
বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৪০তম প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত হল প্রাইম লিফ প্রসেসিং
বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষে (বেপজা) বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৪০তম প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে লিজ চুক্তি সই করেছে প্রাইম লিফ প্রসেসিং কোম্পানি লিমিটেড। এই মাইলফলক বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান খ্যাতিকে আরো দৃঢ় করবে। সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্রাইম লিফ প্রসেসিং বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৮৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগে তামাক প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবীর ও প্রাইম লিফ প্রসেসিংয়ের চেয়ারম্যান ম্যাং লি বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ঢাকাস্থ বেপজা নির্বাহী দপ্তরে চুক্তিতে সই করেন। বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রাইম লিফ প্রসেসিং বছরে ৩৬ হাজার টন তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাত করবে যেখানে ১০০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই নতুন উদ্যোগটি শিল্পের বৈচিত্র্যায়ন ও বিনিয়োগকারীদের আদর্শ ব্যবসায়িক পরিবেশ প্রদানের ক্ষেত্রে বেপজার অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রমাণ বহন করে। বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বাংলাদেশে বিশেষত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় প্রাইম লিফ প্রসেসিং-কে ধন্যবাদ জানান। তিনি বিনিয়োগকারীদের বিশ্বমানের সহায়তা প্রদান, ব্যবসায় পরিচালনায় অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিতে বেপজার প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেন। আবুল কালাম বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান বিদেশি বিনিয়োগকারীকে বেপজায় বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে পারায় বেপজা গর্বিত। বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাফল্যে প্রাইম লিফ প্রসেসিংয়ের অবদান দেখতে আমরা আগ্রহী। বাংলাদেশের পর্যাপ্ত সুযোগ অনুসন্ধানে আমরা বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীগণকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ ম্যাং লি বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের কারখানা স্থাপনের সুযোগ প্রদানের জন্য বেপজাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে আমাদের কারখানার উৎপাদন শুরু করতে আগ্রহী।’ স্থানীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে তাদের বিনিয়োগের একটি ইতিবাচক প্রভাব থাকবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রাইম লিফ প্রসেসিংসহ মোট ৪০টি প্রতিষ্ঠান বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের লক্ষ্যে চুক্তি সই করল; যাদের মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৯২৬ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ভ্যাট বৃদ্ধির পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা, আন্দোলনের হুমকি
কম ভ্যাটের বিমান ভ্রমণ, সিগারেট, এলপিজি, পোশাক ও রেস্তোরাঁর খাদ্যসহ একাধিক পণ্য ও সেবায় কর বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। ফলে, দেশে এরই মধ্যে ১১ শতাংশ ছাড়ানো মূল্যস্ফীতি আরও তীব্র হতে পারে। সরকারের পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর উদ্যোগে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘জুলাই- আগস্টের আন্দোলন ঘিরে প্রায় ৪-৫ মাস ধরে ব্যবসায় মন্দা ভাব দেখা গেছে। ব্যবসায়-বাণিজ্য যখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, তখনই কর বাড়ানোর মত আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।’ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রেস্তোরাঁয় ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা করেছে। নন-এসি হোটেলের ভ্যাট সাড়ে সাত শতাংশ থেকে দ্বিগুণ করে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এছাড়া, অভ্যন্তরীণ, সার্কভুক্ত দেশে ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে বিমান ভাড়াও বাড়তে পারে। বিমান টিকিটে আবগারি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থানীয় ফ্লাইটে শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা, সার্ক দেশগুলোর ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে তিন হাজার টাকা থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে এনবিআর ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য স্থির করেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘তারা যদি রাষ্ট্র পরিচালনা না করতে পারে; তাহলে দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়া হোক। এভাবে মানুষের ওপর জুলুম করার মানে হয় না। দেশটাকে খাদের কিনারে নিয়ে যাবে? ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আন্দোলন, মূল্যস্ফীতি মিলিয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। এই করের বোঝা বাড়িয়ে আমলাদের চুরি করার একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা স্ট্রাইকে চলে যাব। সব বন্ধ করে দেব। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলছি। নিজেরা বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’ অরুনিমা রিসোর্টের চেয়ারম্যান ও ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট কবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এমনিতেই পর্যটন খাতের ১২টা বেজে রয়েছে। তারপর উড়োজাহাজের টিকিটের দাম বাড়লে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ খাত সংশ্লিষ্টরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আমরা সবার সঙ্গে বসে করণীয় ঠিক করব।’ বর্তমানে তৈরি পোশাকের আউটলেটের বিলের ওপর সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। এটি বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মিষ্টি কেনার ক্ষেত্রে ভ্যাট হার সাড়ে সাত শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইনে কিছু সংশোধন আনতে যাচ্ছে সরকার। যেন ওষুধ, গুঁড়াদুধ, সিগারেট, বিমানের টিকিটসহ ৬৫ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর বাড়তি মূসক ও শুল্ক আরোপ হতে পারে। ফলে, বাজেটের আগেই এসব পণ্য ও সেবার দাম এক দফা বাড়তে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। এসব সংশোধনীসহ মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে গতকাল বুধবার (১ জানুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক বিক্রি ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে দিতে হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট
বিদ্যমান নিয়মে কোন ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক বিক্রি ৫০ লাখ থেকে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত হলে তার জন্য চার শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল। তবে, টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা ছাড়ালেই এখন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বেড়ে যাবে। হিসাব অনুযায়ী, কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের দৈনিক বিক্রি গড়ে ১৩ হাজার ৬৯৮ টাকা পার হলেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ শতাংশ ভ্যাটের আওতায় চলে আসতে পারে। বর্তমানে বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট দিতে হয় না। এছাড়া, তাদের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন বা বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (বিআইএন) নিতেও বাধ্য করা হয়নি। তবে, নতুন নিয়মে বছরে ৩০ লাখ টাকার বেশি টার্নওভার হলে ওই প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে বিআইএন নিতে হবে। এনবিআরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন লক্ষ্য পূরণে বছরের মাঝামাঝি এসে এভাবে ভ্যাট হার বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নতুন ভ্যাট প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে কার্যকর করা হতে পারে।’

ডিসেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি আয় ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে চার দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের একই মাসে ছিল তিন দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) রপ্তানি আয় বেড়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং ওই সময় আয় হয়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার; যা আগের বছর ছিল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর মাসে পোশাক খাতের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ১৯ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে হিমায়িত এবং জীবন্ত মাছ থেকে রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ বেড়ে ২৬৪ মিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা গত বছর ছিল ২১৭ মিলিয়ন। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে ৫৭৭ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে যা গত বছর ছিল ৫২৩ মিলিয়ন ডলার। কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫৯৬ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি। পাট ও পাটজাত পণ্যে ৮ দশমিক ১১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং আয় হয়েছে ৪১৭ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করে ১৫৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের ১২২ মিলিয়নের তুলনায় ২৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে ১১৪ দশমিক ৪২ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। চামড়ার জুতা রপ্তানি ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে এবং ৩৫৩২ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২৭০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু চামড়াজাত পণ্যে ১১ দশমিক ১০ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছরের ১৮২ মিলিয়ন ডলারের বিপরীতে এ খাত আয় করেছে ১৬২ মিলিয়ন ডলার। কৃত্রিম চামড়ার পাদুকা থেকে রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে, যা ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এই উদীয়মান খাত আয় করেছে ২৭৪ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৯৭ মিলিয়ন ডলার। হোম টেক্সটাইল খাতে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে ৪১১ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৩৮১ মিলিয়ন ডলার।

চট্টগ্রামে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের রিটেইল বিজনেস হাব উদ্বোধন
গ্রাহকদের রিটেইল ব্যাংকিং সেবা দিতে চট্টগ্রাম সিটির জামালখান শাখায় রিটেইল বিজনেস হাব চালু করেছে আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক (এআইবি) পিএলসি। রিটেইল গ্রাহকরা হোম, সেমি পাকা, কার, পার্সোনাল বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ব্যাংকিং সুবিধা এ বিজনেস হাব থেকে পাবেন। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফরমান আর চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে বিজনেস হাবের উদ্বোধন করেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান চৌধুরী। চট্টগ্রাম জোনাল হেড মোহাম্মদ আযমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হাবীব উল্লাহ, মো. শোয়েব ইসলাম চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জালাল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম ওজোনের শাখা ব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন।

ভ্যাট বাড়লেও প্রভাব পড়বে না নিত্যপণ্যে: অর্থ উপদেষ্টা
হোটেল, রেস্তোরাঁ ও পোশাকসহ ৪৩টি পণ্য-সেবার ওপরে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যের দামের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে নয়, বরং রাজস্ব বাড়ানোর স্বার্থেই বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।’তবে, ৪৩টি পণ্যের উপরে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যের দামের ওপরে প্রভাব পড়বে না উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে না। তিন তারকা মানের ওপরের হোটেলগুলোর ক্ষেত্রে কর বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানের হোটেল রেস্তোরাঁর ওপরে বাড়ানো হয়নি।’চলতি নতুন বছরে দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসবে বলেও জানান উপদেষ্টা। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে পর্যাপ্ত সাপোর্ট দেয়া হবে। আগামী বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে।’

