বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দিয়ে নতুন নোট আসছে ঈদের পর

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখনও আগের ছাপানো প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট রয়েছে। এসব নোট পর্যায়ক্রমে বাজারে ছাড়া হবে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৯ মার্চ ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নোটগুলোতে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকবে। এ ছাড়া এসব নোটে সই থাকছে পদত্যাগ করা গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের। তবে ঈদের পর এপ্রিল-মে মাসে ছাপানো নতুন নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকবে না। এরই মধ্যে নতুন নোটের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ঈদুল আজহার সময় বাজারে যে নোট ছাড়া হবে, ওই নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকবে না। সেখানে বর্তমান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সই থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান গভর্নরের সইয়ে এপ্রিলের শেষভাগে বা মে মাসের প্রথমার্ধে আমরা নতুন নোট ছাড়বো বলে আশা করছি। তবে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৯ মার্চ থেকে বাজারে আসবে ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট। এই নোটগুলো আগেই ছাপানো হওয়ায় এগুলোতে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সই ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকবে। মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ মুহূর্তে বিপুল পরিমাণ আগের ছাপানো নোট রয়েছে। এ নোটগুলো বাতিল করলে বিপুল অঙ্কের অর্থের অপচয় হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই অপচয় করতে চাচ্ছে না। এজন্য আগে ছাপানো নোটগুলোই ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে ছাড়বে। এরপর আগামী এপ্রিল-মে নাগাদ নতুন ছাপা নোট বাজারে আসবে। জানা গেছে, ব্যাংকের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিযুক্ত প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট রয়েছে। এর মধ্যে ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে। এদিকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়া যে নোট তৈরি হবে, সেই নোটের ডিজাইন ঠিক করে কালি ও কাগজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দিয়ে দ্রুততম সময়ে নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বর্তমান সরকার। সূত্র জানায়, একটি নোটের ডিজাইন ঠিক করার পর প্রিন্টিংয়ের জন্য প্লেট তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ, কালি আমদানি করা হয়। এ ক্ষেত্রে কাগজে জলছাপের ছবি কী হবে, তা ঠিক করে দিতে হয়। সেই অনুযায়ী কাগজ প্রস্তুত করে পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে দেওয়া হয়। বর্তমানে ইউরোপের কয়েকটি দেশ এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশির ভাগ কাগজ আসে। কাগজ, কালি পাওয়ার পর পুরো প্লেট ধরে নোট ছাপা হয়। বিশেষ প্রক্রিয়ায় তা শুকানো হয়। এরপর কাটিং করে প্রতিটি নোট পরীক্ষা করে বাজারে ছাড়া হয়। এভাবে একটি নোট ছাপানো শুরুর দিন থেকে বাজারে আসতে অন্তত ২৭-২৮ দিন লাগে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী এপ্রিলের শেষ দিকে অথবা মে মাসের প্রথম দিকে নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে ছাড়া হবে। গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় নতুন ডিজাইনের নতুন নোট প্রকাশের সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়েছিল। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ডিজাইন পরিবর্তন করা হবে। জানা গেছে, নতুন করে যুক্ত হবে ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্যসহ ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে চারটি নোটের ডিজাইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। পরে ধাপে ধাপে দেশের সব ধরনের ব্যাংক নোটের ডিজাইন নতুন করা হবে। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ নতুন নোটের বিস্তারিত নকশার প্রস্তাব জমা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়। তবে নতুন নোট ছাপানোর বিষয়ে মূল সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা ও নকশা উপদেষ্টা কমিটি। কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর-১। কমিটিতে চিত্রশিল্পীরাও রয়েছেন। বাংলাদেশের মুদ্রা ছাপানোর কাজটি করে দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড, যা টাকশাল নামে পরিচিত। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা পেলেও ১৯৮৮ সালের জুন মাসে এক টাকা ছাপানোর মধ্য দিয়ে এই প্রেসে নোট ছাপানো শুরু হয়। ওই বছরের নভেম্বর মাসে ১০ টাকার নোটও ছাপানো হয় সেখানে। প্রতিটি নোট ছাপানোর আগে তার নকশা অনুমোদন করে সরকার। সেজন্য দরপত্র ডেকে চিত্রশিল্পীদের দিয়ে নোটের নকশা করানো হয়। নকশা চূড়ান্ত হলে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে কাগজ, কালি ও প্লেট তৈরি করা হয়। নকশা অনুযায়ী বিদেশ থেকে প্লেট তৈরি করে আনার পর ছাপার কাজটি করে টাকশাল। বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময় টাকা ছাপায় না। সাধারণত একটি নোট ৪-৫ বছর চলে। এরপর তা পুনর্মুদ্রণ করা হয়। ছোট মানের নোট বেশি হাতবদল হওয়ায় তা দ্রুত নষ্ট বা ব্যবহার অনুপযোগী হয়। বছরের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা মুদ্রণ বা উৎপাদন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রেখে দেওয়া হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী সেখান থেকে যখন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বাজারে ছাড়া হয়, তখনই তা মুদ্রা বা টাকায় পরিণত হয়। তার আগে সেটি টাকা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি সার্কুলেশন প্রতিবেদনে যোগ করা হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে নতুন নোট ছাপাতে। তার আগের অর্থবছরে খরচ ছিল ৩৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।

