ঢাকা বাণিজ্য মেলা ২০২৫: ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আকর্ষণে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ


December 2024/Banijjo mela.jpg

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের পর্দা উঠছে বুধবার (১ জানুয়ারি)। স্টল-প্যাভিলিয়নগুলো সারছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকছে এক হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের স্মরণে থাকছে জুলাই চত্বর, ৩৬ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন। অংশগ্রহণ করবে সাতটি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠান। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে থাকবে বিআরটিসির ২০০ বাস।

চলছে শেষ মুহূর্তের হাক ঢাক, ব্যস্ততা। স্টল-প্যাভিলিয়ন তৈরি শেষে কেউ সাজসজ্জায় ব্যস্ত। কেউ ঠুকছেন শেষ পেরেক। কেউ ব্যস্ত জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের চিত্র তোলার নানা আয়োজনে; সব মিলে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞ।
 
২৯তম বাণিজ্য মেলার পর্দা উঠবে বুধবার। উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তাই, এক দিন আগে কড়াকড়ি করা হয়েছে নিরাপত্তা। ই-টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় প্রবেশ পথে রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা।
 
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দীন জানান, বিশ্বের সাতটি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ মেলায় থাকছে ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য দিয়ে হবে জুলাই চত্বর, ছত্রিশ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন।
  
আর শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, চেষ্টা চলছে মেলাকে দীর্ঘমেয়াদে আন্তর্জাতিক মানের তৈরি করার। নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকছে এক হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের স্মরণে থাকছে জুলাই চত্বর, ৩৬ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রথম বারের মত অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় প্রথম বারের মত ই-টিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস।
 
এছাড়া মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর। সঙ্গে দেশের তরুণ সমাজকে রফতানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধকরণে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।
 
মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর বা পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এ বছর। বিদেশি উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে থাকছে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্নার, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় থাকছে শিশু পার্কও।

প্রসঙ্গত, মেলা মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×