৫ দিন বন্ধ থাকবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লেনদেন

পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম। তবে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের লেনদেন চালু থাকবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, নতুন কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারে মাইগ্রেশনের কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কোর ব্যাংকিং সার্ভিসেস ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিরত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক পিএলসি। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিসেস সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে চায় ব্যাংকটি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এই আবেদনে সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ ব্যাংকটির কোর ব্যাংকিং সার্ভিসেস পাঁচদিন ও এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিসেস সাতদিন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকবে ব্যাংকটির কোর ব্যাংকিং সার্ভিসেস। আর গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে ডাচ্-বাংলার এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিস। এদিকে কোর ব্যাংকিং সিস্টেম (সিবিএস) মাইগ্রেশনের জন্য মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যা অব্যাহত থাকবে আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আজ বন্ধ ব্যাংক লেনদেন

ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো লেনদেন হবে না। বন্ধ থাকবে দেশের প্রধান দুই শেয়ারবাজার ডিএসই ও সিএসইও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছুটির তালিকা অনুযায়ী প্রতি বছরের ১ জুলাই ও ৩১ ডিসেম্বর দুদিন ‘ব্যাংক হলিডে’। আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার জন্য বার্ষিক হিসাবনিকাশ শেষ করতে প্রতি বছর এই দু’দিন ‘ব্যাংক হলিডে’ পালন করা হয়। প্রথানুযায়ী অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই এবং পঞ্জিকা বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকলেও শুধু ব্যাংকের নিজস্ব দাপ্তরিক কার্যক্রম চলে। আর্থিক হিসাব মেলাতে সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকবে। তবে ব্যাংক কিংবা গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকলেও সেখানে কোনো ধরনের লেনদেন সম্পন্ন হয় না। ব্যাংক হলিডেগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক, কোনো ব্যাংক থেকে ব্যাংক বা ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন পরিচালনা করা হয় না। এ সময়ে গ্রাহক চাইলে কার্ডের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও র‌্যাডিসন ব্লু ঢাকার মধ্যে চুক্তি সই

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক (এআইবি) পিএলসি এবং দেশের শীর্ষ স্থানীয় পাঁচ তারকা হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে বাই ওয়ান গেট ওয়ান (বোগো) চুক্তি সই হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সই হয়। ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান চৌধুরী ও হোটেলের সেলস এন্ড মার্কেটিং পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম চুক্তিতে সই করেন।অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ আরিফ হাসান, হোটেলের ফিন্যান্স ডিরেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।চুক্তি অনুসারে আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের প্লাটিনাম কার্ডহোল্ডাররা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার পাবেন।

পূবালী ব্যাংকের কলাবাগান উপশাখার উদ্বোধন

গ্রাহকদের অত্যাধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের প্রত্যয় নিয়ে পূবালী ব্যাংক পিএলসি ঢাকার কলাবাগানে উপশাখার কার্যক্রম শুরু করেছে।সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) উপশাখাটি উদ্বোধন করেন পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চল প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক আবু লাইছ মো. শামসুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন পান্থপথ শাখা প্রধান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. খোসদার আলী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পূবালী ব্যাংক অতি দ্রুত সময়ে সর্বোত্তম ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য গ্রাহকদের নিকট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাংকের আধুনিক সেবা পৌঁছে দিতে কলাবাগান উপশাখাটি উদ্বোধন করা হয়েছে।’ কলাবাগান উপশাখা এই এলাকার ব্যবসায়-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যবসায়ীগণ ও পূবালী ব্যাংকের ঊর্দ্ধতন নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বকেয়া ঋণ আদায়ে ফের এস আলমের সম্পত্তি নিলামে তুলল জনতা ব্যাংক

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংক বকেয়া ঋণের টাকা আদায়ে জন্য ফের এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে তুলেছে। এবার নিলামে তোলা হচ্ছে এস আলম গ্রুপের কম্পানি এস আলম সুগার রিফাইন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের দুই হাজার ৯৭১ শতাংশ জমি। এস আলম সুগার রিফাইন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের কাছে ব্যাংকটির পাওনা একে হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা।চট্টগ্রামের সাধারণ বিমা করপোরেট শাখায় এই ঋণ রয়েছে। সেই ঋণের দায়ে এই জমি নিলামের তোলার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে জনতা ব্যাংক। এর আগেও জনতা ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায়ে এস আলম গ্রুপের জমি নিলামে তুলেছে। এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য গেল ২০ নভেম্বর এক হাজার ৮৬০ শতাংশ জমি নিলামে তোলা হয়। গ্রুপটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের কাছে এই টাকা অনাদায়ী ছিল। জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রামের সাধারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখা থেকে এই ঋণ নেওয়া হয়। সে শাখাতেই নিলাম ডাকা হয়। সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংক থেকে নেওয়া এস আলম গ্রুপের দশ হাজার কোটি টাকার ঋণের প্রায় পুরোটাই খেলাপি হয়ে গেছে। ফলে, প্রতিটি ঋণের বিপরীতে যে জমি বন্ধক দেওয়া আছে, তা একের পর এক নিলামে তুলছে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকিং আইন অনুসারে, প্রথমে জমি নিলামে তোলা হবে, তা না হলে অন্য প্রক্রিয়ায় এই অর্থ তুলে নেওয়া হবে। জনতা ব্যাংক সূত্রে জানায়, এস আলম গ্রুপ ২০০৪ সাল থেকে জনতা ব্যাংকের গ্রাহক। ব্যাংকটির চট্টগ্রামের সাধারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখার দেওয়া ঋণের ৮০ শতাংশের বেশি নিয়েছে গ্রুপটি। এসব ঋণের বিপরীতে যে জমি ও স্থাপনা বন্ধক দেওয়া আছে, তা বিক্রি করেও টাকা তুলতে পারবে না জনতা ব্যাংক। দশ হাজার ১০০ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ব্যাংকটিতে বন্ধক আছে দুই হাজার ৭৪৯ কোটি টাকার জমি ও স্থাপনা।