ব্যাংক লুটসহ দুর্নীতির ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন দুই কর কমিশনার

দেশের শীর্ষ অলিগার্কদের ব্যাংক লুট, কর ফাঁকি আর অর্থপাচারের গা শিউরে ওঠা সব বর্ণনা দিলেন দুই আয়কর কমিশনার। চট্টগ্রামভিত্তিক ‘ব্যাংকখেকো’ শিল্পগ্রুপ এস আলমের ব্যাংক লুট বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্ক্যাম বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। এসব অপরাধে ব্যাংক কর্তারা কীভাবে সহায়তা করেছে এবং এখনো যেসব সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে তার বিবরণও তুলে ধরেন কর কর্মকর্তারা। বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়কর গোয়েন্দাদের কর্মশালায় এসব কথা উঠে আসে। রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতায় এলে অলিগার্করা আঁতাত করবে বলেও আশঙ্কা জানান তারা। এস আলম একাই দখল করেন অর্ধডজনের বেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তারপর এসব প্রতিষ্ঠ থেকে নামে বেনামে লুট করেন জনগণের লাখ কোটি টাকা। চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ এস আলমের কর ফাঁকি ও অর্থপাচারের তদন্ত করছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইসি। এ পর্যন্ত দুই লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। এই বৈঠকে এমন তথ্য তুলে ধরেন সিআইসি মহাপরিচালক। শত কোটি টাকা খরচ করে এস আলম সিঙ্গাপুরে দুই ছেলের নাগরিকত্ব কেনেন বলে জানান তিনি। শীর্ষ এক ধনীর স্ত্রীর এক লকারেই ১৫ কোটি টাকার হিরা পাওয়ার কথা জানান তিনি। চলতি সপ্তাহেও একজন ব্যাংক চেয়ারম্যানের একশ ২১ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। অলিগার্কদের লুটপাটের বিবরণ তুলে ধরেন বৃহৎ করদাতা ইউনিট এলটিইউ কমিশনারও। কর্মকর্তারা জানান, অনেক ব্যাংকই তথ্য দিয়ে কর ফাঁকির তদন্তে সহায়তা করছে না। অনেকে তথ্য গোপন করছে। আবার অনেকে ভুল তথ্য দিচ্ছে। যা আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধ। সাত ব্যাংকের এমডিকে শোকজ করা হয়েছে। অর্থপাচার ও কর ফাঁকি ঠেকাতে না পারলে দেশ দীর্ঘ মেয়াদে বড় ক্ষতিতে পড়বে বলে মন্তব্য করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে অলিগার্করা মুক্তির উপায় খুঁজবে। তার আগেই তাদের ফাঁকি দেয়া কর আদায়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চান কর কর্মকর্তারা।

