
এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোগে বগুড়ায় নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও ঋণ বিতরণ
এনসিসি ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ১০০ জন নারী উদ্যোক্তার জন্য তিন দিনের ‘নারীদের ক্ষমতায়নে আর্থিক শিক্ষা ও কারিগিরী দক্ষতা বিষয়ক’ প্রশিক্ষণ কোর্স সম্প্রতি বগুড়ার গ্রাম উন্নয়ন কর্মের (গাক) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মো. সাইফুজ্জামান। গেস্ট অব অনার ছিলেন এনসিসিব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী এম শামসুল আরেফিন। অনুষ্ঠানে পাঁচজন নারী উদ্যোক্তার মাঝে ঋণ বিতরণ করা হয়। বগুড়ার জেলার প্রশাসক হোসনা আফরোজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মো. ইকবাল মহসিন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক একেএমম ফিজুল ইসলাম ও বগুড়ার উপপরিচালক মো. তোসাদ্দেক হোসেন, এনসিসি ব্যাংকের এসভিপি এবং হেড অব উইমেনস ব্যাংকিং ও ডেপুটি হেড অব ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন সেল নিঘাত মমতাজ, এসভিপি ও হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশন এএইচএম আবদুস সাদিক খান, এসভিপি ও হেড অব এসএমই শরীফ মোহাম্মদ মহসীন এবং এসভিপি ও হেড অব সিআরএম-সিএমএসএমই মো. সোলায়মান-আল-রাজী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে এনসিসি ব্যাংকের পক্ষ থকে তৈরি পোশাক বিষয়ে দশজনকে সেলাই মেশিন ও গবাদিপশু পালন বিষয়ে দশজনকে ভেটেরিনারি উপকরণ পুরষ্কার হিসেবে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে গাজী মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘দেশের যুবকদের আত্ম-কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। প্রতি বছর প্রায় চার লক্ষ যুবক ও যুব নারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে; যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।’ তিনি এ উদ্যোগে এগিয়ে আসার জন্য এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এম শামসুল আরেফিন বলেন, ‘সরকারের টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচীর আলোকে এনসিসি ব্যাংক সব জনগোষ্ঠীকে আর্থিক খাতেরআওতায় আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়ন তথা দেশে নারী উদ্যোক্তা তৈরি ও নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে আরো বেশী সম্পৃক্ত করতে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচী আয়োজন করা হয়েছে।’ এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি নারীদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রাপ্তিসহ আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আরো বেশী জ্ঞান আহরণে ভূমিকারাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। হোসনা আফরোজা লাভজনক কাজে বিনিয়োগের সঠিক সিদ্ধান্ত ও সৃজনশীলতার মধ্যে দিয়ে আজকের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তগণ বড়উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবেন এ আশা প্রকাশ করেন। তিনি পরিবেশের ক্ষেত্রে পলিথিনের ব্যবহার কমানো এবং জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বআরোপ করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এস আলমের হুশিয়ারি
বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, এবিষয়ে তাঁরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (এফটি)।দেশের ব্যাংকখাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির দায়ে অভিযুক্ত এল আলম গ্রুপ; যার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান– মোহাম্মদ সাইফুল আলম দাবি করেছেন, সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব এবং একটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তি থাকায় তাঁর ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক যে ভীতিপ্রদর্শন বা “হুমকিধামকির প্রচারণা” চালাচ্ছে তা থেকে তিনি সুরক্ষিত থাকতে পারছেন।এমন দাবি করা হয়েছে একটি চিঠিতে, যা সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে পাঠান তাঁদের আইনজীবীরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, এবিষয়ে তাঁরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।কিছুদিন আগে এফটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অভিযোগ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো থেকে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা (১০ বিলিয়ন ডলার) পাচার করেছে সাইফুল আলম ও তাঁর সহযোগীরা। তারপরেই এই চিঠি দিল এস আলমের পক্ষে আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল উরকুহার্ট অ্যান্ড সুলিভান।এফটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিঠিতে আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে জনপরিসরে “উস্কানিমূলক ও অপ্রমাণিত মন্তব্য” করার অভিযোগ এনে বলা হয়েছে, গভর্নরের এ ধরনের আচরণ “একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভয়ভীতি ছড়ানোর প্রচারণার” শামিল। এই শিল্পগোষ্ঠী বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করেছে।এস আলম গোষ্ঠীর এই চিঠি ও আন্তর্জাতিক সালিসি মামলার হুমকি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে তাদের সবচেয়ে বড় প্রত্যাঘাত।ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহসান মনসুর বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে সরকারপ্রধানের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় ব্যাংক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। এর মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম একাই এক হাজার কোটি ডলার দেশের বাইরে পাচার করে নিয়ে গেছেন। এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্যাংক ডাকাতির এটাই সবচেয়ে বড় ঘটনা।চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভুল ও মানহানিকর।সাইফুল আলম কবে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব পেয়েছেন, সে বিষয়ে আইনি প্রতিষ্ঠানের কাছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানতে চাইলে তারা সাড়া দেয়নি। তারা এখনো বাংলাদেশের নাগরিক কি না, তা–ও জানা যায়নি। সিঙ্গাপুর সরকারও ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।তবে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি হয়েছে ২০০৪ সালে।চিঠিতে বলা হয়েছে, এই চুক্তির অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের মন্তব্য বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মন্তব্য হিসেবে গণ্য হবে। আরও বলা হয়েছে, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের বিদেশি বেসরকারি আইন অনুসারে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে এস আলম ও তার পরিবারের অধিকার ও সুরক্ষা আছে।চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীরা হিসেবে নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু আন্তর্জাতিক সালিসি মামলা নয়, প্রয়োজনে অন্যান্য ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।এ অভিযোগ প্রসঙ্গে আহসান মনসুর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, তার দাবির শতভাগ ভিত্তি আছে। বিভিন্ন ব্যাংকে অনেক বছর ধরে এসব দুর্নীতি হয়েছে। এসব তথ্যপ্রমাণ সংকলন করা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ সংকলন করতে সময় লাগবে।

