নতুন আলুর কেজি ৩০০ টাকা বগুড়ায়


নতুন আলুর কেজি ৩০০ টাকা বগুড়ায়

আগাম জাতের নতুন আলু ওঠেছে বগুড়া জেলার বাজারে। তবে, মূল্য নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা গেছে। আকার ও প্রকারভেদে ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু। 

বগুড়ার সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার ফতেহ্ আলী বাজার ও রাজাবাজারে আগাম জাতের নতুন আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর কোন বাজারে চোখে পড়েনি নতুন আলু। শীতকালীন সবজির পাশাপাশি নবান্নকে কেন্দ্র করে আলুর মূল্য বেশি বলে জানা গেছে। তবে, মূল্য বেশি হলেও, অল্প করে কিনছেন অনেকে।  

ফতেহ আলী বাজারের বিক্রেতা কার্তিক সূত্রধর জানান, বগুড়ায় এখনো নতুন আলু তোলা শুরু হয়নি। কিছু কৃষক অল্প পরিমাণে আগাম আলু রোপণ করেছিলেন, তারাই বাজারে বিক্রি করছেন। এ ছাড়া, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর থেকে কিছু নতুন আলু আসছে। চাহিদা বেশি থাকায় নতুন আলুর মূল্য বেশি পড়ছে।

রাজাবাজারে আলু কিনতে আসা ক্রেতা হাসমত আবরি বলেন, ‘নবান্ন উৎসবকে ঘিরে সবকিছুই নতুন লাগে। চাল নতুন, শাক-সবজি সবকিছুই নতুন। নতুন সবকিছু দিয়েই পালন করা হয় নবান্ন। বিক্রেতারা এ সুযোগে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে নতুন আলু বিক্রি করছেন। যেহেতু বাজারে পর্যাপ্ত নতুন আলু নেই, তাই এ মূল্যে বাধ্য হয়েই কিনতে হয়েছে।’

কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, ডিসেম্বরের শেষে থেকে জানুয়ারিতে নতুন আলু বাজারে আসবে। এ বছর শস্যভাণ্ডারখ্যাত বগুড়া জেলায় দুই হাজার ২৫০ হেক্টর জমি থেকে সাড়ে ৪০ হাজার টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বগুড়া জেলার সদর উপজেলা, শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর, কাহালু, নন্দীগ্রামসহ বিভিন্ন উপজেলায় এখন আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা। জেলার কিছু উপজেলায় আগাম ধান কাটার পর আলু রোপণ করা হচ্ছে। অক্টোবর মাসের শেষ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলে আলু রোপণ। রোপণের ৬০ দিন থেকে আলু উত্তোলন শুরু করেন চাষীরা। আগাম জাতের আলু চাষে প্রতি বিঘায় সর্বোচ্চ ৪০-৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×