মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দলকে ‘হাস্যকর’ বললেন ট্রাম্প


February 4 2025/Trump-musk-dw-news.jpg

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সাবেক ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের তীব্র সমালোচনা করেছেন। মাস্ক এক নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছেন, আর সেটিকে ‘হাস্যকর’ বলেছেন ট্রাম্প। রবিবার (৬ জুলাই) এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘তৃতীয় একটি দল গঠন করা হাস্যকর। যুক্তরাষ্ট্রে সবসময়ই দুই-দলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছিল। তৃতীয় একটি দল কেবল আরও বিভ্রান্তি তৈরি করবে।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আভাস দেওয়ার পর, গত সপ্তাহে মাস্ক এক্সে ঘোষণা দেন, তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি নতুন দল গঠন করছেন। দলটিকে তিনি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—এই দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের আধিপত্যের বিরুদ্ধে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থাপন করেন। এই দুই ‘ইউনিপার্টি’র বিরুদ্ধে লড়বে তার দল।

এক সময় ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। টেসলার সিইও মাস্ক তখন ‘সরকারি দক্ষতা দফতরের’ নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। দফতরটির কাজ ছিল সরকারি ব্যয় কমানো।

তবে মে মাসে মাস্ক প্রশাসন ত্যাগ করলে এবং ট্রাম্পের কর ও ব্যয় পরিকল্পনার প্রকাশ্য সমালোচনা করলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

রবিবার মাস্ক জানান, তাদের দল হয়তো ভবিষ্যতে একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সমর্থন করবে, তবে ‘পরবর্তী ১২ মাসে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হাউজ ও সিনেট’।

একই দিনে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘ইলন মাস্ককে নিয়ন্ত্রণ হারাতে দেখে আমি দুঃখিত। সে যেন গত পাঁচ সপ্তাহে একেবারে লাইনচ্যুত হয়ে গেছে—একটা ট্রেন দুর্ঘটনার মতো।’

এই পোস্টে ট্রাম্প মাস্কের ‘ইলেকট্রিক ভেহিকল ম্যান্ডেট’ চাপিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবেরও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ওই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে সবাইকে খুব দ্রুত ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে বাধ্য করা হতো।

৪ জুলাই স্বাক্ষরিত ট্রাম্পের কর ও ব্যয় পরিকল্পনায় ইলেকট্রিক গাড়ির ওপর কর ছাড় বাতিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শুরু থেকেই তিনি মাস্কের ইলেকট্রিক ভেহিকল ম্যান্ডেটের বিরোধিতা করেছেন এবং কেন এই ধরনের গাড়ি সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা আইন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তার ব্যাখ্যাও দেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এখন মানুষ চাইলে যেকোনো ধরনের গাড়ি কিনতে পারে—পেট্রল চালিত, হাইব্রিড (যেগুলোর চাহিদা ভালো), বা নতুন প্রযুক্তির গাড়ি—আর কোনও ইভি ম্যান্ডেট নেই।’

নতুন আইনে সীমান্ত নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি উৎপাদনের জন্য ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। তবে তা স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির বাজেট কাটছাঁট করে পূরণ করা হয়েছে—যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×