আমোদ-ফূর্তির জন্য সিলেটে বোর্ডসভা ডেকেছিলেন হোমল্যান্ডের চেয়ারম্যান

কোম্পানির আর্থিক অবস্থা এতটা নাজুক যে গ্রাহকের পাওনা টাকা পর্যন্ত দিতে পারছেন না অথচ আমোদ-ফূর্তির জন্য সিলেটে বোর্ড সভা ডেকেছিলেন হোমল্যান্ড লাইফের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমোদ ফুর্তির কথা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন নিজের মুখেই স্বীকার করেন। গত সপ্তাহে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহীসহ ২ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের স্থলে অর্থ আত্মাসাৎ মামলার আসামিকে নিয়োগ দেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান। বোর্ডসভার অনুমোদন ছাড়াই ২ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি এবং নতুন করে একজনকে নিয়োগ দেয়ায় সপ্তাহখানিক ধরেই চলছে অস্থিরতা। খবর নিয়ে জানা যায়, সর্বশেষ ১৪৯তম বোর্ড মিটিংয়ে আবদুল মতিনকে ভারপ্রাপ্ত এমডি এবং লুতফুন নাহার আলোকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মার্কেটিং) হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর আর কোন বোর্ড মিটিং ছাড়া কিভাবে তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, এই বিষয়ে কোন যৌক্তিক উত্তর দিতে পারেননি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত এমডি আবদুল মতিন ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মার্কেটিং) লুতফুন নাহার আলোকে অব্যাহতি ঘোষণা করার পরেও তারা কর্মস্থল ত্যাগ করেননি বলে জানান।অপরদিকে একইদিন জাকির হোসেন সরকারকে কোম্পানিটির ডিএমডি ও হেড অব মার্কেটিং পদে নিয়োগ দেয়া হয়। জাকির হোসেন কোম্পানিটির প্রায় এক কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের ২টি মামলার আসামি। এছাড়া কোম্পানির ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায়ও তিনি অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগে মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বীমা কোম্পানিটির ২ কর্মকর্তা।এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি হোমল্যান্ড লাইফের ১৫১তম বোর্ড সভা কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের পরিবর্তে সিলেটের হোটেল ব্রিটানিয়ায় আহবান করে পরিচালকদের নোটিশ প্রদান করা হয়। অথচ এর আগে ১৫১তম সভাটি প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে ২৯ জানুয়ারি বেলা ১২টায় আহবান করা হয়।সিলেটের ওই বোর্ডসভা আহবানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন কোম্পানিটির পরিচালক মোহাম্মদ জুলহাস। মামলার শুনানি শেষে ৪ সপ্তাহের জন্য আহূত সকল সভা স্থগিত করে রুল জারি করেন আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) এই আদেশ দেন। গ্রাহকের ১০৪ কোটি টাকা আত্মাসাৎ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জামাল উদ্দিন বলেন, ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের যে কেউ কারও বিরুদ্ধে করতে পারে বলে প্রশ্নটি এরিয়ে জান। কোম্পানীর হেড অফিস ঢাকা থাকা সত্বেও সিলেটে কেন বোর্ডসভা আয়োজন করা হয় প্রশ্ন করলে - প্রশ্নের জবাবে জামাল উদ্দিন বলেন, ২০০১, ২০০২ ও ২০০৩ সালসহ আগের অনেক বোর্ড মিটিং সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার একটু সমস্যা হয়েছে। আমার সাথে যে ৬/৭ জন পরিচালক লন্ডন থেকে এসেছেন তাদের মধ্যে ২/৩জন খুবই বয়স্ক; তারা বেশ অসুস্থও। আমি চিন্তা করলাম যে, সিলেট একটি ভালো যায়গা; ওরা একটু ভিজিটিং করল, হলিডে করল। জামাল উদ্দিন আরো বলেন, আমি চাইছিলাম যে, তাদেরকে একটু সমস্ত সিলেট দেখাব। আর আমরা একটু ফূর্তি-আমোদ করব। আমার কলিগরা লন্ডন থেকে আসছে ওরা সেখানে থাকুক। আর এখানকার যে ২/৩ জন কলিগ আছে ওরাও সেখানে যাবে। আমার কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। ওরা যদি আমাকে ফোন করে বলত যে, কেন আপনি (সিলেটে বোর্ডসভা আহবান) করলেন! তখন আমি জবাব দিতাম যে, ভাই ছেড়ে দেন। যেহেতু আপনি আসতে পারছেন না; ঠিক আছে আমি-ই চলে আসতেছি। অর্থ-আত্মসাতের দায়ে মামলার আসামিকে ডিএমডি পদে নিয়োগ দেয়া সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জামাল উদ্দিন বলেন, মামলা আছে এ কথা আমি জানি না। তবে তাকে নিয়োগ দেয়ার সময় ৪ জন পরিচালক ছিলেন যাদের মতামত নিয়েই তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্যে হোমল্যান্ড লাইফের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী এবং একজন ডিএমডিকে আমি বরখাস্ত করেছি। তবে ওরা এখনো অফিসে আছে। কেন ওরা অফিসে আছে, তা জানি না। জামাল উদ্দিন বলেন, আমি থাকি বিদেশে। যা বলি তা হচ্ছে না। আমার নির্দেশ মান্য হচ্ছে না। তাই আমি তাদের টার্মিনেট করেছি। কিন্তু তারা এখনো অফিসে আছে। সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চে বসা অবস্থায় বহিষ্কৃত সাহাদাত হোসেনের কাছে তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি মঞ্চ ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। আরেক বহিষ্কৃত ডিজিএম (চট্রগ্রাম সার্কেল) আমিম উল্ল্যাহকে কোম্পানি থেকে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৪ সালের ১০ মার্চ বহিষ্কার করা হয়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাবেক ডিএমডি জাকির হোসেনকে ২০১০ সালে দুর্নীতির দায়ে কোম্পানি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে গ্রাহকের প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সাবেক ডিএমডি সাহাদাত হোসেন কোম্পানিতে মাত্র তিন মাস কর্মরত থাকা অবস্থায় অযোগ্য বিবেচিত হয়ে বহিষ্কার হয়। বহিষ্কৃত সাহাদাত হোসেন কোম্পানির এমডি হওয়ার স্বপ্নে এই ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছেন। জামাল উদ্দিন চেয়ারম্যান পদে থাকা নিয়েও আছে প্রশ্ন, কোম্পানিতে কোন শেয়ার না থাকার পরেও ১৭ বছর ধরে শেয়ার সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে অবৈধভাবে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুইরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে এবং প্রেস রিলিজে সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক জুলহাস ও মোহাম্মদ সালেহ হোসেনের নাম থাকলেও অজানা কারণে পরবর্তীতে ব্যানার এবং প্রেস রিলিজ পরিবর্তন করে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তাদের নিজেদের মধ্যে বাকবিতন্ডাও ছিল দৃষ্টিকটু। সাড়ে দশ টায় সংবাদ সম্মেলন শুরু করার কথা থাকলে তা শুরু হয় বেলা বারোটার পরে। সংবাদ সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক কামাল মিয়া বহিষ্কৃত সাবেক ডিএমডি জাকির হোসেন সরকার, বহিষ্কৃত সাবেক ডিএমডি সাহাদাত হোসেন, চট্রগ্রামের বহিষ্কৃত সাবেক ডিজিএম আমিম উল্ল্যাহ।