ছয় কারণে ডলারের দামে অস্থিরতা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে বা ডলারের দামে সম্প্রতি অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর পেছনে ছয়টি কারণ মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ তথ‌্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ কারণে নানাবিধ ঋণ পরিশোধের ভ্যালু ডেট (পেমেন্ট শিডিউল) এই মাসেই বিধায় বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইএমএফের লক্ষ্যপূরণ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে, যা আন্তঃব্যাংক ও বাজারে ডলারের যোগান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেনি। হুসনে আরা শিখা জানান, বাংলাদেশের রেটিং অবনমনের কারণে বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর করেসপন্ডেন্ট রিলেশনশিপ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে, ইউপাস এলসি খোলা (আমদানিকৃত পণ্যের পাওনা পরিশোধে সময় থাকে ২৭০ দিন) বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। পেমেন্টের ম্যাচুরিটি ডেফার্ড করা সম্ভব হয়নি ও অফশোর ব্যাংকিং ঋণের আন্তঃপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বৈদেশিক দেনা পরিশোধ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার বাজারে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। রেমিট্যান্স আহরণে অ্যাগ্রিগেটরদের একচেটিয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা বাজারে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারকে অস্থিতিশীল করেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ইনফ্লো-আউটফ্লো মিস ম্যাচের কারণেও ডলার বাজারে অস্থিতিশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, বৈদেশিক মুদ্রা বাজার অস্থিরতা রোধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স আহরণের বিনিময় হার প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা (ক্রস কারেন্সি হলে তা ক্রস ক্যালকুলেশন করে প্রতি ডলার ১২৩ টাকা, এর ঊর্ধ্বে হবে না) নির্ধারণ করেছে। এছাড়া, ড্যাশবোর্ড, ডাটা মনিটরিং ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

আসন্ন রমজানে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ও নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি বিভাগের ৩১টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হয়ে এই নির্দেশ দেন তিনি।কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, কৃষি পণ্য সংরক্ষণ, সার সরবরাহ ও শিল্প এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সামনেই রমজান আসছে। রমজানকে কেন্দ্র করে বাজার মূল্যের দিকে আপনারা বিশেষভাবে নজর রাখবেন। শুধু বাজার মূল্য নয়, জিনিসপত্র আনা-নেয়া কীভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়েও কাজ করতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার যে ১৫টি কমিশন গঠন করেছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কমিশন খুব শিগগিরই তাদের রিপোর্ট দেবেন। এসব প্রতিবেদনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে, নাগরিকদের সঙ্গেও আলোচনা হবে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে নির্বাচনের একটি আবহও তৈরি হবে।’ রিপোর্টের প্রতিক্রিয়া কি হবে, সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশও দেন প্রধান উপদেষ্টা। যাতে করে শান্তিপূর্ণভাবে সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা যায়। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এটা আমার জন্য প্রথম সুযোগ ছিল আপনাদের সঙ্গে কথা বলার। অনেক কিছু শিখলাম, অনেক বিষয়ে নিজেকে অবহিত করলাম। এটা আমাদের কাজে সহায়ক হবে।’ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তারা এই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। কনফারেন্সে ১৯ জন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ পুলিশ প্রধান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদের সচিব শেখ আব্দুর রশিদ। শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা বাকি চার বিভাগের ৩৩টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একই ধরনের ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন।

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ৪১২তম পর্ষদ সভা

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৪১২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) পর্ষদের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে সভায় ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় এবং বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।সভায় পর্ষদের পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরী, ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁঞা এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাহী উপস্থিত ছিলেন।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৩৮তম সভা অনুষ্ঠিত

শরিয়াহ্ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৩৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। সভায় অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, এস. এ. এম. হোসাইন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ শামসুল আলম এবং মো. জাহেদুল হক।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান, এফসিএস।

এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন শাখার উদ্বোধন

এনআরবিসি ব্যাংক ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় শুরু করেছে ব্যাংকিং কার্যক্রম। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের ১০৯তম কাঠালিয়া শাখার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান।অনুষ্ঠানে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মো. রাজিব, কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, ব্যাংকের বরিশাল এরিয়া ইনচার্জ সৈয়দ জাহিদুর রহমান, বরিশাল শাখার ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ মো: আব্দুল হালিম, বরগুনা শাখার ব্যবস্থাপক মো: দেলোয়ার হোসেন, কাঠালিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গ্রাহকরা, ব্যবসায়ী, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের সম্মৃদ্ধি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান অতিথি একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক যারা ব্যাংকিং সুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিত, তাদের জন্যই প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করছে। উদ্যোক্তা তৈরিতে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করছে। কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়নে কাজ করছে।উল্লেখ্য, সারাদেশের মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যাচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। ইতোমধ্যে দেশের সহাস্রধিক এলাকায় সেবা দেয়া হচ্ছে। প্রথাগত ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি শরীয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং সেবাও দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এতে সভাপতিত্ব করেন।সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান, মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

পাঁচ মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯১ শতাংশ

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বৈদেশিক ঋণ প্রতিশ্রুতি ও বিতরণ উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যদিও একই সময়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যা দেশের আর্থিক পরিস্থিতিতে আরও চাপ তৈরি করেছে। চলতি অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এমন তথ্য প্রকাশ করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। তথ্যানুযায়ী, আলোচ্য সময়ে ঋণ প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯১ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। গত বছরের তুলনায় একই সময়ে ঋণ বিতরণ কমেছে ২৭ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। তবে এ সময়ে ঋণ পরিশোধ ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি দেশের আর্থিক সম্পদের ওপর চাপ বাড়ানোর প্রতিফলন। চলতি অর্থ বছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধ করেছে ১৭১ দশমিক এক কোটি ডলার। এ সময়ে বৈদেশিক প্রতিশ্রুতি এসেছে ১৫৪ দশমিক ৩ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে উন্নয়ন অংশীদাররা মাত্র ৫২ দশমিক ২৬ কোটি ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৮ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে ঋণ বিতরণও কমেছে, দুই দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার থেকে হয়েছে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাংলাদেশ এক দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার মূলধন এবং সুদ পরিশোধ করেছে। গত বছর যা ছিল এক দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। বিষয়টি উদ্বেগের জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘আগামী উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক অর্থায়ন নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে। ঋণ প্রতিশ্রুতি ও বিতরণ কমে যাওয়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে হতে পারে। এছাড়া, ঋণ পরিশোধের খরচ বৃদ্ধির ফলে সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ খাতে যেমন অবকাঠামো ও সামাজিক কর্মসূচিতে বিনিয়োগ সীমিত করতে হতে পারে।’ ইআরডির কর্মকর্তারা বলছেন, ‘জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে। ফলে বিতরণ কমেছে। বৈদেশিক ঋণের তহবিলে নেওয়া অনেক প্রকল্প স্থগিত হয়ে গেছে। কারণ, বিদেশি পরামর্শক ও কর্মীরা অনুপস্থিত ছিলেন। সরকার বর্তমানে ঋণ প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করছে, যা নতুন ঋণ চুক্তির জন্য সাময়িক স্থগিত হয়েছে।’ পর্যালোচনা শেষ হলে সরকার ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা করছে এবং তার লক্ষ্য পূরণের জন্য চেষ্টা করবে। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) উন্নয়ন অংশীদারেরা বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন করতে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার বৈদেশিক অর্থায়নে নেওয়া প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার দিচ্ছে। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বিদেশি ঋণনির্ভর অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো। সংস্থাগুলোকে বৈদেশিক ঋণ বরাদ্দের জন্য অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইআরডি। চলতি অর্থ বছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে সর্বোচ্চ ঋণ বিতরণকারী অংশীদার এডিবি। সংস্থাটি ৩১৮ মিলিয়ন ডলার ঋণ বিতরণ করেছে। এর পরে রয়েছে জাপান, বিতরণ করেছে ৩০৮ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া, রাশিয়া ২৪৫ মিলিয়ন ডলার, বিশ্ব ব্যাংক ২০৫ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার ও ভারত ৬৩ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার ঋণ বিতরণ করেছে। বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জহিদ হোসেন বলেন, ‘যদি দেশের রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি না পায় এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উন্নত না হয়, তবে ঋণ পরিশোধের বাড়তি চাপ একটি অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি করতে পারে।’ তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ ও বঙ্গবন্ধু টানেলের মত বড় প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।

