদের দাবির বিষয়টা দেখছি। আর ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের বিষয়টা আমি আজই দেখছি।উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থাকবে না, হল থাকবে না, এটা হতে পারে না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, দ্রুত এসব দাবি মেনে নেওয়া হবে।এসময় শিক্ষার্থীরা একদিনের মধ্যে লিখিত প্রতিশ্রুতি চান। পাশাপাশি অসহযোগিতামূলক আচরণ করার জন্য শিক্ষা সচিবকে ক্ষমা চাইতে বলেন।তখন নাহিদ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলকে সচিবালয়ের ভেতরে যাওয়ার আহ্বান জানান। পরে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন।আন্দোলনরত শিক্ষার্থী একেএম রাকিব বলেন, শিক্ষা সচিবকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে দিতে হবে। তা না হলে আমরা এখান থেকে যাব না।তিনি জানান, তাদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল দাবি জানিয়ে শিক্ষা সচিবকে স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু সচিব তাদের সঙ্গে দেখা করেননি।এর আগে সোমবার দুপুর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন।তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসসহ পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করে আন্দোলন করছিলেন। সেগুলো হলো–১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে জবির নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে।৪. সম্প্রতি ইউজিসি ঘোষিত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট বরাদ্দ সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা হতে হবে।

মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১৭ জানুয়ারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। আজ রোববার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর রোববার দুপুরে তারিখ নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৭ জানুয়ারি মেডিকেল (এমবিবিএস) এবং ডেন্টাল (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারি, পবিত্র শবে বরাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ কয়েকটি কারণে ১৪ ফেব্রুয়ারি মেডিকেলের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আগামী ১৭ জানুয়ারি পরীক্ষা আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আর ২৮ ফেব্রুয়ারি ডেন্টালের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছিল। গত ২৯ অক্টোবর অভ্যন্তরীণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় একটিও নেই বাংলাদেশের

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৫-এর শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশি কোনো উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম নেই। এবারের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবস্থান ১১২তম। যা গতবার ছিল ১৪০তম। সে হিসেবে এবারের র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩৮তম ধাপ এগিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।এই প্রতিষ্ঠান ছাড়া তালিকার শীর্ষ ২০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্য রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। তালিকার বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অবস্থান যথক্রমে ১৫৫তম ও ১৫৮তম। এছাড়া এবারের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ২৯টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) এশিয়ার সেরা ৯৮৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রতি বছরের নভেম্বর মাসের শুরুতে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়।এশিয়ার সেরা ৯৮৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এবারও সবার সেরা হয়েছে চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি (বেইজিং)। এবারও দ্য ইউনিভার্সিটি অব হংক তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। র‍্যাঙ্কিংটি প্রধানত ১১টি সূচকের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।এর মধ্যে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম, পিএইচডিধারী কর্মী ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে করা র‍্যাঙ্কিংয়ের বিষয়ে অন্যতম একটি হলো কিউএস ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং। কিউএস প্রতিবছর কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক একটি র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করে।কিউএস অ্যাকাডেমিক খ্যাতি (অ্যাকাডেমিক রেপুটেশন), চাকরির বাজারে সুনাম (অ্যামপ্লয়ার রেপুটেশন), শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত (ফ্যাকাল্টি-স্টুডেন্ট রেশিও), শিক্ষক প্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতি (সাইটেশনস পার ফ্যাকাল্টি), আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত (ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাকাল্টি রেশিও), আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাত (ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট রেশিও), আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক (ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ নেটওয়ার্ক) ও কর্মসংস্থানের (অ্যাম্প্লয়মেন্ট আউটকামস) মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিবেচনা করে বৈশ্বিক উচ্চশিক্ষালয়গুলো মূল্যায়নে।