হোটেল, রেস্তোরাঁ ও পোশাকসহ ৪৩ পণ্য-সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট হচ্ছে
কম ভ্যাটের অন্তত ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ আরোপের পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এসব খাতে বর্তমানে ৫-১০ শতাংশ হারে ভ্যাট নেওয়া হয়। মূল্যস্ফীতির এ সময়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাড়ানোর ফলে সাধারণ ভোক্তার ওপর নতুন করে ব্যয়ের চাপ তৈরি হতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাকি ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হোটেল, রেস্তোরাঁ ও পোশাকের ওপর ভ্যাটের হার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে এনবিআর। বর্তমানে সাধারণ মানের ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এটি বেড়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া, নন-এসি হোটেলের ভ্যাট ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আর স্থানীয় ব্র্যান্ডের পোশাকের ওপর বর্তমানে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। এটিও দ্বিগুণ হতে পারে। শুধু ব্র্যান্ডেড নয়, সাধারণ মানের যে কোন পোশাক কিনলেই ক্রেতাদের এ হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হতে পারে। মেডিসিন ব্যবসায়ও ভ্যাট বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, যেসব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কেনার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ট্রেড ভ্যাট কার্যকর আছে, সেটি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সাবান, ডিটারজেন্ট, পেইন্ট, সুপারি ও আরও সাতটি পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আসতে পারে এনবিআরের কাছ থেকে। এর বাইরে বিমানের টিকিটের ক্ষেত্রে এক্সাইজ ডিউটি এবং তামাক পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যালু বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে রাজস্ব বোর্ডের। এনবিআরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন লক্ষ্য পূরণে বছরের মাঝামাঝি এসে এভাবে ভ্যাট বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।’ এ প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে আগামী শনিবার (৪ জানুয়ারি) অধ্যাদেশ জারি করে কার্যকর করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের আরেক কর্মকর্তা। আগামী অর্থবছর থেকেই প্রায় সব পণ্য ও সেবার ওপর একক ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কার্যকর করতে চায় এনবিআর। ২০১২ সালে আইএমএফকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে পাশ করা একটি আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেও তা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এনবিআরের ভ্যাট নীতির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বলেন, ‘চলতি মাস থেকেই বড় আমরা ১৫ শতাংশ ইউনিফায়েড রেটের পরিকল্পনা করছি।’

আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলায় উপেক্ষিত এফবিসিসিআই, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ
বুধবার (পহেলা জানুয়ারি ২০২৫) পূবার্চলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৯ তম ঢাকা আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলা অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস উদ্বোধন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা জনাব শেখ বশির উদ্দিন। বিগত বছরগুলোতে এফবিসিসিআই এর সভাপতি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন এবং বক্তব্য প্রদান করেন। এবার এফবিসিসিআই প্রশাসক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসাবে হাফিজুর রহমান উপস্থিত থাকার পরেও বক্তব্য প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়নি। বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ(এফবিসিসিআই) এ তথ্য জানান। বিবৃতিতে বলা হয় এফবিসিসিআই সর্বোচ্চ বাণিজ্য সংগঠন হিসাবে দেশের ৪ কোটি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে। এ ধরণের আচারণ ব্যবসায়ীদের সংক্ষুদ্ধ এবং অপমানিত করেছে। বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ দেশের অর্থনীতিকেগতিশীল করার জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে আরো ইতিবাচক ভূমিকা আশা করেন।উপরোক্ত বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য দাবী জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ।

২০২৪-২৫ অর্থবছর: রাজস্ব আদায়ে বড় ধাক্কা, পাঁচ মাসে ঘাটতি ৪২ হাজার কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরের পঞ্চম মাস নভেম্বরেও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রাজস্ব আদায় করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায় কমেছে দুই দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ‘সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সরে না এলে বাড়বে না রাজস্ব আদায়।’ দেশ পরিচালনায় খরচ মেটাতে চলতি অর্থবছরে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা সাজিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে আন্দোলন, সংঘাত, ক্ষমতার পালাবদলের কারণে তৈরি হওয়া অস্থিরতার মাঝেই মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করছে সরকার। এমন প্রেক্ষাপটে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আয় করতে পারছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।সংস্থাটির হালনাগাদ পরিসংখ্যান বলছে, ‘চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর এই পাঁচ মাসে, রাজস্ব আদায় হয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা কম। বছর ব্যবধানে কমেছে ২ দশমিক ৬২ শতাংশ।’আর শুধু নভেম্বরে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৫ হাজার ৩৫৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ কম।দেশের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে মন্দাভাব থাকায় চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় কম বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এমন পরিস্থিতিতে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি থেকে সরে আসার পরামর্শ তাদের। অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবির বলেন, ‘সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে হবে। এটা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সরে না এলে বাড়বে না রাজস্ব আদায়।’এছাড়া, বিনিয়োগ বাড়াতে ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনার দিকেও তাগিদ দিয়েছেন তারা।