ইসলামী ব্যাংক রংপুর জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংক রংপুর জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর রংপুর জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রংপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ আবদুল জলিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. এম. কামাল উদ্দীন জসীম এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এএসএম রেজাউল করিম। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেভেলপমেন্ট উইংপ্রধান এ কে এম মাহবুব মোরশেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ ও রংপুর জোনপ্রধান একেএম শাফিয়ার রহমান। সম্মেলনে রংপুর জোনের অধীন শাখাপ্রধান ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের স্বত্বাধিকারীগণ অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল জলিল বলেন, ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং-এর মালিকরা শুধু আর্থিক লাভ নয়, পরকালীন মুক্তির জন্যও কাজ করছে। ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে রেভ্যুলেশন তৈরি করেছে। এ ব্যাংক তৃণমূল জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সেবা প্রদানে অনবদ্য অবদান রেখে চলেছে। ব্যাংকের উন্নয়নের বাধা অপসারিত হয়েছে এবং আগামী দিনে ব্যাংক আরো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। ব্যাংকের অন্তর্ভুক্তিমুলক কার্যক্রম আরো প্রসারিত হবে। তিনি ইসলামী ব্যাংকের কল্যাণমুখী সেবাসমূহ গ্রাহকদের মাঝে বিস্তৃত করার জন্য এজেন্ট মালিকদের প্রতি আহবান জানান। সম্মেলনে তথ্য প্রকাশ করা হয়, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক দেশের ৪৭৩টি উপজেলায় ২৭৮৩টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকসংখ্যা ৫০ লাখের বেশি। দেশের মোট এজেন্ট ব্যাংকিং আমানতের ৩৯% এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সের ৫৬% এককভাবে ধারণ করছে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং। শুধু ২০২৪ সালে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ২২৭৭ কোটি টাকা নতুন ডিপোজিট এবং ১৭ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স সংগৃহীত হয়েছে।

ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদে নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক অন্তর্ভূক্তি

জেড এন কনসালট্যান্টসের প্রধান পরামর্শক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা জাকেরিন বখত নাসির স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির ১০৮৬তম পর্ষদ সভায় যোগদান করেন৷ তার আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ডিএসই’র স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে তাঁর নিয়োগ অনুমোদন দেন৷ সৈয়দা জাকেরিন বখত নাসির ৩২ বছরেরও অধিক সময় মানবসম্পদ বিষয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তিনি দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থা আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক লিমিটেড এবং সিমেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রয়েছে মানবসম্পদ কার্যাবলীর সকল দিক, বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক ও প্রক্রিয়াগত উন্নয়নে বিশেষ দক্ষতা। কৌশলগত চিন্তাভাবনা, পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা, আইনি সম্মতি, নেতৃত্ব উন্নয়ন, প্রক্রিয়া উন্নয়ন, মানবসম্পদ দক্ষতা, প্রতিভা ব্যবস্থাপনা এবং সাংগঠনিক উন্নয়নে তার দক্ষতা রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্টের (বিএইচআরএম) এর প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি। তিনি বর্তমানে জেড এন কনসালটেন্টেসের প্রধান পরামর্শক ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিষ্ঠানটি সাংগঠনিক রূপান্তর, প্রতিভা ব্যবস্থাপনা এবং ক্ষতিপূরণ ও সুবিধা ডিজাইনসহ বিভিন্ন মানবসম্পদ সমাধান প্রদান করে। এর পূর্বে তিনি স্বাধীন এইচআর কনসালটেন্ট হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এইচআর সহায়তা ও সাংগঠনিক উন্নয়ন, প্রতিভা অর্জন ও ধরে রাখা এবং ক্ষতিপূরণ কৌশলগুলোতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স এবং ব্যাংকিংয়ে বি.কম (অনার্স) এবং ফিন্যান্সে এম.কম ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও ফাইন্যান্স অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সদস্য। তিনি ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানে সিমেন্সের একটি সিস্টার কনসার্নে মানবসম্পদ বিভাগে কার্যকরী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এ ছাড়াও তিনি জার্মানির সিমেন্সের প্রধান কার্যালয়ের এইচআর বিভাগের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত, মালয়েশিয়া এবং হংকং-এ অনুষ্ঠিত একাধিক কর্মশালার অংশগ্রহণ করেন। আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন পরিচালককে অভিনন্দন জানিয়ে ডিএসই’র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ৩২ বছরেরও অধিক সময় ধরে প্রাতিষ্ঠানিক মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব সৈয়দা জাকেরিন বখত নাসির পরিচালক হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে পূর্ণতা পেল ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ৷ ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সেক্টর থেকে আসা বহুমূখী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের অভিজ্ঞতা সমন্বয়ের মাধ্যমে এই পরিচালনা পর্ষদ সকলকে সাথে নিয়ে পুঁজিবাজার তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবে৷ উল্লেখ্য যে, স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেন৷ ড. নাহিদ হোসেন পদত্যাগের ফলে শূন্য হওয়া একটি পরিচালক পদে সৈয়দা জাকেরিন বখত নাসিরকে নিয়োগ প্রদান করা হয়৷