সরবরাহ চেইনে সংকটের কারণেই নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় হচ্ছে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার কারণে নিত্যপণ্যের দাম কমছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেন, সরকার মাঠ পর্যায়ে তদারকিসহ পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবির আলু বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়াতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে মূল্যস্ফীতি মূলত সরবরাহ কেন্দ্রিক। সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। তবে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছু পণ্যে শুল্ক কমানো হয়েছে। এতে কিছুটা দাম কমেছে। সরবরাহ ঠিক রাখতে ভোক্তা অধিকারকে আরও জোরালোভাবে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ সরকার জনগণের কষ্টের বিষয়ে অবগত আছে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে চাল আদমানি শুরু হয়েছে। প্রায় ২০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তেল নিয়ে ব্যাপক কাজ করছি। রমজানকে সামনে রেখে সব পক্ষ সমন্বিত কাজ করছি। আমদানির ক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তান কিংবা চীন দেখা হবে না বলেও জানান বশির উদ্দিন। বলেন, কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক টানাপোড়েন নেই বাংলাদেশের। বাণিজ্য উদারনীতিতে চলমান থাকবে। ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির কার্যক্রমের কথা বলতে গিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি স্থানে ভোক্তাদের জন্য ৪০ টাকা দরে জনপ্রতি ৩ কেজি করে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। প্রয়োজনে পরিধি আরও বাড়ানো হবে। এ সময় ঢাকা মহানগরী ও চট্টগ্রামে টিসিবির ট্রাকসেলের মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এই কার্যক্রমের আওতায় আজ থেকে রাজধানীর বাসিন্দারা ৪০ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে পারবেন। তবে একজন কিনতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩ কেজি। এক বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, ২০ নভেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরীতে ভোক্তাদের জন্য জনপ্রতি ৩ কেজি করে আলু বিক্রি করা হবে প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান আছে। এ কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য তেল, ডাল ও চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, প্রতিকেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকায় কেনা যাবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ লিটার তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ভোজ্যতেলের ওপর বর্তমানে প্রযোজ্য আমদানি পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) দশ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁছ শতাংশ করা হয়েছে। এ অব্যাহতি সুবিধা আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ইতোপূর্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বাজারে চাল, আলু, পেয়াঁজ, ডিম, ভোজ্যতেল ও চিনির সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।’ উল্লেখ্য, তেলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার গেল ১৭ অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপনীয় পাঁচ শতাংশ মূসক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ অব্যাহতির ফলে বর্তমানে কেবল আমদানি পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বলবৎ থাকল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করে, ওই মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতির ফলে ভোজ্যতেলের মূল্য বাজারে সহনীয় পর্যায়ে থাকবে ও ভোক্তাদেরকে বর্ধিত দামে ভোজ্য তেল কিনতে হবে না।

সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করে বিনিয়োগের সুরক্ষা চাইলেন এস আলম
নিজেকে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে দাবি করেছেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম। বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে ‘ভীতি প্রদর্শনমূলক ব্যবস্থা’ নিচ্ছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তির আলোকে তার সুরক্ষা প্রাপ্য বলে মনে করেন সাইফুল আলম। এ ব্যাপারে সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষে আইনি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ‘তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিসি মামলা করতে পারেন। সংবাদ ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এস আলম গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২০ হাজার কোটি পাচারের অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুর। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আহসান মনসুর এ অভিযোগ করেন। ওই সাক্ষাৎকারের পরিপ্রেক্ষিতে এস আলম পরিবারের পক্ষে এ চিঠি দিয়েছে আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল উর্কুহার্ট অ্যান্ড সালিভান। চিঠির একটি অনুলিপি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের হাতে এসেছে। অভিযোগ, গভর্নর আহসান মনসুর এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জনসমক্ষে ভিত্তিহীন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ বক্তব্য এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘ভীতি প্রদর্শনমূলক’ আখ্যা দেয়া হয়েছে। এস আলম গোষ্ঠীর চিঠি ও আন্তর্জাতিক সালিসি মামলার হুমকি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে তাদের সবচেয়ে বড় প্রত্যাঘাত। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহসান মনসুর বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনামলে সরকারপ্রধানের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় ব্যাংক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। এর মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম একাই এক হাজার কোটি ডলার দেশের বাইরে পাচার করে নিয়ে গেছেন। এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্যাংক ডাকাতির এটাই সবচেয়ে বড় ঘটনা।’ ওই চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভুল ও মানহানিকর।’ সাইফুল আলম কবে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব পেয়েছেন, সে ব্যাপারে আইনি প্রতিষ্ঠানের কাছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানতে চাইলে তারা সাড়া দেয়নি। তারা এখনো বাংলাদেশের নাগরিক কি না, তা-ও জানা যায়নি। সিঙ্গাপুর সরকারও ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। তবে, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি হয়েছে ২০০৪ সালে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের আইন মেনে বিদেশে বিনিয়োগের কোন অনুমোদন সাইফুল আলম নেননি। দেশের যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বিদেশে বৈধভাবে বিনিয়োগ করেছে, সেই তালিকায় সাইফুল আলমের নাম নেই। অন্য দিকে, সিঙ্গাপুরের আইনে ২৫ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার (প্রায় ২৩ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করে নাগরিক হওয়া যায়। এ জন্য তার ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। পাশাপাশি, সেই দেশে আরো বিনিয়োগ করতে হয়। এটা করতে পারলে তাদের ছেলে সন্তানেরা সে দেশে সরকারি চাকরির সুযোগও পান। তবে, সিঙ্গাপুরের নাগরিক নিতে হলে নিজ দেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এ চুক্তির অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের মন্তব্য বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মন্তব্য হিসেবে গণ্য হবে।’ আরো বলা হয়েছে, ‘১৯৮০ সালে বাংলাদেশের বিদেশি বেসরকারি আইন অনুসারে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে এস আলম ও তার পরিবারের অধিকার ও সুরক্ষা আছে।’ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বিনিয়োগকারীরা হিসেবে নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু আন্তর্জাতিক সালিসি মামলা নয়, প্রয়োজনে অন্যান্য ব্যবস্থাও নেয়া হবে।’ এ অভিযোগ প্রসঙ্গে আহসান মনসুর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘তার দাবির শত ভাগ ভিত্তি আছে। বিভিন্ন ব্যাংকে বহু বছর ধরে এসব দুর্নীতি হয়েছে। এসব তথ্যপ্রমাণ সংকলন করা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ সংকলন করতে সময় লাগবে।’

পূর্বাচলে তিন দিনের বাজুস ফেয়ার ৬-৮ ফেব্রুয়ারি
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে তিন দিনের বাজুস ফেয়ার-২০২৫। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশের ইতিহাসে চতুর্থ বারের মত জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন বাজুস ফেয়ার-২০২৫ আগামী ৬, ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পূর্বাচলের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) হল-০৪-এ অনুষ্ঠিত হবে। ফেয়ার প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ফেয়ারের টিকিট দাম ১০০ টাকা। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের মেলায় ঢুকতে কোন টিকিট লাগবে না। এবারের বাজুস ফেয়ারে ৫০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। বাজুস আশা করছে, বাজুস ফেয়ার-২০২৫ দেশীয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করার পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দেশের স্বর্ণ শিল্পীদের হাতে গড়া নিত্য নতুন আধুনিক ডিজাইনের অলঙ্কারের পরিচিতি বাড়বে বিশ্ব বাজারে।

চট্টগ্রাম-করাচি রুট নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে
আমদানি পণ্যের কনটেইনার পর্যাপ্ত হলে চট্টগ্রাম-করাচি রুটে ভবিষ্যতে নিয়মিত জাহাজ চালাতে মালিকরা আগ্রহী জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেছেন, ‘ইতিপূর্বে পাকিস্তানের সাথে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হত। নয়া রুট চালু হওয়ায় বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলে। এতে সাশ্রয়ী খরচ ও সময়ে উভয় দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে নতুনভাবে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে।’ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে শহীদ মোহাম্মদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চবকের চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথম বার গেল ১১ নভেম্বর এইচআর শিপিং লাইনের অধীনে একটি জাহাজ ৩২৮টি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম আসে। ১২ নভেম্বর কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। জাহাজটি মূলত দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম আসে। জাহাজটির সাধারণ রাউন্টিং হচ্ছে দুবাই জেবল আলী- করাচি-চট্টগ্রাম-ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-মুন্দা (ভারত)-দুবাই।’ সংবাদ সম্মেলনে চবকের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. হাবিবুর রহমান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান, সদস্য (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওছার রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকসহ ১৯৪ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার
এস আলমকে অর্থ পাচারে সহায়তা ও অবৈধভাবে বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের (এফএসআইবি) চট্টগ্রামের ২৪টি শাখার ব্যবস্থাপকসহ ১৯৪ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র মতে, ব্যাংকের নতুন পর্ষদ ২৪টি শাখায় ঋণ বিতরণে অনিয়ম পেয়েছে। এসব ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে ১৯৪ কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম নিজেই। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হিসেবে দেশে পরিচিত ছিলেন। আওয়ামী সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদকে এস আলম গ্রুপের হাত থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক।এরপর বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়, ব্যাংকটি থেকে নামে-বেনামে ৩৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছেন এস আলম। ব্যাংকটির আমানত ৪৫ হাজার কোটি টাকা হলেও ঋণ ৬০ হাজার কোটি টাকা। অন্য ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে সেই টাকাও লুট করেছে এস আলম গ্রুপ।ব্যাংকটির নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় ব্যাংকটি এস আলমের ঘনিষ্ঠ ২৪ শাখা ব্যবস্থাপকসহ ১৯৪ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও নামে–বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে এস আলমকে ঋণ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব শাখায় বিশেষ পরিদর্শন শেষে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যাংকটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। শাখা ব্যবস্থাপকদের আগামী ২১ দিনের মধ্যে তাঁদের সময়ে দেওয়া ঋণ আদায়ের নির্দেশনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।এর আগে ব্যাংকটির চট্টগ্রাম উত্তর জোনের প্রধান মো. হাফিজুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এ ছাড়া ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা খায়েরও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে নতুন ডিএমডি হলেন এস.এম আবু জাফর
এস.এম আবু জাফর আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। এর আগে ২০২১ সাল থেকে ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তরা মডেল টাউন শাখায় দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি এক্সিম ব্যাংক এবং ইউসিবিএল ব্যাংক এ গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন।এস.এম আবু জাফর এক্সিম ব্যাংকে ২০০০ সালে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার ব্যাংকিং কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ২৪ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে শাখা পর্যায়ে বৈদেশিক বাণিজ্য প্রধান, অপারেশন ম্যানেজার এবং ৩ (তিন) টি গুরুত্বপূর্ণ কর্পোরেট ও এডি শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সফলতার সাথে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ৩ (তিন) বার ‘চেয়ারম্যানস্ গোল্ড মেডেল’ অ্যাওয়ার্ড - এ ভূষিত হন। এছাড়াও ২০১৭ সালে তিনি শুদ্ধাচার পুরষ্কার লাভ করেন তিনি।তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বহু প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং দেশে ও বিদেশে অনুষ্ঠিত ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রথিতযশা এ ব্যাংকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন।

রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের সরবারহ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, রমজানকে সামনে রেখে সরকার পেয়াজ,চিনি ও খেজুরসহ নিত্যপণ্যের সরবারহ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।সে কারনে বিভিন্ন দেশের সাথে ব্যবসায়িক এনগেজমেন্ট বাড়াতে চায় সরকার।আজ মঙ্গলবার বিকালে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এর সাথে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ এর সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, করাচি- চট্রগ্রাম সরাসরি বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনা, দুদেশের ব্যবসায়ীদের এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের কার্যক্রম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন।উপদেষ্টা বলেন, সরকার দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে ভর্তূকি মূল্যে পন্য বিতরণ করে থাকে। এর মধ্যে চাল,পেয়াজ,চিনি,ভোজ্য তেল ও ডাল অন্যতম। সরকারের ভর্তূকি মূল্য পণ্য বিতরণ মানুষের জীবনকে একটু সহজ করতে ভূমিকা রাখে।উপদেষ্টা বলেন , সার্ক পুনর্জীবিত হলে সদস্য দেশ গুলো উপকৃত হবে। দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরালো হবে।পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ইন্দো-মুসলিম সভ্যতার অংশ হিসেবে উপমহাদেশে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। এসম্পর্কের ভিত মজবুত করতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।ইতোমধ্যে পাকিস্তান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশে এসেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন,এতে সময় ও খরচ কম হওয়ায় দুদেশই উপকৃত হয়েছে। এসময় তিনি বাংলাদেশে চিনি, পেয়াজ ও খেজুর রপ্তানিতে পাকিস্তান সরকারের আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন।তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানে গম উৎপাদিত হলেও রপ্তানি করা হয়না।তবে উদ্বৃত্ত উৎপাদন হলে গম রপ্তানিতে বাংলাদেশকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন ও এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দরে পূর্বের চেয়ে স্বচ্ছতা আনা হচ্ছে, দাবি চেয়্যারম্যানের
চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালগুলো পরিচালনা আরো স্বচ্ছতা আনছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি তৈরি করতে দরপত্র প্রক্রিয়াকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এছাড়া, গেল তিন মাসে পূর্বের বছরের তুলনায় দশ শতাংশের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বন্দরের শহীদ মোহাম্মদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বারের মত সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে বেশ কিছু সুখবরই দিলেন চবকের চেয়ারম্যান। ইতোমধ্যে বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থান কাল চার দিন থেকে এক দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। কন্টেইনার জট সাড়ে ৪৫ হাজার থেকে ৩৪ হাজারে নামিয়ে আনা হয়েছে। বন্দরের টার্মিনাল পরিচালনায় অপারেটর নিয়োগকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে শর্ত পরিবর্তন করছে কর্তৃপক্ষ। মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বন্দরের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে অটোমেশন বাড়ানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্দরে মোবাইল ক্রেন, লো বেড ট্রেইলার, হেভী ট্রাক্টর কেনা হয়েছে। আরো কিছু যন্ত্রপাতিও কেনার প্রক্রিয়াধীন।’

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিএসইর পরিচালক হলেন মিনহাজ মান্নান ইমন