সাবমিশন স্ট্যাটাস অফ ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্টস অফ লিস্টেড কোম্পানিজ মডিউল উদ্বোধন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (ডিএসই) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) সাবমিশন স্ট্যাটাস অফ ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্টস অফ লিস্টেড কোম্পানিজ মডিউল উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এ মডিউলের উদ্বোধন করেন। এই মডিউলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বা যে কোন আগ্রহী পক্ষ (গুলি) তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক বিবরণী জমা দেওয়ার অবস্থা দেখতে পারবে । খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এটিকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি অনন্য অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিনে সফলভাবে মডিউলটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডার অর্থাৎ কমিশন, ডিএসই এবং সিএসইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহাদী হাসান, ডেপুটি জেনারেল (হেড অব আইটি সার্ভিসেস) ম্যানেজার হাসনাইন বারী, ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজিএম. সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ, প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক কামরুল আনাম খান, পরিচালক মো. আবুল কালাম, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে সিএসইর চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান সাবমিশন স্ট্যাটাস অফ ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্টস অফ লিস্টেড কোম্পানিজ মডিউলটির অসাধারণ ও সফল বাস্তবায়নের জন্য কমিশন, সিএসই এবং ডিএসইর সংশ্লিষ্ট সকলের প্রশংসা করেন ও ধন্যবাদ জানান।

কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের রেকর্ড
কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। সদ্য বিদায়ী বছরে ৩২ লাখ ৭৬ হাজার কনটেইনার এবং ১২ কোটি ৩৯ লাখ মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে এখানে। মূলত ডলার সংকট কাটিয়ে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য গতিশীল হওয়ায় বন্দরের এই সফলতা বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। পৃথিবীর ব্যস্ততম ১০০ বন্দরের মধ্যে ৬৭তম অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম বন্দরকে গত কয়েক বছর ধরেই নানা জটিলতার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে। এরইমধ্যে ডলার সংকটের মুখে বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে লাগাম টানায় ভাটা পড়েছিল বন্দরের কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে। ২০২৩ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ৩০ লাখ ৫০ হাজার এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ১২ কোটি দুই লাখ মেট্রিক টনে নেমে এসেছিল।গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পাশাপাশি সেপ্টেম্বরের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশের অর্থনীতি। এত সংকটের মাঝেও ২০২৪ সালে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৩২ লাখ ৭৬ হাজার কনটেইনার এবং ১২ কোটি ৩৯ লাখ মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে এখানে।চবকের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নিজের সক্ষমতা ও সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে বন্দরটি।’রেকর্ডের অংশীদার কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলতে নতুন বছরের প্রথম দিন বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালেই জেটিতে আসেন চবকের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা অনেক উন্নত করা হয়েছে। এতে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে গতি বেড়েছে। এই গতি ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ অনেক বাড়বে।’তবে, বন্দরটির অবস্থা বছরের শুরুতে এতটা রমরমা অবস্থায় ছিল না। ডলার সংকট আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় হারাতে বসেছিল বিশ্ব র্যাংকিংয়ের অবস্থান। বর্তমানে এলসি খোলার ক্ষেত্রে ডলারের জোগান বাড়ায় আমদানি ও রফতানি দুটিই বেড়েছে বলে জানান শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আরিফ। তিনি বলেন, ‘এলসি খুলতে পারায় ও কাঁচামাল আমদানি বাড়ায় বেড়েছে উৎপাদন। এতে রফতানির পরিমাণও বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।’

বাণিজ্য মেলায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের প্রিমিয়ার স্টল উদ্বোধন
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির প্রিমিয়ার স্টল ও তিনটি এটিএম বুথ উদ্বোধন করা হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বুধবার (১ জানুয়ারি) ফিতা কেটে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার পূর্বাচলে ইসলামী ব্যাংকের ৬৩ নম্বর স্টল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম মাহবুব মোরশেদ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মজনুজ্জামান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এই স্টলে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আধুনিক ব্যাংকিং সেবাসহ বাণিজ্য মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শনাথী, গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের তথ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। ব্যাংকের স্টলে রয়েছে অটোমেটেড চালান সিস্টেমের (এসিএস) মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ভ্যাট, ট্যাক্স ও বিভিন্ন ফি জমাদানের ব্যবস্থা। ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিদিনের লেনদেনের ভ্যাট-ট্যাক্সসহ অন্যান্য ফি এই স্টলে নিয়মিত জমা দিতে পারছেন। হিসাব খোলার ফরম পূরণ, এটিএম-সিআরএম থেকে টাকা উত্তোলন ও জমাসহ বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ সেলফিন, এমক্যাশ, এজেন্ট ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ আমানত ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানা যাচ্ছে। সার্বিক সহায়তা করছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এছাড়া, ব্যাংকের তিনটি এটিএম বুথ থেকে হিসাবারীরা এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তুলে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে পারছেন। সিআরএমের মাধ্যমে বিক্রেতারাও যে কোন সময় নিজেদের টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ইসলামী ব্যাংক ২০১২ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাসহ ক্রেতা দর্শনার্থীদের স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম বাড়ানো ও মানুষকে ইসলামী ব্যাংকিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে প্রতি বছর মেলায় অংশ নিয়ে থাকে ইসলামী ব্যাংক।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসল ডিসেম্বরে
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দুই দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাই দুই দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙল ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ‘২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।’ তথ্য বলছে, ‘চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বরে) এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি এসেছে। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮০ কোটি ডলার।’