হোমল্যান্ডে'র সাবেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নিয়ে চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুইরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বহিষ্কৃত সাবেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে দশটায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তাদের অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে বারোটায় শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত এমডি আবদুল মতিন ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মার্কেটিং) লুতফুন নাহার আলোকে অব্যাহতি ঘোষণা করার পরেও তারা কর্মস্থল ত্যাগ করেননি বলে জানান। খবর নিয়ে জানা যায়, সর্বশেষ ১৪৯তম বোর্ড মিটিংয়ে আবদুল মতিনকে ভারপ্রাপ্ত এমডি এবং লুতফুন নাহার আলোকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মার্কেটিং) হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর আর কোন বোর্ড মিটিং ছাড়া কিভাবে তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, এই বিষয়ে কোন যৌক্তিক উত্তর দিতে পারেননি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে এবং প্রেস রিলিজে সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক জুলহাস ও মোহাম্মদ সালেহ হোসেনের নাম থাকলেও অজানা কারণে পরবর্তীতে ব্যানার এবং প্রেস রিলিজ পরিবর্তন করে শুধু মাত্র এমডি আবদুল মতিন ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মার্কেটিং) লুতফুন নাহার আলোর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক কামাল মিয়া বহিষ্কৃত সাবেক ডিএমডি জাকির হোসেন সরকার, বহিষ্কৃত সাবেক ডিএমডি সাহাদাত হোসেন, চট্রগ্রামের বহিষ্কৃত সাবেক ডিজিএম আমিম উল্ল্যাহ। সাবেক ডিএমডি জাকির হোসেনকে ২০১০ সালে দুর্নীতির দায়ে কোম্পানি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে গ্রাহকের প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সাবেক ডিএমডি সাহাদাত হোসেন কোম্পানিতে মাত্র তিন মাস কর্মরত থাকা অবস্থায় অযোগ্য বিবেচিত হয়ে বহিষ্কার হয়। বহিষ্কৃত সাহাদাত হোসেন কোম্পানির এমডি হওয়ার স্বপ্নে এই ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চে বসা অবস্থায় বহিষ্কৃত সাহাদাত হোসেনের কাছে তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি মঞ্চ ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। আরেক বহিষ্কৃত ডিজিএম (চট্রগ্রাম সার্কেল) আমিম উল্ল্যাহকে কোম্পানি থেকে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৪ সালের ১০ মার্চ বহিষ্কার করা হয়। চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন সম্পর্কে অনুসন্ধান করে জানা যায়, কোম্পানিতে কোন শেয়ার না থাকার পরেও ১৭ বছর ধরে শেয়ার সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে অবৈধভাবে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুইরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে বহাল তবিয়তে আছেন। এ ছাড়া গ্রাহকের ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার অন্যতম আসামী বর্তমান চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন। এই মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।এই বিষয়ে জামাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, অভিযোগ যে কারো বিরুদ্ধে করা যায় বলে তিনি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। ঢাকাওয়াচের অনুসন্ধানে উঠে আসে, সর্বশেষ বোর্ড মিটিং সিলেটে ৪ ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও হাই কোর্টের নির্দেশে সেটি স্থগিত হয়। কোন বোর্ড মিটিং ছাড়া বহিষ্কৃত কর্মকর্তাদের নিয়ে কোম্পানির প্যাড এবং সিল জালিয়াতি করে হোমল্যান্ডের বহিষ্কৃত সচিব শাহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় কোম্পানির বিরুদ্ধে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে চলেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন। অথচ তিনি গ্রাহকের স্বার্থ চিন্তা না করে বোর্ডের বাকি পরিচালকদের সাথে সমন্বয় না করে কোম্পানির মানহানি এবং সম্মান ক্ষুণ্ণ করার কাজে লিপ্ত আছেন।