ঢাবির ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিলের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংযোজন ও সংশোধনের জন্য গঠিত রিভিউ কমিটি। আজ মঙ্গলবার কমিটির প্রথম সভায় এই সুপারিশ বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়।অনুষ্ঠিত ওই সভায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরই বিবেচনা করার সুপারিশ করা হয়। এই কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার নাতি বা নাতনি বিবেচনা না করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও বিগত বছরগুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী যে কোন নির্ধারিত কোটায় আসন পূরণ না হলে মূল মেধা তালিকায় ক্রমানুযায়ী শূণ্য আসন পূরণ করার সুপারিশ করা হয়।সভায় নেওয়া আরেকটি সিদ্ধান্ত হলো, সাধারণ ভর্তি কমিটির ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের সভার আলোচ্যসূচী ৫ এর সিদ্ধান্তের আলোকে প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী এই সুপারিশসমূহ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ হতেই কার্যকর করা এবং তা কার্যকরকল্পে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নের সুপারিশ করা হয়।এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে সোমবার (৪ নভেম্বর)। এ আবেদন আগামী ২৫ নভেম্বর রাত ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে। আবেদন ফি হিসেবে দিতে হবে ১ হাজার ৫০ টাকা। সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি চারুকলা, ২৫ জানুয়ারি কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন, ১ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান এবং ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

জামিন মেলেনি সচিবালয়ে ঢুকে পড়া সেই ২৬ শিক্ষার্থীর

এইচএসসি পরীক্ষায় বৈষম্যহীন ফলাফল প্রকাশের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় চকবাজার থানার দায়ের করা মামলায় ২৬ শিক্ষার্থীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন। অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।জামিন নামঞ্জুর হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন: জহিরুল ইসলাম (২০), মো. ফয়সাল হাসান (২১), মো. রায়হান হোসেন (২১), মো. রুবেল আহাম্মেদ (১৮), মো. রিয়াদ মাহমুদ (২১), মো. মেজবাউর রহমান (১৮), মেহেদী হাসান (১৮), সোহান (২১), ইমরান হোসেন আরমান (১৮), মেহেদী হাসান অন্তর (১৯), সাগর (১৮), রোহান (১৮), শাহরিয়ার হোসেন (১৮), আহাদ মোল্লা (২২), সোহান (১৮), মাসনুন (১৮), নাঈম (১৮), ইমাম হাসান (১৮), শাকিল (১৮), সেলিম (১৮), সাকলাইন মুস্তাক (১৮), হানজালাল (২২), মশিউর রহমান (১৮), প্রান্তিক (১৮), তাছিম রহমান (১৮) ও রবিন মিয়া (১৮)।এর আগে গত রোববার (৩ নভেম্বর) এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গত ২০ অক্টোবর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধাদানের বিষয়ে চকবাজার থানায় মামলা হয়। রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২৬ জনকে গ্রেফতারের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।প্রসঙ্গত, গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জের ধরে কিছু শিক্ষার্থী বিভিন্ন দাবি নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে আন্দোলন করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২০ অক্টোবর বেলা ১.৩০ মিনিটের দিকে অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন উচ্ছৃংখল শিক্ষার্থী দলবদ্ধ হয়ে চকবাজার মডেল থানাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মূল গেটে অবস্থান নেয়।পরে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে প্রধান গেইট ভেঙে অতর্কিতভাবে ভেতরে প্রবেশ করে তারা। অতঃপর তারা বোর্ডের প্রশাসনিক ভবনের সপ্তম তলায় চেয়ারম্যান মহোদয়ের দফতরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করে এবং আসবাপত্র ভাঙচুর করে। এসময় তাদের নিক্ষিপ্ত পাথরে পরিচ্ছন্নকর্মী রতন চন্দ্র রায়সহ (৩৫) কয়েকজন জখম হন। এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ-সচিব খলিলুর রহমান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটা মামলা দায়ের করেন।