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক্সেসরিজ তৈরির কারাখানা স্থাপন করবে ইপিএল
বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি এক্সেসরিজ তৈরির কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ইপিএল (এক্সপোর্ট লিংক) এক্সেসরিজ লিমিটেডের সাথে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। প্রতিষ্ঠানটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে যার; ফলে ৬১০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বুধবার (১ জানুয়ারি) বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবীর এবং ইপিএল (এক্সপোর্ট লিংক) এক্সেসরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মনোয়ার হোসেন চুক্তিতে সই করেন।প্রতিষ্ঠানটি ফোম, কার্টন, পলি ও গাম টেপসহ বিভিন্ন ধরনের এক্সেসরিজ পণ্য তৈরি করবে। এছাড়া, তাদের ফোম ও ফ্রেব্রিক ল্যামিনেশন, স্ক্রিন প্রিন্ট ও এমব্রয়ডারির সক্ষমতাও রয়েছে। বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ইপিএল এক্সেসরিজকে ধন্যবাদ জানান এবং সুষ্ঠুভাবে ব্যবসায় পরিচালনায় সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, সদস্য (অর্থ) আনম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. তানভীর হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ সার্ভিসেস) মো. খুরশিদ আলম, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এএসএম. আনোয়ার পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।

তিন ব্যাংককে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের
বাংলাদেশ ব্যাংক বিদায়ী ২০২৪ সালের শেষ দিনে আর্থিক হিসাব ঠিক রাখতে তিনটি বেসরকারি ব্যাংককে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিশেষ ঋণ দিয়েছে। এই ব্যাংকগুলো হল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং এবি ব্যাংক। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বছরের শেষ দিনে চলতি হিসাবের ঘাটতি পূরণে এই অর্থ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পেয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক পেয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা এবং এবি ব্যাংক পেয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও, দৈনন্দিন তারল্য সংকট মেটাতে এবি ব্যাংককে আরও ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।বুধবার (১ জানুয়ারি) এই ঋণ ফেরত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষ এই ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। গত ১৫ বছরে নানা অনিয়মের কারণে তিন ব্যাংকই বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে এস আলম গ্রুপ প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে বের করে নেয়, যা ব্যাংকটির মোট ঋণের ৫০ শতাংশ। ন্যাশনাল ব্যাংকেও সিকদার গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বিশাল অঙ্কের ঋণ অনিয়মিত হয়েছে। অন্যদিকে, এবি ব্যাংক দীর্ঘ দিন ধরে অনিয়মের শিকার, যা এর প্রতিষ্ঠাতা বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী মোরশেদ খানের পরিবার দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছিল। ঋণ অনিয়মের কারণে এই ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নগদ জমার হার (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমার হার (এসএলআর) বজায় রাখতে পারছে না। আগে থেকেই ট্রেজারি বিল ও বন্ড বন্ধক রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারা ঋণ নিয়েছে। ফলে নতুন করে ধার নেওয়ার কোন উপকরণ না থাকায় বছরের শেষ দিনে বিশেষ ঋণের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই ঋণ ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত দেখাতে সহায়তা করলেও মূল সমস্যার সমাধানে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন। অনিয়ম রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এই ধরনের সংকট পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

বাণিজ্য সচিবের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন আবদুর রহিম
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খানকে। নতুন সচিব পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখা এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। আদেশে বলা হয়, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনের অবসরজনিত কারণে নতুন সচিব পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খানকে তার নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি নির্দেশক্রমে সচিবের রুটিন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সরকারি চাকরি থেকে অবসরে গিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন। তাকে দেয়া অবসরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’- এর (২০১৮ সনের ৫৭ নম্বর আইন) ধারা ৪৩ (১) অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর থেকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেয়া হল। তিনি বিধি অনুযায়ী অবসর ও অবসর-উত্তর ছুটিকালীন সুবিধা পাবেন।’