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন বিএলআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন।ডিএসইর একটি শেয়ারহোল্ডার পরিচালক পদের শূন্য আসনে তিনি ছাড়া আর কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় নির্বাচন কমিশন তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে।ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।আগামী ১০ ডিসেম্বর ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের একটি শূন্যপদে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোঃ আব্দুস সামাদকে চেয়ারম্যান করে ৩ (তিন) সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করে।নির্বাচন কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন ডিএসই’র শেয়ারহোল্ডার প্রতিনিধি মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং দেওয়ান আজিজুর রহমান।নির্বাচন কমিশন একজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচনের জন্য ২৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখেনির্বাচনী তফসীল ঘোষণা করেন। নির্বাচনী তফসীল অনুসারে ১২ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর ২০২৪তারিখ পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার তারিখ। ওই সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র বিএলআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড-এর শেয়ারহোল্ডার প্রতিনিধি মিনহাজ মান্নান ইমন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।নির্বাচিত পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত পুঁজিবাজারের সাথে সম্পৃক্ত এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। তিনি এই দীর্ঘ সময়ে বেশ কিছু কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজার এবং আন্ডাররাইটারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং রহমান হক অ্যান্ড কোম্পানি থেকে ৪ বছর মেয়াদী চার্টার্ড একাউন্টেন্সি কোর্স সফলতার সাথে শেষ করেন।এদিকে বিএলআই সিকিউরিটিজ ২০০১ সালে আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিএসইর সদস্যপদ লাভ করে। মিনহাজ মান্নান ২০০৩ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিএলআই সিকিউরিটিজের প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি ব্রোকারেজ হাউজটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি টুমোরোল্যান্ড এবং গ্রীনওয়ার্ক লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক।এছাড়াও মিনহাজ মান্নান চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের কর্পোরেট সদস্য প্রাটিনাম সিকিউরিটিজের স্বত্বাধিকারী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ২০১২ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো পরিচালক নির্বাচিত হয়ে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ২০১৮ সালের মার্চে পুনরায় পরিচালক নির্বাচিত হন এবং ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তবে আইনগত জটিলতার কারণে সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন ২০২০ সালে বাদ পড়েন।

চট্টগ্রাম বন্দরে তিন মাসে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং বেড়েছে নয় শতাংশ
চট্টগ্রাম বন্দরে গেল তিন মাসে (আগস্ট থেকে অক্টোবর) কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে আট লাখ ৩০ হাজার ৫৮২টি। গেল বছর একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬টি টিইইউএস বা ৯.০১৬ শতাংশ বেশি। পূর্বের বছরের তুলনায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপরে শহীদ মোহাম্মদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান এসব তথ্য জানান। জাহাজের এভারেজ ওয়েটিং টাইম কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গেল ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে সাড়ে ৪৫ হাজার কন্টেইনারের স্থিতি ছিল। অর্থাৎ, চবকের মোট ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৮৫ শতাংশ অকুপাইড ছিল। বিগত তিন মাসে পদ্ধতিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে তা ৩৪ হাজারে নামিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে জাহাজের এভারেজ ওয়েটিং টাইম ৬-৮ দিন হতে এক দিনে নেমে এসেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আগমনের পর জাহাজগুলো অন এরাইভাল বার্থিং পাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘করোনা অতিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও পরবর্তী মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রতিফলিত হচ্ছে। এ প্রতিকূল অবস্থা সত্ত্বেও চবক তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।’ চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থ বছরের গেল চার মাসে এক হাজার ৬৪৩.৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। যা গেল অর্থ বছরের একই সময়ে রাজস্ব আয়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি এবং একই সঙ্গে রাজস্ব উদ্ধৃত ২৮ দশমিক শুন্য এক শতাংশ বেশি।’ আমদানি পণ্যের কনটেইনার পর্যাপ্ত হলে করাচি-চট্টগ্রাম রুটে ভবিষ্যতে নিয়মিত জাহাজ পরিচালনা করতে মালিকরা আগ্রহী জানিয়ে এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এর আগে পাকিস্তানের সাথে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হত। নতুন রুট চালু হওয়ায় বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল। এতে সাশ্রয়ী খরচ ও সময়ে উভয় দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে নতুনভাবে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে।’ বন্দরে চেয়ারম্যান বলেন, ‘করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথম বার গেল ১১ নভেম্বর এইচআর শিপিং লাইনের অধীনে একটি জাহাজে ৩২৮ কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম আসে। ১২ নভেম্বর কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। জাহাজটি মূলত দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম আসে। জাহাজটির সাধারণ রাউন্টিং হচ্ছে দুবাই জেবল আলী-করাচি-চট্টগ্রাম-ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-মুন্দা (ভারত)-দুবাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে আধুনিক পোর্ট ইকোসিস্টেমে পোর্ট কমিউনিটি সিস্টেম প্রবর্তন, ডিজিটালাইজেশন ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে একটি বিশ্ব মানের বন্দরে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি পত্র ও নথি আদান-প্রদান সহজে ও দ্রুত সম্পাদনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের শতকরা ৮০ ভাগ কাজ ডি-নথি পদ্ধতিতে সম্পাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণ এবং এর মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি প্রকল্পে গেল তিন মাসে এক লাখ ৩৭ হাজার ঘনমিটার ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি আগামী ২০২৫ সালের জুন এ শেষ হবে।’ তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে সব ধরনের সিন্ডিকেট, মনোপলি ভেঙে ব্যবসায়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এর আগে, ২৩টি শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সব ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যার সুফল ইতিমধ্যে বন্দর ব্যবহারকারীরা পেতে শুরু করেছেন।’ সংবাদ সম্মেলনে চবকের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. হাবিবুর রহমান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান, সদস্য (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওছার রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার থেকে ঢাকায় ট্রাকে আলু বেচবে টিসিবি
ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে এবার ঢাকায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে ভর্তুকি দামে আলু বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। প্রতিজন তিন কেজি করে আলু কিনতে পারবেন। প্রতি কেজি আলুর মূল্য পড়বে ৪০ টাকা। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে টিসিবি।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি দামে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী দামে বিক্রি কার্যক্রম চলছে। এ কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তার কাছে ঢাকা সিটিতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম সিটিতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি দামে টিসিবির পণ্যাদি তেল, ডাল ও খাদ্য অধিদফতরের মাধ্যমে সরবরাহকৃত চাল বিক্রি করা হচ্ছে।এ কার্যক্রমের সাথে বুধবার (২০ নভেম্বর) থেকে ঢাকা সিটিতে ভোক্তাদের জন্য জনপ্রতি তিন কেজি করে আলু বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি আলুর মূল্য পড়বে ৪০ টাকা।এছাড়া, প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা ও প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় কেনা যাবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই লিটার তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন।আলু বিক্রি কার্যক্রম সকাল সাড়ে নয়টায় টিসিবি ভবন কারওয়ান বাজার থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন উদ্বোধন করবেন।

ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবি ও বিশ্ব ব্যাংক দেবে এক হাজার ১০০ মিলিয়ন ডলার
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬০০ মিলিয়ন ডলার ও বিশ্ব ব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।বর্তমান সরকার দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে কী পরিমাণ ঋণসহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অর্থ উপদেষ্টাকে- এমন প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর দেন মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যেসব পলিসি নিচ্ছে, এগুলোর ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্ব ব্যাংক ব্যাপক সমাধান দিয়েছে। প্রকৃত যে প্ল্যান ছিল, তার থেকে বহু বেশি টাকা ঋণসহায়তা আমরা পাচ্ছি।’অর্থসচিব আরো বলেন, ‘এরই মধ্যে এডিবির সাথে ৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের নেগোসিয়েশন হয়ে গেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এ অর্থ আমরা পাব। বিশ্ব ব্যাংকের ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ নেগোসিয়েশন হয়েছে; সেটাও ডিসেম্বরের মধ্যে পাব আমরা।’তিনি বলেন, ‘এ দুইটি ঋণের প্রকৃত অঙ্ক ছিল ৩০০ ও ২৫০ মিলিয়ন ডলার। তার মানে দুইটিই আমরা ডাবল করে পাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকার যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য আইএমএফের কাছে অতিরিক্ত সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এ বছরে আমরা অতিরিক্ত এক বিলিয়ন ডলার চেয়েছি। আগামী ৪ ডিসেম্বরে আইএমএফ আসবে ও তাদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। যে প্রগ্রেস দেখছি, আমরা আশাবাদী এটাও আমরা পাব।’সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধ করব না: অর্থ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কিছু ব্যাংক ভালো অবস্থায় ফিরে আসছে এবং কিছু ব্যাংক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে, কিন্তু সেগুলো বন্ধ করা হবে না। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু ব্যাংক ফিরে আসছে। ইসলামী ব্যাংক বিগেস্ট ব্যাংক। এটা ভালোর দিকে যাচ্ছে। তবে কিছু ব্যাংক খুঁড়ে খুঁড়ে চলবে। আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধ করব না। সব খাত লাগামহীন দুনীতিতে পর্যুদস্ত মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভয়াবহ। লাগামহীন অনিয়ম দুনীতিতে পর্যুদস্ত সব খাত। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেটের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের বেতন ভাতা আটকাবে না। এডিপিতে কোন কোন প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ সময় অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এতে সভাপতিত্ব করেন।সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান, মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার ও কোম্পানি সেক্রেটারি (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে দেবে ইসলামী ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘ব্যক্তির দায়ে এস আলম বা বেক্সিমকোর মত কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না। প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সচল থাকে, সেজন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’ সোমবার (১৮ নভেম্বর) মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, ‘আমরা তহবিল স্থানান্তর ঠেকানোর চেষ্টা করছি। সব বড় শিল্পগ্রুপের সাথে যে বহু মানুষের জীবিকা জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে আরো শক্তিশালী করা যায়, সে ব্যাপারেও সরকার কাজ করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সকলের আমানতের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। আমাদের প্রধান লক্ষ্য সকলের আমানত ফেরত দেওয়া। এ জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করা হবে। তবে, সেটা বাচ্চা নয়, ললিপপ চাইল, আর দিয়ে দিলাম। এ রকম হবে না। সব হিসাব-নিকাশ করে টাকা দেওয়া হবে।’ গভর্নর জানান, ২০১৭ সালে ইসলামি ব্যাংক থেকে মোট ঋণের ৮০ শতাংশই নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। এছাড়া, আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় দুর্বল ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজন অনুযায়ী তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘ব্যাংকটিতে থাকা এস আলমের শেয়ার বিক্রি করে দশ হাজার কোটি টাকা আদায় করা হবে।’ সংকট থেকে ইসলামি ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত তিন মাসে চার হাজার ৯৭২ কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহ করেছে ব্যাংকটি। এছাড়া, প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা।’