উচ্চ শিক্ষা আলোচনার বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস ফোরাম (এইউপিএফ)’- এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছে স্বনামধন্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ)। ‘এশিয়া এলাইন্স ইউনিভার্সিটি (এএইউ): শিক্ষার মাধ্যমে ঐক্য সৃষ্টি- একটি প্লাটফর্ম, অসীম সম্ভবনা’ শিরোনামের এই আন্তর্জাতিক ফোরামের এক সেশনে অংশ নেয় ডিআইইউ’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং এইউপিএফ-এর বর্তমান কমিটির সদস্য ড. মো. সবুর খান। লিথুনিয়া, ম্যাকাউ, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণে সেশনটি সঞ্চালনা করেন তিনি। গত ৩১ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে ডংসিও ইউনিভার্সিটিতে এইউপিএফের তিনদিন ব্যাপী (৩০ অক্টোবর-১ নভেম্বর) সম্মেলনে এই সেশনটি আয়োজিত হয়। এ বছর এইউপিএফের এই সম্মেলনে বিশে^র বিভিন্ন প্রান্তের ১৫টি দেশের ৫০জন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে ডংসিও ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ড. জেকুক চেন বলেন, ‘ইন্টার-এশিয়া ইউনিভার্সিটিজ অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার মাধ্যমে বিশে^র পূর্ব-পশ্চিম প্রান্তের দেশগুলোর নিজস্বতা তৈরি এবং এশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স¤পর্ককে বাড়ানো হবে।’ তার এই বক্তব্যের সঙ্গে অন্যান্য আলোচকরাও একমত প্রকাশ করেন। এ সময় ড. মো. সবুর খান তার সেশনে আলোচকদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য জোর প্রদান করেন এবং এজন্য যৌথ প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেন তিনি। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস ফোরাম (এইউপিএফ) ২০০২ সালে থাইল্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়। এশিয়াসহ বিশ্বের ৬১টি বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে এর সদস্য হিসাবে রয়েছে। এর সদস্য তালিকায় এশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের নেতৃত্বদানকারীদের সদস্য সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।ক্যাপশনঃ ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস ফোরাম (এইউপিএফ)’- এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘এশিয়া এলাইন্স ইউনিভার্সিটি (এএইউ)ঃ শিক্ষার মাধ্যমে ঐক্য সৃষ্টি- একটি প্লাটফর্ম, অসীম সম্ভবনা’ শিরোনামের এই আন্তর্জাতিক ফোরামের সেশন সঞ্চালনা করছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটির (ডিআইইউ) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং এইউপিএফ-এর বর্তমান কমিটির সদস্য ড. মো. সবুর খান। লিথুনিয়া, ম্যাকাউ, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে সেশনটি সঞ্চালনা করেন তিনি।

ঢাবির ভর্তি আবেদন শুরু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রেজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন চলবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ওয়েবসাইটhttps://admission.eis.du.ac.bd-এ গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। এ বছর আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৫০ টাকা।২০২৫ সালের ৪ জানুযারি চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়াও কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৫ জানুযারি, বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি, এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষা ৮ ফেব্রুয়ারি হবে।আইবিএ ইনস্টিটিউটটিউটের পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীরা ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাবেন

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল নিয়ে অসন্তোষ চাকরিপ্রার্থীদের