ডলারের দাম বাজারমুখী করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ডলারের দাম আরও বাজারমুখী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমোদিত ব্যাংক শাখাগুলো (এডি ব্রাঞ্চ) তাদের গ্রাহক ও ডিলারদের কাছে নিজেরা আলোচনার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার দাম নির্ধারণ করতে পারবে।গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমোদিত শাখাগুলো (এডি শাখা) থেকে প্রতিদিন দুইবার বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে পাঠাতে হবে। এক লাখ ডলারের বেশি কেনাবেচার তথ্য বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে জানাতে হবে। এছাড়া বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার পুরো তথ্য বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে জানাতে হবে। নির্ধারিত ছকে বাংলাদেশ ব্যাংককে এসব তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এতে আরও বলা হয়েছে, ১২ জানুয়ারি থেকে বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিদিনের একটি ভিত্তিমূল্য বা রেফারেন্স প্রাইস প্রকাশ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ ভিত্তিমূল্য প্রকাশ করা হবে।এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে হস্তক্ষেপ বিষয়ক একটি নীতিমালা প্রকাশের ঘোষণাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব বৈদেশিক মুদ্রার দাম বাজারভিত্তিক রাখতে এই নীতিমালা হয়েছে। যাতে বাজারভিত্তিক দামের সুবিধা নিয়ে মুদ্রা বাজারকে কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে।প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মধ্যে ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। চলতি বছরের মধ্যে ডলারের দাম পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে ডলারের দাম আরও কিছুটা বাজারমুখী করতে নতুন প্রজ্ঞাপন দেওয়া হলো।

ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য লিটারে কমল এক টাকা
ডিজেল ও কেরোসিন তেলের মূল্য লিটারে এক টাকা কমেছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মধ্যরাত (১ জানুয়ারি) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। ডিজেল ও কেরোসিনের লিটার ১০৫ টাকা থেকে এক টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, প্রতি লিটার অকটেন ১২৫ টাকা ও পেট্রোল ১২১ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্যে প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে নভেম্বর মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিতে জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ১ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৫০ পয়সা কমিয়েছিল সরকার।

আবদুল আলীম স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত
একেএম আব্দুল আলীম স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (২৯ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪০৪তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে নির্বাচিত করা হয়। তিনি ব্যাংকের অডিট কমিটির সদস্য ও শরি‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির পর্যবেক্ষক। ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান, তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল আলীম স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও চেয়ারম্যান এবং ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ আবদুল আজিজের একমাত্র পুত্র। সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ও আন্তর্জাতিক ব্যাবসায়ে দক্ষ, বৈশ্বিক অর্থনীতি বিষয়ে বিশেষ উৎসাহী আব্দুল আলীম স্কুল স্কলাস্টিকা থেকে ‘ও’ এবং ’এ’ লেভেল পাশ করার পর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ ও পরবর্তী যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন।বর্তমানে তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেস ইউএসএরপরিচালক, ম্যাস কর্পোরেশনের প্রোপ্রাইটর, মিডল্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের পরিচালক এবং গ্লোবাল লেদার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। সমাজসেবী আব্দুল আলীম গুলশান সোসাইটির আজীবন সদস্য, লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনালের সদস্য, গুলশান নর্থ ক্লাব লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য। তিনি ভ্রমণ ও কাজের প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড, চীন, হংকং, সংযুক্ত আরবআমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত ও নেপালসহ বহু দেশে ভ্রমণ করেছেন।