আরও কমল স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে আরেক দফা স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে এক হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’ নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩২ হাজার ১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১৩ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ৮৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ছয় শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে, গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে, সবশেষ গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে এক হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩৩ হাজার পাঁচ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১৪ হাজার চার টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে।প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার। স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫৮৬ টাকায়।

ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার ও সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএফএম শরীফুল ইসলামসহ ২৯ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নামে বেনামে কোম্পানি খুলে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে পাঁচ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা হয়েছে।ইতোমধ্যে ৪৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ প্রমাণিত হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে বা অন্যদের লাভবান করে প্রতারণা, জাল- জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ঋণের অর্থ অন্য কাজে ব্যবহার করে, ঋণ অর্থ জ্ঞাতসারে অবহেলাপূর্বক সঠিকভাবে মনিটরিং না করে অ্যাকমোডেশন বিল বা কাগুজে বিলের মাধ্যমে ঋণের অর্থ ব্যয় দেখিয়ে, বিআরপিডি সার্কুলার অমান্য করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঋণ প্রস্তাব দ্রুততম সময়ে অনুমোদন করে ন্যাশনাল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার গ্রাহক সাদ মুসা হোমটেক্স অ্যান্ড ক্লথিং লিমিটেডের মালিক মোহাম্মাদ মোহসিন কর্তৃক ৪৫৯ কোটি ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় তাদের ২৯ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৮- ৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭’-এর ৫ (২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২’এর ৪ (২) ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন মোহাম্মদ মোহসিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাদ মুসা হোমটেক্স এন্ড ক্লথিং লিমিটেড, ২৪৫ হাটহাজারী রোড, বিবিরহাট, চট্টগ্রাম কর্ণধার, সাদ মুসা গ্রুপ ও সাবেক পরিচালক, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড; নিজাম আহমেদ, এসইভিপি ও ম্যানেজার ন্যাশনাল ব্যাংক; ইসতিয়াক হাসান, এসভিপি ও ম্যানেজার ন্যাশনাল ব্যাংক; এএসএম হেলাল উদ্দিন, এসএভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার, ন্যাশনাল ব্যাংক; মো. আবু বক্কর রাসেল, প্রিন্সিপাল অফিসার, ন্যাশনাল ব্যাংক; মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী, এসএভিপি ন্যাশনাল ব্যাংক; মো. আখতার হোসেন, এভিপি ও হিসাব ইনচাজ ন্যাশনাল ব্যাংক; মো. আলমগীর হোসেন, এভিপি ও আমদানি ইনচার্জ ন্যাশনাল ব্যাংক; মোহাম্মদ নুরুন্নবী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার; হাছিনা সুলতানা, এসএভিপি, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন-১ ন্যাশনাল ব্যাংক; শেখ ফরিদ আহমেদ, প্রিন্সিপাল অফিসার, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন-১ ন্যাশনাল ব্যাংক; মোহাম্মদ আবু রাশেদ নোয়াব, ভিপি, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন-১ ন্যাশনাল ব্যাংক; অরুণ কুমার হালদার, ইভিপি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক; ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, এসইভিপি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক; এএসএম বুলবুল, ডিএমডি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক; মো. বদিউল আলম, সাবেক এএমডি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক; চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, এএমডি, ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক; এএফএম শরীফুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ন্যাশনাল ব্যাংক; জাকারিয়া তাহের, পরিচালক; মাবরুর হোসেন, পরিচালক; মো: আনোয়ার হোসেন, পরিচালক; খলিলুর রহমান, পরিচালক; মো. নাজমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তা, পরিচালক; মোয়াজোশ হোসেন, পরিচালক; মনোয়ারা শিকদার, পরিচালক; পারভীন হক শিকদার পরিচালক; রিক হক সিকদার (২৮) রণ হক শিকদার, পরিচালক এবং একেএম এনামুল হক শামীম পরিচালক ন্যাশনাল ব্যাংক।

ডিসেম্বরে রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া: ২৮ দিনে এল ২৪২ কোটি ডলার

চলতি মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে এসেছে ২৪২ কোটি পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে আট কোটি ৬৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে এসেছে ২৪২ কোটি পাঁচ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত নভেম্বর ও অক্টোবরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২০৫ কোটি ২৪ লাখ ও ২১৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। অক্টোবর ও নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরের প্রথম চার সপ্তাহে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।’এর আগে ২০২০ সালের জুলাইতে এসেছিল বিগত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। সে মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ডিসেম্বরের প্রথম চার সপ্তাহে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৬৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৯ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, ২২-২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৪১ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। ১৫-২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬২ কোটি ৫৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ৮-১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৭৬ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এছাড়া গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। আর সবশেষ নভেম্বরে এসেছে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