বর্তমান সরকারের ১০০ দিনের অর্জন প্রত্যাশা মাফিক হয়েছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশে এখন ব্যবসা বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। কোরিয়ার বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।আজ সোমবার বিকালে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত Mr. Park Young-sikএর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এ প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন।স্বাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন।শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ছাত্রজনতার অভ্যূত্থান বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এখান থেকে পিছনে ফেরা যাবে না। এসময় বর্তমান সরকারের ১০০ দিনের অর্জন প্রত্যাশা মাফিক হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন , বাংলাদেশ - কোরিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে দুইদেশই লাভবান হবে। ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ছাড়াও জনগণের সাথে জনগণের সম্পর্কোন্নয়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।বাণিজ্য উপদেষ্টা কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও চামড়া শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের রপ্তাণি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে কোরিয়ার আরো বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের যুব শ্রেণির মানুষের সংখ্যা বেশি। টেকনলোজিতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কোরিয়া কাজ করতে চায়।এসময় তিনি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে তাদের চলমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।রাষ্ট্রদূত বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশ বাংলাদেশে দুই একটি সিলেক্টেড খাতে বিনিয়োগ করলেও কোরিয়া ইতোমধ্যে অনেক খাতেই বিনিয়োগ করেছে। ভবিষ্যতে বিনিয়োগ আরো বাড়বে।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যের বৈচিত্র্য উদযাপনে 'ঐতিহ্যের হাট'
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার বিখ্যাত সব পণ্যের পশরা সাজিয়ে তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'ঐতিহ্যের হাট'। দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চর্চায় এবং একই সাথে শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে অনুপ্রেরণা জোগাতে “ঐতিহ্যের হাট” শিরোনামে, ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ ¯েøাগান নিয়ে ২০২২ সালে যাত্রা শুরু করা এই ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট আয়োজন করছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ। আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিরুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীন ক্যাম্পাসে এ বিশেষ হাটের আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ উইক (১৮-২৪ নভেম্বর) সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়; জমকালো এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অঅরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব- উল হক মজুমদার, বাণিজ্য ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুম ইকবাল, গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ উইকের ন্যাশনাল হোস্ট কে এম হাসান রিপন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রাপেনিউরশীপ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ। এ বছর 'ঐতিহ্যের হাট' আয়োজন করা হচ্ছে গেøাবাল এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ উইক ২০২৪ উদযাপনের অংশ হিসেবে। গেøাবাল এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ উইক ১৮ থেকে ২৪ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত উদযাপিত হবে, যার মধ্যে এই বিশেষ ইভেন্টটি অন্যতম আকর্ষণ। এ আয়োজনের কো-পার্টনার হিসেবে রয়েছে ‘সোশ্যাল বিজনেস স্টুডেন্টস' ফোরাম’ এবং ক্লাব পার্টনার ‘বিজনেস এন্ড এডুকেশন ক্লাব’। 'ঐতিহ্যের হাট' এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ব্যবসায়িক ধারণা একত্রিত হয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন জাগ্রত করবে।"বাধা দূর করুন এবং সবাইকে স্বাগত জানান, এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশে ১৮-২৪ নভেম্বর ২০২৪ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রাপেনিউরশীপ এর আয়োজনে উদযাপিত হতে যাচ্ছে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ উইক ২০২৪। বিশ্বের ২০০টি দেশ জুড়ে উদযাপিত হবে, যেখানে ৪০,০০০ এর বেশি ইভেন্ট এবং দশ মিলিয়ন মানুষ এই উদযাপনে অংশ নেবে। বাংলাদেশে, গেøাবাল এন্ট্রপ্রিনিউরশীপ নেটওয়াক-বাংলাদেশ (এঊঘ বাংলাদেশ) ৫০টিরও বেশি অংশীদার সংস্থার সাথে ৫০০টির বেশি ইভেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা সরাসরি ১ লাখ এবং ডিজিটালি ৩০ লাখ যুবকদের প্রভাবিত করবে। সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজন দেশের স্টার্টআপ, উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোক্তা, ইকোসিস্টেম নির্মাতা, পরামর্শদাতা, বিনিয়োগকারী এবং উৎসাহী অংশগ্রহণকারীদের একত্রিত করে এক মিলন মেলায় রুপ নেবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন ।ক্যাপশনঃ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ এর উদ্যোগে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চর্চায় এবং একই সাথে শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে অনুপ্রেরণা জোগাতে “ঐতিহ্যের হাট” শিরোনামে, ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেনছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব- উল হক মজুমদার, বাণিজ্য ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল, গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ উইকের ন্যাশনাল হোস্ট কে এম হাসান রিপন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন এন্ড এন্ট্রাপেনিউরশীপ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে হজ এজেন্সি প্রতিনিধিদের মতবিনিময়