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার ফল প্রকাশিত হয়। এরপরই ফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেক চাকরিপ্রার্থী। নোয়াখালী এলাকা থেকে বেশি অভিযোগ এসেছে ‘মেঘনা সেট’ নিয়ে। সেটের পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তাদের অধিকাংশের নাম আসেনি।জেলার কাউসার ইসলাম বাবু নামের এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ‘নোয়াখালী জেলার মেঘনা সেটে কারও রেজাল্ট আসেনি। এর আগে প্রিলির সময়ও এমন হয়েছে। রেজাল্ট পুনরায় মূল্যায়ন করার পর তা এসেছিল। ঠিক একই সমস্যা এখনো হয়েছে। তাই রেজাল্ট পুনর্মূল্যায়ন করা হোক।’লক্ষ্মীপুর জেলায় মেঘনা সেটের মাকসুদুর রহমান এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের মেঘনা সেটের কারও চূড়ান্ত রেজাল্ট আসেনি। এর আগে লিখিত পরীক্ষার রেজাল্টও প্রথমে আসেনি। পরে আমরা পুনরায় মূল্যায়ন করে প্রকাশ করলে আমাদের রেজাল্ট আসে। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি, রেজাল্ট পুনরায় মূল্যায়ন করার জন্য।’অন্যদিকে চাঁদপুর জেলা থেকে কয়েকজন ‘মেঘনা সেট’ নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, তাদের কারও ফল আসেনি। তবে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস চাঁদপুর জেলায় মেঘনা সেটে উত্তীর্ণ হয়েছে এমন কয়েকটি ফল নিশ্চিত হয়েছে।মিঠুন চন্দ্র শীল, রিজায় উদ্দিন সুমন, নাজমুল ইসলাম অন্তর নামের একাধিক প্রার্থী মেঘনা সেটে ফল এসেছে বলে জানিয়েছেন। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক প্রার্থী মেঘনা সেটে ফল পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন।এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ জেলার একাধিক প্রার্থীও তাঁদের মেঘনা, সুরমা, যমুনা, পদ্মা সেট নিয়েও অভিযোগ করেছেন।মাদারীপুরের শিবচর থেকে এক নারী প্রার্থী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষাসহ মৌখিক পরীক্ষা অনেক ভালো দিয়েছিলাম। ভাইভার স্যারেরা যথেষ্ট সন্তুষ্ট ছিলেন আমার ওপর, কারণ তাদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আমি সঠিক এবং সাবলীলভাবে দিয়েছিলাম। এ ছাড়া আমার সার্টিফিকেটেও ফুল মার্কস থাকে।’তিনি আরো বলেন, ‘আমি একটি সুনামধন্য কলেজ থেকে আমার গ্র্যাজুয়েশন এবং পোস্ট-গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি। আসলে এত ব্যাখ্যা দেওয়ার একটাই কারণ, আমি সব ভালো দেওয়ার পরও রেজাল্ট আসলো না, আমার সেট ছিল মেঘনা এবং আমার জানা মতে মেঘনা সেটের কারোরই রেজাল্ট আসেনি। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার।’অন্যদিকে সুরমা সেটের অভিযোগ নিয়ে শাইখুল আলম শারবিক নামের একজন ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি ঢাকা বিভাগ থেকে সুরমা সেটে বিজ্ঞান কোটা নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছি, কিন্তু রেজাল্ট আসেনি। অনেকেই দেখলাম বলছে, ঢাকা বিভাগে সুরমা সেটের রেজাল্ট আসেনি। তারপর আমার ফ্রেন্ডের সাথে যোগাযোগ করি ও মানিকগঞ্জের সুরমা সেট। মার্ক ছিল ৬৯। ওর রেজাল্ট আসছে। তাই ওকে বললাম, এডমিটের ছবি দিতে, যাতে অনেকের কনফিউশন দূর হয়। এখন দেখেন, যা ভালো বোঝেন।’এ ছাড়া এর আগে লিখিত পরীক্ষায় যাদের ফল পুনর্মূল্যায়নের পরে এসেছে, তাদের একটি অংশ অভিযোগ করে বলে, আগের পরীক্ষার মতো এবারও তাদের ফলাফলে সমস্যা হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব ফরিদ আহাম্মদের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। মেসেজ দেওয়া হলেও জবাব পাওয়া যায়নি।মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. ফারুক আলম অসুস্থতার কারণে ছুটিতে থাকায় বিষয়টি নিয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। সহকারী সচিব মো. হেমায়েত হোসেন হাওলাদারও মোবাইল ফোনের কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্যও জানা সম্ভব হয়নি।জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এবার তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের লিখিত, মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তৃতীয় ধাপের লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা হলেও দীর্ঘদিনে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়নি। চার মাসের বেশি সময় অপেক্ষা করছেন তৃতীয় ধাপের ফল প্রত্যাশীরা।এর আগে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো দ্রুত সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের জন্য তারা তিন মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করেছিলেন।

আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে

আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। প্রায় দুই মাস পিছিয়ে এসএসসি পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর এপ্রিলে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো। আর এসএসসি পরীক্ষা পেছালে দেরিতে হবে এইচএসসিও। সে ক্ষেত্রে ঈদুল আজহার পর হতে পারে এই পরীক্ষা। ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা হবে এমনটি ধরে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছিল শিক্ষাবোর্ডগুলো। সেই লক্ষ্যে এখন স্কুলগুলোতে চলছে নির্বাচনী পরীক্ষা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ফরম পূরণেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে এমন চিন্তা করছে বোর্ডগুলো। গত বছর এই পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। এজন্য ঠিকমতো পাঠ্যসূচি শেষ করা সম্ভব হয়নি। আবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও আবেদন আছে। তাই ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।আর এইচএসসি পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল আজহার পর নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা জুন মাসে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হতে পারে ৩১ মার্চে। আর পবিত্র ঈদুল আজহা হতে পারে আগামী বছরের ৭ জুন।সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ও এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলের শুরুতে হতো। কিন্তু করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে পুরো শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। এরপর গত বছর থেকে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল।

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের (ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগ) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৩১ জন।বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার প্রার্থীরা অংশ নেন। চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা থেকে, যেখানে ৮১২ জন নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুমিল্লা, সেখানে ৬৪১ জন এবং তৃতীয় স্থানে টাঙ্গাইল জেলা থেকে ৫৯৭ জন নির্বাচিত হয়েছেন।এছাড়া কক্সবাজার থেকে ১৮৫, চাঁদপুর থেকে ৩৫৮, নোয়াখালী থেকে ৩২৮, ফেনী থেকে ১৩৭, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৪৯, লক্ষ্মীপুর থেকে ৩২৭, কিশোরগঞ্জ থেকে ২৮৮, গাজীপুর থেকে ২৪১, গোপালগঞ্জ থেকে ২৫৪, ঢাকায় ৩০৯, নরসিংদীতে ২৬০, নারায়ণগঞ্জে ১৮৪, ফরিদপুরে ২২৭, মাদারীপুরে ২০৮, মানিকগঞ্জে ৩০১, মুন্সিগঞ্জে ২২২, রাজবাড়ীতে ১০৪ এবং শরীয়তপুর থেকে ১৯৯ জন নির্বাচিত হয়েছেন।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং চলতি বছরের ২৯ মার্চ এ ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২২ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশের পর ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। এরপর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলার শিক্ষা অফিসে।

১২ নভেম্বর শুরু হচ্ছে মাধ্যমিকে ভর্তির আবেদন, বাছাই লটারিতে

সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির আগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৫) ভর্তির আবেদন অনলাইনে শুরু হবে আগামী ১২ নভেম্বর থেকে। চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে ভর্তির ডিজিটাল লটারি।লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ক সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়। গত ২৩ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।সভার তথ্য বলছে, ডিজিটাল লটারি শেষে আগামী ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে ভর্তি কার্যক্রম। যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।