পাওয়ার সল্যুশনের সমৃদ্ধিতে নয়া সম্ভাবনা তৈরি করবে এনার্জিপ্যাক ও পারকিন্স

বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্য সর্বাধুনিক পাওয়ার সল্যুশনের নতুন সম্ভাবনা তৈরি ও জেনুইন স্পেয়ার পার্টস ব্যবহারের সুযোগ বাড়াতে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি ও পারকিন্স ডিজেল ইঞ্জিন ইউজার টিমের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবসায়ের সুযোগ বৃদ্ধি ও সহযোগিতার নানা খাত অনুসন্ধানের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটির তেজগাঁওয়ে অবস্থিত এনার্জি পয়েন্ট বিল্ডিংয়ে সম্প্রতি এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশীদ এবং চিফ বিজনেস অফিসার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাসুম পারভেজ। এতে টেকনিক্যাল স্লাইড উপস্থাপন করেন পারকিন্স কি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার ফর সার্ভিস অ্যান্ড স্পেয়ার্স ইঞ্জিনিয়ার আসিফ আহমেদ। সভা থেকে পাওয়ার জেনারেশন সল্যুশনের উদ্ভাবনী উপায় ও কার্যকরভাবে কার্যক্রম পরিচালনার নানা বিষয় উঠে আসে। এ সময়, দুই পক্ষই জ্বালানি খাতে ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের নতুন দিক উন্মোচনের বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করে। এই আয়োজনের মাধ্যমে গ্রাহকের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন ও দেশজুড়ে সর্বাধুনিক এনার্জি সল্যুশন নিশ্চিত করতে এনার্জিপ্যাকের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির বিষয়টি উঠে আসে। বাংলাদেশে পারকিন্স জেনুইন স্পেয়ার্স অ্যান্ড সার্ভিসের একমাত্র পরিবেশক হিসেবে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন এর গ্রাহকদের জন্য কার্যকর সহযোগিতা এবং প্রিমিয়াম সেবা ও সমাধান নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

ব্যাংকখাতে ব্যর্থতার দায় কমবেশি সবার: ড. আহসান এইচ মুনসুর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেছেন, ব্যাংকখাতে ব্যর্থতার জন্য শুধু একক কোন গোষ্ঠী দায়ী নয়, এক্ষেত্রে সবারই কমবেশি দায় আছে।রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) গোল্ডেন জুবিলি উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, ব্যাংকখাতে অর্জন যেমন আছে, তেমনি ব্যর্থতাও আছে। এই ব্যর্থতার জন্য শুধু একক কোন গোষ্ঠী দায়ী নয়, এক্ষেত্রে সবারই কমবেশি দায় আছে। আমানতকারী এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাত দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে। এ খাত বিকশিত হবে। সেক্ষেত্রে আমানতকারী এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। প্রথম দিকে বলেছিলাম ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কিন্তু সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকখাতের ধস নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। সেখান থেকে ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না। একটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি আগাতে পারবে না। রাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে হলে এই ব্যাংকখাত পুনর্গঠন করতে হবে জানিয়ে গভর্নর আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিল। বৈশ্বিক বাণিজ্যে আমাদের বিশাল ঘাটতি ছিল। রিজার্ভের পতন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না। গত আগস্ট মাসের পর ব্যাংক কোনো ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই।

স্ত্রী-বোনসহ সাঈদ খোকনের বিও হিসাব অবরুদ্ধ

ঢাকা-৬ আসনের সাবেক সাংসদ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, তার স্ত্রী ও ছোট বোনের পরিচালিত বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ রাখতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তদের নামে পরিচালিত ব‌্যাংক হিসাবগুলোতে অস্বাভাকি লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের পরিচালিত বিও হিসাবের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ বা অবরুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিএসইসিকে অনুসন্ধানের স্বার্থে বিও হিসাবের লেনদেন অবরুদ্ধকরণ বা স্থগিতকরণ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে দুদক। যাদের বিও হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন সাঈদ খোকন, তার স্ত্রী ফারহানা সাঈদ ও তার বোন শাহানা হানিফ। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন‌্য উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক আসাদ্দুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল ইসলামের সমন্বয়ে তিন সদস‌্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।’ ‘শাহানা হানিফ ও ফারহানা সাঈদের নামে পরিচালিত ব‌্যাংক হিসাবগুলোতে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে উল্লিখিত ব্যক্তির নামে সিডিবিএলের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানের সাথে সাঈদ খোকন, তার স্ত্রী ফারহানা সাঈদ ও তার বোন শাহানা হানিফের থাকা বিও হিসাবের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ বা অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। এ অবস্থায়, অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে অর্থের স্থানান্তর রোধে উল্লিখিত ব‌্যক্তির নামে সব বিও হিসাবের লেনদেন অবরুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা গ্রহণে আপনাকে (বিএসইসি) বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল।’ এ দিকে, সিডিবিএলকে দেওয়া বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘উপযুক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আদালত/বিএফআইইউ/সুদক/আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক প্রেরিত আদেশের চাহিদা অনুযায়ী সূত্রে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের বিষয়ে প্রযোজ্য ক্ষেত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।’ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই তিনজনের ব্যাংক হিসাব ও বিও হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেন খতিয়ে দেখতে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া যেসব বিও হিসাব স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলোর সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম ও হিসাব খোলার তারিখ থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণীর তথ‌্য চাইতে পারে দুদক। সাঈদ খোকনের বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ারে বিনিয়োগ: গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন সাঈদ খোকন। নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ‌্যে ব্যবসায়ী উল্লেখ করে সাঈদ খোকন হলফনামায় লিখেন, ২০১৫ সালে ডিএসসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাঈদ খোকনের কাছে নগদ ছিল এক কোটি ১০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এবার তার নগদ রয়েছে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা। ওই সময় তার স্ত্রীর হাতে ৩০ লাখ টাকা নগদ থাকলেও এখন রয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া, সাঈদ খোকনের বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে ৬৫ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর আগে গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাঈদ খোকন ও তার মা শাহানা হানিফ, স্ত্রী ফারহানা সাঈদ ও জাবেদ আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

দেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর

দেশে এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপর রিজার্ভ রয়েছে। এর মধ্যে গত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে তিন বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, আগস্ট মাসের পর আর কোন ডলার বিক্রি হয়নি। ফলে রিজার্ভ কমছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলা অডিটোরিয়ামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ৪০০তম শাখা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘প্রথম দিকে বলেছিলাম, দশটি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কিন্তু, সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক খাতের ধস নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। সেখান থেকে ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না। একটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি আগাতে পারবে না। রাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে হলে এই ব্যাংক খাত পুনর্গঠন করতে হবে।’ গভর্নর বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিল। বৈশ্বিক বাণিজ্যে আমাদের বিশাল ঘাটতি ছিল। রিজার্ভের পতন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না। গত আগস্ট মাসের পর ব্যাংক কোন ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই। রেমিট্যান্সের বিরাট প্রবাহ পরিবর্তন হয়েছে। গত পাঁচ মাসে আমাদের তিন বিলিয়ন অতিরিক্ত রেমিট্যান্স এসেছে।’ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, ইনডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।

এরিয়া৭১ ভেঞ্চারের ‘অপর্চুনিটি স্কেলআপ সামিট ২০২৪’ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের প্রথম আমাজন এসপিএন পার্টনার এরিয়া৭১ ভেঞ্চার লিমিটেড গত দশ বছর ধরে আমাজন মার্কটপ্লেসে সফলতার সাথে বিসনেজ করে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার অনুপ্রেরণা দেওয়া। আর তাই বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের জন্য এরিয়া৭১ ভেঞ্চার করেছে ‘অপর্চুনিটি স্কেলআপ সামিট ২০২৪’। যা চট্টগ্রাম সিটির থিয়েটার ইনস্টিটিউটে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে।উদ্যোক্তা, ই-কমার্স পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের একত্রিত করতে এই সামিট গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। ইভেন্টটিতে ছিল বিশিষ্ট বক্তাদের সেশন, নেটওয়ার্কিং সুযোগ ও বিভিন্ন কার্যক্রম; যা অংশগ্রহণকারীদের ব্যবসায় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এরিয়া৭১ ভেঞ্চারসের সিইও মো. আহসান হাবিব, সিওও মো. ইফতেখারুল ইসলাম, প্রোকিউরমেন্ট ও সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী। মো. আহসান হাবিব বলেন, ‘অপর্চুনিটি স্কেলআপ সামিট ২০২৪’ উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি তাদের ব্যবসায়ের পরবর্তী ধাপে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ ‘উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য এটি ছিল অনন্য সুযোগ; যা তাদের ব্যবসায়ের গতি বাড়াবে।’