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর ঢাকা নর্থ জোন, ঢাকা সাউথ জোন ও কর্পোরেট শাখাসমূহের উদ্যোগে হজ এজেন্সি সমূহের প্রতিনিধির সাথে ‘হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল-মামুন।অনুষ্ঠানে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাদিম, মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী, মোঃ আসাদুজ্জামান ভূঁঞা, কাজী মাহমুদ করিম, শীর্ষ নির্বাহীবৃন্দ এবং শাখা সমূহের ব্যবস্থাপকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন হজ এজেন্সির মালিক উপস্থিত ছিলেন।

নতুন আলুর কেজি ৩০০ টাকা বগুড়ায়
আগাম জাতের নতুন আলু ওঠেছে বগুড়া জেলার বাজারে। তবে, মূল্য নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা গেছে। আকার ও প্রকারভেদে ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু। বগুড়ার সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার ফতেহ্ আলী বাজার ও রাজাবাজারে আগাম জাতের নতুন আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর কোন বাজারে চোখে পড়েনি নতুন আলু। শীতকালীন সবজির পাশাপাশি নবান্নকে কেন্দ্র করে আলুর মূল্য বেশি বলে জানা গেছে। তবে, মূল্য বেশি হলেও, অল্প করে কিনছেন অনেকে। ফতেহ আলী বাজারের বিক্রেতা কার্তিক সূত্রধর জানান, বগুড়ায় এখনো নতুন আলু তোলা শুরু হয়নি। কিছু কৃষক অল্প পরিমাণে আগাম আলু রোপণ করেছিলেন, তারাই বাজারে বিক্রি করছেন। এ ছাড়া, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর থেকে কিছু নতুন আলু আসছে। চাহিদা বেশি থাকায় নতুন আলুর মূল্য বেশি পড়ছে। রাজাবাজারে আলু কিনতে আসা ক্রেতা হাসমত আবরি বলেন, ‘নবান্ন উৎসবকে ঘিরে সবকিছুই নতুন লাগে। চাল নতুন, শাক-সবজি সবকিছুই নতুন। নতুন সবকিছু দিয়েই পালন করা হয় নবান্ন। বিক্রেতারা এ সুযোগে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে নতুন আলু বিক্রি করছেন। যেহেতু বাজারে পর্যাপ্ত নতুন আলু নেই, তাই এ মূল্যে বাধ্য হয়েই কিনতে হয়েছে।’ কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, ডিসেম্বরের শেষে থেকে জানুয়ারিতে নতুন আলু বাজারে আসবে। এ বছর শস্যভাণ্ডারখ্যাত বগুড়া জেলায় দুই হাজার ২৫০ হেক্টর জমি থেকে সাড়ে ৪০ হাজার টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বগুড়া জেলার সদর উপজেলা, শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর, কাহালু, নন্দীগ্রামসহ বিভিন্ন উপজেলায় এখন আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা। জেলার কিছু উপজেলায় আগাম ধান কাটার পর আলু রোপণ করা হচ্ছে। অক্টোবর মাসের শেষ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলে আলু রোপণ। রোপণের ৬০ দিন থেকে আলু উত্তোলন শুরু করেন চাষীরা। আগাম জাতের আলু চাষে প্রতি বিঘায় সর্বোচ্চ ৪০-৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়।

এস আলমের ঋণ জালিয়াতি: বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
এস আলম গ্রুপ ও তার সহযোগীদের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্যে এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উপ-পরিচালক ইয়াছির আরাফাত সই করা তলবি চিঠিতে আগামী ২০ ও ২১ নভেম্বর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে হাজির হতে বলা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চিঠিতে ২০ নভেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে- বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের যুগ্মপরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, অনিক তালুকদার, অতিরিক্ত পরিচালক শংকর কান্তি ঘোষ, ছলিমা বেগম, উপপরিচালক মো. জুবাইর হোসেন ও রুবেল চৌধুরী। ২১ নভেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে- বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ মু. আরিফ-উন-নবী, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মো. শোয়েব চৌধুরী, মো. মঞ্জুর হোসেন খান ও মো. আব্দুর রউফ, উপ-পরিচালক লেনিন আজাদ পলাশ এবং পরিচালক মো. সরোয়ার হোসাইন। চিঠিতে কর্মকর্তাদের হাজির হওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এছাড়া চিঠিতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চাকতাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবিলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস নামীয় ঋণ পরিদর্শন ও মনিটরিং সংক্রান্ত কর্মকর্তা ভূমিকার বিষয়ের বিস্তারিত তথ্যসহ হাজির হতে বলা হয়েছে। একই ঘটনায় এর আগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল সংস্থাটি। অভিযোগ রয়েছে, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরী, জুবিলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসসহ অন্যান্যরা ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংকে থেকে আত্মসাৎ করেছে।

১৬ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১২৫ কোটি মার্কিন ডলার
চলতি নভেম্বর মাসের ১৬ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১২৫ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৫ হাজার ৬২ কোটি টাকা। রোববার (১৭ নভেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্য বলছে, নভেম্বরের ১৬ দিনে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে সাত কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬২৫ ডলার। আর আগের মাস অক্টোবরে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসে সাত কোটি ৯৮ লাখ ৩৬ হাজার ডলার। আগের বছরের নভেম্বর মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসে ছয় কোটি ৪৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৭ ডলার। এ হিসাবে আগের বছরের নভেম্বর মাসের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। আবার আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে কিছুটা কম এসেছে। তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নভেম্বরের ১৬ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ কোটি ৭ লাখ ডলার। কৃষি ব্যাংকের ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসে ৩২ লাখ ২০ হাজার ডলার। নভেম্বরের ১৬ দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার ডলার।