পাঠ্য বইয়ে যুক্ত হচ্ছে ছাত্র-জনতার আন্দোলন, আবু সাঈদের গল্প

পাঠ্য বইয়ে বড় ধরনের সংস্কারের কথা ভাবছে সরকার। সংস্কারের পর নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। নতুন বইয়ে যুক্ত হতে পারে ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের অধ্যায়। সেই সঙ্গে পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়ার আবু সাঈদের নামে একটি নতুন গল্প যুক্ত করার কথা ভাবছে এনসিটিবি।আর পাঠ্য বই থেকে বাদ যাবে পেছনের প্রচ্ছদে থাকা শেখ হাসিনার ছবি ও তার উদ্ধৃতি। সেখানে যুক্ত হতে পারে জুলাই বিপ্লবের ছবি ও গ্রাফিতি। একই সঙ্গে ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও অনেক পরিবর্তন আনা হতে পারে। এসব বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘পাঠ্য বই থেকে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বাদ যাচ্ছে।একই সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে অধ্যায় যুক্ত করার বিষয়টি আলোচনায় আছে। এ নিয়ে সবাই একমত পোষণ করেছেন।‌ তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘ভালো মানসম্মত লেখা চাইছি।সে জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে। তবে অভ্যুত্থানের কিছু গ্রাফিতি ইতিমধ্যে বিভিন্ন বইয়ে স্থান পেয়েছে।’এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘কিছু বই ছাপানোর কাজ পেয়েছিল ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। সমালোচনা হওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে দেশি ছাপাখানাগুলোকে বই ছাপার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমের আলোকে আগামী বছরের পাঠ্য বই পরিমার্জনে কাজ করছে এনসিটিবি।ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই ছাপার জন্য প্রেসে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য শ্রেণির বইও যাবে। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে সব বইয়ের কাজ সম্পন্ন হবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে পরিমার্জিত পাঠ্য বই পৌঁছানোর। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন বই দিতে বলা হয়েছে ছাপার কাজে যুক্ত থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।’ জানা যায়, ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্য বই পরিমার্জন করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এরপর নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে একাধিক বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে অধ্যায় যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি চূড়ান্ত করতে একাধিক বৈঠক করেছেন। সেখানে সর্বসম্মতভাবে একমত পোষণ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

পরিবর্তন হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবই, থাকছে না শেখ হাসিনার ছবি

পরিবর্তন হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবই। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি বা দেয়ালে আঁকা ছবি। বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও তাঁর উদ্ধৃতি। একই সঙ্গে ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এরপর নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে বছরের মাত্র দুই মাস বাকি থাকলেও এখনো পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজ শেষ করে ছাপার জন্য প্রস্তুত করতে পারেনি এনসিটিবি। ফলে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।এনসিটিবির একাধিক কর্মকর্তা জানান, পরিমার্জনের মাধ্যমে বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনার প্রতিফলন থাকছে। তবে যেহেতু এই অভ্যুত্থানের বিষয়টি অতি নিকট ইতিহাস এবং এবার সময়ও কম, তাই লেখা হিসেবে না রেখে কিছু পাঠ্যবইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি বা দেয়ালে আঁকা ছবি ইত্যাদি বিষয় রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলা, ইতিহাস, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের মতো কিছু বইয়ের প্রচ্ছদে বা বইয়ের কোনো কোনো অংশে এসব গ্রাফিতি বা দেয়ালে আঁকা ছবি যুক্ত করা হবে। অন্যদিকে এখন পাঠ্যবইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেসব ছবি ও উদ্ধৃতি রয়েছে, সেগুলো বাদ দেওয়া হবে। পরিবর্তে চিরন্তন কিছু বাণী যুক্ত হবে। এ ছাড়া ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও কিছু বিষয় কাটছাঁট করা হচ্ছে।এ বিষয়ে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অধ্যায় যুক্ত করার বিষয়টি আলোচনায় আছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ভালো মানসম্মত লেখা পেলে যুক্ত করা হবে। সে জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে। তবে অভ্যুত্থানের কিছু অংকন বিভিন্ন বইয়ে স্থান পেয়েছে।তিনি বলেন, কিছু বই ছাপানোর কাজ পেয়েছিল ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। তবে এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় তাদেরকে বাদ দিয়ে দেশি মুদ্রণখানাগুলোকে বই ছাপার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বই ছাপার কাজে ১৮টি স্লটে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ছিল। সেগুলো বাতিল হয়েছে। তাদেরকে বাতিল করার পরে পুনরায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি (টেন্ডার) দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সব দেশি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে।এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমের আলোকে আগামী বছরের পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজ করছে এনসিটিবি। ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই ছাপার জন্য প্রেসে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য শ্রেণির বইও যাবে। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে সব বইয়ের কাজ সম্পন্ন হবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, জানুয়ারি মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে পরিমার্জিত পাঠ্যবই পৌঁছানোর। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন বই দিতে বলা হয়েছে ছাপার কাজে যুক্ত থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।জানা গেছে, দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন শিক্ষাক্রম বা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে ২০২৬ সাল থেকে তা কার্যকর করা হবে। তার আগে ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের বই পরিমার্জন করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

