হলগুলোতে আবারও গণরুম শুরুর আশঙ্কা রয়েছে: ঢাবি শিবির সভাপতি


saurav/shibir-20250629173238.jpg

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে নবাগত শিক্ষার্থীদের আবাসন না দিয়ে ক্লাস শুরু করলে হলে আবারও গণরুম চালু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ।

রোববার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু মহল 'বড় ভাই' সেজে নবাগত শিক্ষার্থীদের হলে তোলার আশ্বাস দিচ্ছে। তারা বলছে ‘সিট দেব, চলে এসো’। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা সাময়িক আশ্বস্ত হলেও এটি একটি পরিকল্পিত ফাঁদ। আবাসন সংকটের সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে, যার ভুক্তভোগী হবেন শিক্ষার্থীরাই।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে ভর্তি কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় হলে সিট দেওয়ার নামে বিভিন্ন মহলের বড় ভাইদের তৎপরতা বেড়েছে। অভিভাবকদের অনুরোধ করব, এই ধরনের কোনো অনানুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার ফাঁদে পা না দিতে।”

এস এম ফরহাদ বলেন, “আগামী ২ জুলাই ক্লাস শুরুর কথা রয়েছে। কিন্তু সিট সংকট নিরসন ছাড়া ক্লাস শুরু করা হলে শিক্ষার্থীরা দারুণ বিপদে পড়বে। প্রশাসনকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে।”

স্মারকলিপিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবির তিন দফা দাবি তুলে ধরেছে। দাবিগুলো হলো :

১. নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য অবিলম্বে একটি সুস্পষ্ট আবাসন পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে। যেসব শিক্ষার্থীর আবাসিক মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাঁদের সিট বাতিল করে নবীনদের বরাদ্দ দিতে হবে। সিট বরাদ্দে স্বচ্ছতা ও রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।

২. সিট সংকট নিরসনে ক্যাম্পাসসংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী হোস্টেলের ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান থেকে মেধা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে হলে স্থানান্তরের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

৩. অথবা শিক্ষার্থীদের মাসিক সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা হারে আবাসন ভাতা (বৃত্তি) প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। যতদিন না সিট বরাদ্দ হয়, ততদিন এ ভাতা বহাল থাকবে।

 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×