খুলনায় এনসিসি ব্যাংকের নতুন উপশাখার উদ্বোধন
খুলনায় এনসিসি ব্যাংকের কেডিএ এভিনিউ উপশাখা সম্প্রতি আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস এম হাসান রেজা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শাখাটির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মোঃ মনিরুল আলমের সভাপতিত্বে খুলনা বিশ্বাবদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধ্যাপক মেহেদী হাসান মোঃ হেফজুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক এসকে. শাহরিয়ার রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।এসময়, এনসিসি ব্যাংকের দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রবীর কুমার সাহা, যশোর শাখার ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম, খুলনা শাখার ব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ এবং কেডিএ এভিনিউ উপশাখার ইনচার্জ শামসুন নাহারসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস এম হাসান রেজা খুলনার কেডিএ এভিনিউতে এনসিসি ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধনের কার্যক্রমকে স্বাগত জানান। শাখাটি অত্র এলাকার গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি এলাকার ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের এই উপশাখা হতে এনসিসি ব্যাংকের সেবাসমূহ গ্রহণের আহ্বান জানান।সভাপতির বক্তব্যে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মোঃ মনিরুল আলম বলেন, বর্তমান এই প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংকিং ব্যবসায় এনসিসি ব্যাংক গ্রাহকদের বর্ধিত চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এর শাখা ও উপ-শাখার বিস্তৃতি ঘটিয়ে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শিল্প, বন্দর ও সুন্দরবনকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠা খুলনার নগর উন্নয়নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতেই কেডিএ এভিনিউতে উপশাখার কার্যক্রম শুরু করেছে। অত্র এলাকার শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং এসএমই ও রিটেইল ব্যবসা এবং রেমিট্যান্স এর ক্ষেত্রে এনসিসি ব্যাংকের কেডিএ এভিনিউ উপশাখাটি প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনা বিশ্বাবদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধ্যাপক মেহেদী হাসান মোঃ হেফজুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক এসকে. শাহরিয়ার রহমান, এনসিসি ব্যাংকের কেডিএ এভিনিউ উপশাখা খোলার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষদের এনসিসি ব্যাংকের এই উপশাখায় ব্যাংকিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-উবারের মধ্যে চুক্তি সই: বাণিজ্য মেলা শুরু আগামীকাল
কাল বুধবার (১ জানুয়ারি) পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৫। সকাল দশটায় মেলার উদ্বোধন করেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে মেলার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, রপ্তাণি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যাত্রী পরিবহনে বিশেষ ছাড় দিতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও অ্যাপসভিত্তিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ওবারের মধ্যে এমওইউ সই হয়। পরে বাণিজ্য উপদেষ্টা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রবেশের ই টিকেটিং অ্যাপসের উদ্বোধন করেন। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রথম বারের মত অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল/প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় প্রথম বারের মতো ই-টিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস। মেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর। সঙ্গে দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণার্থে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন। মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর/পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিদেশী উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে থাকছে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্নার, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে শিশু পার্কও। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, চতুর্থ বারের মত বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পূর্বাচলস্থ বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে। মেলার লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬১টি প্যাভিলিয়ন/স্টল/রেস্টুরেন্ট দেশীয় উৎপাদক-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শতভাগ স্বচ্ছতায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দেশিয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স এ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্সস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ,প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল,টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শন ও বিক্রি হবে। বাংলাদেশ ব্যতীত সাতটি দেশের মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হল ভারত, পাকিস্থান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া। এক্সিবিশন সেন্টারের দক্ষিণ-পূর্ব পার্শ্বে জুলাই চত্বর, দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে কালচারাল সেন্টার, টেকনোলজি কর্ণার, রিক্রিয়েশন কর্নার এবং সেন্টারের উত্তর-পূর্ব (ছয় একর) পার্শ্বে শিশু পার্ক ও উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে ছত্রিশ চত্বর ও নামাজ ঘর স্থাপন করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মেলার প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রাঙ্গণের বাইরে ও নিয়মিত টহল দল থাকবে। নিরাপত্তা অগ্রাধিকার বিবেচনায় মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, প্রবেশ গেইট, পার্কিং এরিয়া ও সংশ্লিষ্ট সব এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। এবারের মেলায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে। এক্সিবিশন হলে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আলাদা টয়লেটের পাশাপাশি এক্সিবিশন হলের বাইরেও পর্যাপ্ত সংখ্যক টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় খাদ্যদ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ গঠিত টিম মেলা চলাকালীন প্রতিদিন ভেজাল বিরোধী মোবাইল কোর্ট চালাবে। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও পেশেন্ট কেয়ার এটেনডেন্ট উপস্থিত থেকে ফ্রি প্রাথমিক চিকিৎসা ও চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করবে। মেলার থাকবে পর্যাপ্ত কার পার্কিং এর সুবিধা। ৫ শতাধিক গাড়ি পার্কিং সুবিধা সংবলিত দ্বিতল কার পার্কিং বিল্ডিং ছাড়াও এক্সিবিশন হলের বাইরে ৬ একর জমিতে পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং এর জন্য মেলায় স্থাপন করা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম ও দর্শনার্থীদের সকল প্রকার তথ্য প্রদানের জন্য একটি তথ্য কেন্দ্র। ব্যাংকিং সার্ভিসের জন্য মেলায় থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক ব্যাংক বুথ। মা ও শিশুদের জন্য মেলায় থাকবে মা ও শিশু কেন্দ্র। দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য আরামদায়ক ও শোভন চেয়ার/বেঞ্চ, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্ণার ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূর্বের ন্যায় মেলাটি মাসব্যাপী সকাল ১০.০০ টা হতে রাত ৯.০০ টা পর্যন্ত চলবে (সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০:০০ টা পর্যন্ত)।

আইসিএবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির এজিএম ও নির্বাচন সম্পন্ন
দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি আইসিএবি-সিআরসির কনফারেন্স হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভায় তৃষিত চৌধুরী চেয়ারম্যান ও নাজনিন সুলতানা পুনঃ সেক্রেটারি এবং মো. আবুল কাশেম, মোহাম্মদ আরিফ ও মো. মনিরুজ্জামান সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তৃষিত চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পর মের্সাস দাশ চৌধুরী দত্ত এন্ড কোং চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস থেকে সিএ কোর্স শেষ করেন ও উত্তীর্ণ হন। ইতিমধ্যে তিনি বিভিন্ন সিএ ফার্ম ও দেশী বিদেশী প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি মের্সাস দাশ চৌধুরী দত্ত এন্ড কোং চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টসের সিনিয়র কনস্যালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কর্মসূত্রে তিনি জাপান, সিঙ্গাপুর, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ও ভারতসহ অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করেন। তিনি বিভিন্ন সংগঠন তথা বাংলাদেশ একাউন্টিং এসোসিয়েশন, হিসাব বিজ্ঞান সমিতি, চট্টগ্রাম কর আইনজীবি সমিতি, চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বোট ক্লাব ও গলফ এন্ড কান্ট্রি ক্লাব অব কক্সবাজারের দাতা ও আজীবন সদস্য।অন্য দিকে, নাজনিন সুলতানা আইসিএবির একজন ফেলো সদস্য। তিনি কেপিএমজি রহমান রহমান হক থেকে সিএ আর্টিকেলশীপ সম্পন্ন করে এবং ২০১২ সালে সিএ পাস করেন। তিনি স্নাতকে মেধা তালিকায় নবম স্থান অধিকার করেন। তিনি একজন কর আইনজীবী ও চট্টগ্রাম ট্যাক্সেসবার এসোসিয়েশনের মেম্বার। তিনি মিরসরাই এডুকেশন সোস্যাইটির একজন উপদেষ্টা। নাজনিন সুলতানা চট্টগ্রাম সঙ্গীত পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি এশিয়ান ওমেন ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্সের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া, নাজনিন সুলতানা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পরিষদের একজন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রথম সারির এনজিও এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে ১৫ বছরের বেশি সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ঢাকা বাণিজ্য মেলা ২০২৫: ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আকর্ষণে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের পর্দা উঠছে বুধবার (১ জানুয়ারি)। স্টল-প্যাভিলিয়নগুলো সারছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকছে এক হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের স্মরণে থাকছে জুলাই চত্বর, ৩৬ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন। অংশগ্রহণ করবে সাতটি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠান। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে থাকবে বিআরটিসির ২০০ বাস। চলছে শেষ মুহূর্তের হাক ঢাক, ব্যস্ততা। স্টল-প্যাভিলিয়ন তৈরি শেষে কেউ সাজসজ্জায় ব্যস্ত। কেউ ঠুকছেন শেষ পেরেক। কেউ ব্যস্ত জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের চিত্র তোলার নানা আয়োজনে; সব মিলে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞ।২৯তম বাণিজ্য মেলার পর্দা উঠবে বুধবার। উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তাই, এক দিন আগে কড়াকড়ি করা হয়েছে নিরাপত্তা। ই-টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় প্রবেশ পথে রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা।মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দীন জানান, বিশ্বের সাতটি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ মেলায় থাকছে ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য দিয়ে হবে জুলাই চত্বর, ছত্রিশ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন।আর শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, চেষ্টা চলছে মেলাকে দীর্ঘমেয়াদে আন্তর্জাতিক মানের তৈরি করার। নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকছে এক হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের স্মরণে থাকছে জুলাই চত্বর, ৩৬ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রথম বারের মত অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় প্রথম বারের মত ই-টিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস।এছাড়া মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর। সঙ্গে দেশের তরুণ সমাজকে রফতানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর বা পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এ বছর। বিদেশি উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে থাকছে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্নার, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে শিশু পার্কও। প্রসঙ্গত, মেলা মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

৫ দিন বন্ধ থাকবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লেনদেন
পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম। তবে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের লেনদেন চালু থাকবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, নতুন কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারে মাইগ্রেশনের কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কোর ব্যাংকিং সার্ভিসেস ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিরত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিসেস সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে চায় ব্যাংকটি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এই আবেদনে সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ ব্যাংকটির কোর ব্যাংকিং সার্ভিসেস পাঁচদিন ও এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিসেস সাতদিন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকবে ব্যাংকটির কোর ব্যাংকিং সার্ভিসেস। আর গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে ডাচ্-বাংলার এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিস। এদিকে কোর ব্যাংকিং সিস্টেম (সিবিএস) মাইগ্রেশনের জন্য মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যা অব্যাহত থাকবে আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।