আরও পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ

দেশের আরও পাঁচটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।রোববার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে এসব প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম ও সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম।যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (রবি), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)। আগামী চার বছরের জন্য তারা উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন।অধ্যাপক ড. এস এম আবদুর রাজ্জাক রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক।অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) উপাচার্য নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। তিনি বিভাগটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক।গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক।

উদযাপিত হলো দি ইনবিন্সিবল ০৯/১১ এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

জমকালো আয়োজনে উদযাপিত হলো এসএসসি ০৯ এবং এইচএসসি ১১ব্যাচের সোশাল প্লাটফর্ম দি ইনবিন্সিবল ০৯/১১ এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডি গ্রীন গার্ডেন হলে এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়। জানা যায় সারা দেশের ২০০৯ সালে এসএসসি এবং ২০১১ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন তারাই মূলত এই গ্রুপের সদস্য। ব্যাচ ভিত্তিক এই সোশ্যাল প্লাটফর্ম টি ২০১৮ সালে মোস্তফা কামাল ক্রিয়েট করে। বন্ধুত্ব দৃঢ় হোক সহযোগিতার বন্ধনে স্লোগানে গ্রুপটি এখন এক লাখ মেম্বারের উত্তীর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশে ব্যাচ ভিত্তিক গ্রুপের মধ্যে দি ইনবিন্সিবল ০৯/১১ গ্রুপে সর্বোচ্চ সংখ্যক মেম্বার রয়েছে। গ্রুপ এডমিন ইমরান বলেন, আমরা গত ৬ বছর ধরে সারাদেশে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে আসছি, উত্তর বঙ্গে প্রতি বছর শীতে শীতবস্ত্র বিতরন করে আসছি এবং দেশের বিভিন্ন সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। গ্রুপ এডমিন পিএম কামাল বলেন, আমাদের দি ইনবিন্সিবল গ্রুপ থেকে বহু অসুস্থ রোগি কে সেবা দানের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ডোনেশন করেছি। এছাড়া কোন প্রতিষ্ঠিত বন্ধু থাকলে অনেক বেকার বন্ধুদের কর্মের জন্য সহযোগিতা করছে। আমরা এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই।দুপুরে বুফে খাবার সহ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী তে সংগীত পরিবেশন করেন দি ইনবিন্সিবল এর সদস্য সঙ্গীত শিল্পী সুজন,সঙ্গীত শিল্পী পুষ্পিতা মিত্র। সারাদিন দি ইনবিন্সিবল পরিবারের মিলনমেলায় নাচ, গান র‍্যাফেল ড্র এর পুরষ্কার বিতরনের পরবর্তী অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলেন dhakawatch24.com

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৩ এর মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ অক্টোবর

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৩ এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ।লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে টেলিটক বিডি লিঃ এর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে SMS দিয়ে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান জানিয়ে দেয়া হবে।মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে নিম্নোক্ত কাগজ পত্রাদির মূলকপিসহ একসেট ফটোকপি নিয়ে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে SMS এ বর্ণিত তারিখ ও সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি :(ক) শিক্ষাগত যোগ্যতার সমর্থনে সকল সনদপত্র (Certificates) ও নম্বরপত্র (Transcripts/Marks Sheets)(খ) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্ম নিবন্ধন সনদ।(গ) লিখিত পরীক্ষার প্রবেশ পত্র।বিস্তারিত তথ্যের জন্য এনটিআরসিএ-র ওয়েবসাইটwww.ntrca.gov.bdএবং টেলিটক বাংলাদেশ লিঃ এর ওয়েবসাইটhttp://ntrca.teletalk.com.bdভিজিট করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।উল্লেখ্য, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ হতে ১৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বরসমূহ তারিখ অনুযায়ী ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় প্রকাশ করা হবে।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।