এনসিসি ব্যাংকের কালীগঞ্জ শাখার উদ্বোধন

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় এনসিসি ব্যাংকের ১২৯তম শাখা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজ শাখাটির কার্যক্রমউদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যাংকের কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, ব্যবসায়ী মো. মইনুল হাসান, সাবেক মেয়র লুতফুররহমান উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মো. নূরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, ‘গ্রাহকদের বর্ধিত চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে আধুনিক ব্যাংকিং ও উন্নততর গ্রাহক সেবা প্রদানের প্রত্যয়ে এনসিসি ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক তথা সামগ্রিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এনসিসি ব্যাংক ব্যবসায়-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ এবং কৃষিখাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য গাজীপুরের কালীগঞ্জে শাখা উদ্বোধন করেছে।’তিনি এলাকার সকলকে বিশেষ করে তাঁত, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, কৃষিজীবী, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের এই শাখা হতে সেবাহ গ্রহণের আহ্বান জানান। খায়রুল আলম চাকলাদার বলেন, ‘এনসিসি ব্যাংক শুধু মুনাফার জন্যই ব্যবসায় করে না বরং বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়-বাণিজ্য ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সেই কারণে সিএসআরের পাশাপাশি রিটেইল এবং এসএমই, ইসলামিক ব্যাংকিং, নারী ব্যাংকিং ও সাসটেইনেবল ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার গ্রাহকদের তাদের চাহিদা মোতাবেক সেবা দিয়ে আসছে।’ এ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ কালীগঞ্জ শাখার মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে তিন আশা প্রকাশ করেন। এম শামসুল আরেফিন বলেন, ‘বিশ্বায়নের এই যুগে আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নততর গ্রাহক সেবা প্রদানে এনসিসি ব্যাংক অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। ভারী শিল্প, গার্মেন্টস, বিদ্যুৎ ও অবকাঠমো নির্মাণ থেকে শুরু করে অর্থনীতির প্রতিটি খাতে এনসিসি ব্যাংকের অবদান রয়েছে।’ এসএমই, কৃষি ও আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যসহ সব শ্রেণীর ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী এ শাখার মাধ্যমে সেবা নিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন (চট্টগ্রাম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সিটির আগ্রাবাদের বেস্ট ওয়েস্টার্ন হোটেলের ঝিনুক হলে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। সম্মেলনে পরিচালনা পর্ষদের পরিচালনা পর্ষদের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার সরকার, স্বতন্ত্র পরিচালক মেলিতা মেহজাবিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আকতার উদ্দিন আহমেদ ও মো আব্দুল মতিন, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এএসএইচ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩৮টি শাখার ব্যবস্থাপক ও অপারেশন্স ম্যানেজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের নয়টি উপশাখার ব্যবস্থাপক অংশ নেন।সম্মেলনে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে ন্যাশনাল ব্যাংক একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে। ব্যাংকটি গার্মেন্টস, কৃষি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখে চলেছে।’ শাখা ব্যবস্থাপকদের প্রতি তিনি খেলাপী ঋণ পুনরুদ্ধার, নতুন আমানত সংযোজন ও গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় ডিপোজিট পণ্য বাজারে আনার ক্ষেত্রে উদ্যম দেখানোর ওপর আবদুল আউয়াল মিন্টু জোর দেন। তার মতে, গ্রাহক আস্থা ও সন্তুষ্টি প্রতিষ্ঠানের টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি।মো. তৌহিদুল আলম খান চট্টগ্রাম অঞ্চলের বড় বড় ঋণ খেলাপীদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের জন্য আইনগত ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানান।

দুর্বল ব্যাংককে সবল করতে গিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

দুর্বল ব্যাংককে সবল করতে গিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিতে ঋণ সহায়তা দিয়েও তাদের তারল্য সংকট মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন ব্যাংকগুলো আরও তারল্য সহায়তা চাচ্ছে। দুর্বল ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য কমে যাচ্ছে। আমানত সংগ্রহ বাড়ানো যাচ্ছে না। চড়া দামে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। এদিকে আছে আইএমএফের চাপ। তারা খেলাপি ঋণ কমাতে, খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা আরও কঠোর করতে চাপ দিচ্ছে। প্রচলিত সংজ্ঞায় খেলাপি ঋণ বেড়ে ২ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। আগামী এপ্রিল থেকে খেলাপি ঋণের আন্তর্জাতিক মানের সংজ্ঞা কার্যকর হবে। তখন জুন প্রান্তিকে গিয়ে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে যাবে। এরমধ্যে গত সরকারের আমলে লুটপাট হওয়া ব্যাংকগুলোতেই খেলাপি ঋণ বেশি বাড়ছে। কারণ, লুটপাট হওয়া টাকা আদায় হচ্ছে না। ওইগুলোর বড় অংশ বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওইসব ঋণ এখন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর খেলাপি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোর প্রায় সব সূচকে অবনতি ঘটেছে। আমানত কমেছে, তারল্য কমেছে আগের চেয়ে বেশি। গত তিন মাসে ব্যাংকগুলোর তারল্য কমেছে ৯৮ শতাংশ। এ অবস্থার জন্য ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অভাব ও অনিয়মকে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিবেদন বলা হয়, দুর্বল ব্যাংকগুলো বর্তমানে যে তারল্য সংকট মোকাবিলা করছে তার অন্যতম কারণ হচ্ছে, ব্যাংকগুলোতে ঘটে যাওয়া কিছু অনিয়ম ও সুশাসনের অভাব। সুতরাং দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। এটি করা হলে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়বে। তখন বিদ্যমান সংকট মোকাবিলা করাও সহজ হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে ব্যাংকগুলোকে মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়েছে। প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত জুনে দুর্বল ব্যাংকগুলোর আমানতের স্থিতি ছিল ৪৪ হাজার ৩১ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে ৮ হাজার ৪২ কোটি টাকা বা প্রায় ২ শতাংশ। বিনিয়োগের স্থিতি বেড়েছে মাত্র দশমিক ৪২ শতাংশ। আগে আরও বেশি হারে বাড়ত। বিনিয়োগ কমায় আমানত ও বিনিয়োগের অনুপাত কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত জুনে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ১০ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬১ কোটি টাকা। তিন মাসে অতিরিক্ত তারল্য কমেছে ১০ হাজার ২২৯ কোটি টাকা বা সাড়ে ৯৮ শতাংশ। তবে রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স ও আমদানি বেড়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো বৈদেশিক বাণিজ্যে ভালো করছে। বাড়তি দামে ডলার কেনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকির আওতায় পড়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি সবল ব্যাংকও রয়েছে। এদিকে আর্থিক দুর্বলতার কারণে শরিয়াহভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংকগুলো প্রচলিত ব্যাংকগুলোর তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে। এসব ব্যাংকের বেশির ভাগই দুর্বল ব্যাংকের আওতায় পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয়টি অতি দুর্বল ব্যাংককে ছাপানো টাকায় সহায়তা দিয়েছে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা। এসব ব্যাংক চড়া সুদে আমানত সংগ্রহ করছে, তারপরেও সংকট মেটাতে পারছে না।এখন ব্যাংকগুলো ঋণ আদায়ে বেশি জোর দিয়েছে। ঋণ আদায় ছাড়া বিদ্যমান সংকট থেকে বের হওয়ার বিকল্প কোনো পথ পাওয়া যাচ্ছে না। ঋণ আদায় করে পরিস্থিতির উন্নয়নও কঠিন। কারণ, ব্যাংকগুলো কিছু ঋণ আদায় করতে পেরেছে, বিশেষ করে যেসব টাকা ও উদ্যোক্তা দেশে রয়েছেন। যেসব টাকা পাচার হয়েছে বা উদ্যোক্তা পালিয়ে গেছেন ওইসব টাকা আদায় কঠিন ও সময় সাপেক্ষ। এ ছাড়া আইন সংশোধন করে খেলাপিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা এবং পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এতদিন দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জিং। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন আইন করতে যাচ্ছে, ব্যাংক ভালোভাবে না চালালে বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধানের আওতায় সূচকের উন্নতি না হলে সেগুলোকে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করে দেবে। এদিকে ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ের ক্ষেত্রেও ভালো অভিজ্ঞতা নেই। কারণ, এর আগের সরকারের সময়ে নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ার ফলে গ্রাহকদের আমানত তুলে নেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়।এতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে। আগামী বছরের শুরু থেকে দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক চালু করতে যাচ্ছে ‘প্রমোট কারেক্ট্র অ্যাকশন প্ল্যান’। ২০০৩ সালের শেষ দিকে এ বিষয়ে নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এর আওতায় যেসব ব্যাংক নির্ধারিত সূচকে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। এর মধ্যে ঋণ বিতরণ বন্ধ করা, আমানত সংগ্রহ কমিয়ে দেওয়া উল্লে­খযোগ্য। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জনসমাগমের মধ্য দিয়ে শেষ হলো পাঁচ দিনের রিহ্যাব ফেয়ার

বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৪।সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া পাঁচ দিন ব্যাপী মেলা শেষ হয় শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর)। এবছর প্রথম গবেষণার জন্য রিহ্যাব ফেয়ারে রিয়েল এস্টেট এর তথ্য সংগ্রহের জন্য রিয়েল এস্টেট রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে একটি বুথ স্থাপন করা হয়। মেলায় অংশ নেয়া প্রায় ১ হাজার ক্রেতা রিসার্চ ফরম পুরণের মাধ্যমে আবাসন খাতের উপর তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। রিয়েল এস্টেট রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন,মেলায় আগত ক্রেতা দর্শনার্থীরা যেভাবে মতামত দিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করে রিয়েল এস্টেট সেক্টরের ভবিষ্যৎ অগ্রগতি নিরাপন করা সহজ হবে।এবারের রিহ্যাব ফেয়ারে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ৪০৩ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ফ্ল্যাট, প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে। এর মধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি এবং বুকিং হয়েছে ২৩০ কোটি টাকা। প্লট-৯৬ কোটি এবং বাণিজ্যিক স্পেস ৭৭ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বুকিং এবং বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় এক হাজার নব্বই কোটি টাকা। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছে ১৭ হাজার ৭২৯জন।রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ মনে করেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে মেলার আয়োজন করা হয় সেটা সফল হয়েছে। এই কয়েক দিনে ঢাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া আবাসন খাতকে উৎসাহিত করেছে। মেলায় বিক্রির চেয়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান আসে ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য। তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় আসা ক্রেতাদের কাছে তাদের পণ্যের মান সম্পর্কে তুলে ধরেছেন। তারা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের নার্সিং করবেন আর ক্রেতারা যে প্রডাক্ট দেখে গেলেন তা যাচাই বাছাই করবেন এবং পরবর্তীতে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবেন। এক সঙ্গে অনেকগুলো ক্রেতা পাওয়া একমাত্র রিহ্যাব ফেয়ারেই সম্ভব।