টোকিওতে ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য জাপানের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাপানের টোকিওতে একটি হোটেলে ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান তিনি। বাণিজ্য উপদেষ্টা এসময় বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বন্ধু ও একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সেমিনারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ চৌধুরী বিন হারুন বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনার উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। সেমিনারে “সংস্কার পরবর্তী বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা” শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান রচি ও জেট্রোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইউজি আন্ডো । জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী, জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট Sachiko Imoto, জেটরোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট Kazuya Nakajo সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিষ্টার, বিডা হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর প্রতিনিধি এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর টোকিও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো) যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে জাপানের শতাধিক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন । বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে জাপানের ইকনমি, ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রি প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক আজ দুপুরে জাপানের টোকিওতে ইকনমি,ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী Ogushi Masaki এর সাথে বৈঠকে অংশ নেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি এবং পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগ (পিপিইডি) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশে অধিক সংখ্যক জাপানি কোম্পানি যাতে বিনিয়োগ করে সে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সে দেশের ইকোনমি, ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রি প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অনুকূল বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিনিয়োগকারীদের দ্রুত সেবা দিতে বাংলাদেশে সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) চালু করা হয়েছ। তিনি জাপানের বিনিয়োগকারীদের এ সেবা গ্রহণের অনুরোধ জানান। জাপানের ইকোনমি, ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রি প্রতিমন্ত্রী বাণিজ্য উপদেষ্টাকে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।এসময় উভয়েই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য শক্তিশালী করতে একসাথে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। বৈঠকে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী, জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট Sachiko Imoto, জেটরোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট Kazuya Nakajo, বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার, দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান, বিডা হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর প্রতিনিধি এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর টোকিও উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকে ফিরেছে মানুষের হাতে থাকা ১৪ হাজার কোটি টাকা

ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে বাইরে থাকা টাকা, ফলে বাড়তে শুরু করেছে আমানতের পরিমাণও। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর- এই ৬ মাসে ব্যাংকে সাড়ে ৩৪ হাজার কোটি টাকা আমানত বেড়েছে। দেশের আর্থিক সূচকসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ব্যাংক খাতে গত জুন শেষে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে তা প্রায় ২ শতাংশ বা ৩৪ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা বেড়েছে। ডিসেম্বর শেষে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৫ কোটি টাকার আমানতের বিপরীতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৭ লাখ ২ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, আমানতের প্রায় ৯৬ শতাংশই ঋণ হিসেবে বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। অন্যদিকে, ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণও কমেছে। গত বছরের জুন শেষে এই পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা, যা ডিসেম্বর শেষে কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকায়। এতে বোঝা যায়, প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা পুনরায় ব্যাংকিং খাতে ফিরে এসেছে। বিশ্লেষকদের মতে, গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে মানুষের টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেশ কিছু ব্যাংকের প্রকৃত অবস্থার চিত্রও প্রকাশ পায়। তাতে অনেক গ্রাহক আতঙ্কিত হয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেন। ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। পাশাপাশি ব্যাংকে আমানতের সুদ হারও বেড়েছে। এ কারণে গ্রাহকেরা আবার তাদের হাতে থাকা টাকা ব্যাংকে ফিরিয়ে আনছেন। এতে ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ বাড়ছে এবং অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসছে।

সোনার দাম এখন ইতিহাসে সর্বোচ্চ

চলতি মাসে দেশের বাজারে সোনার দাম চতুর্থ দফা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবারে স্বর্ণের ভরির দাম দেড় লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এবারে এক হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকা নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ২৩ হাজার ৭৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ এক হাজার ৯৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। কাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’ এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি, ৫ ফেব্রুয়ারি ও ১০ ফেব্রুয়ারি স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিল। এছাড়া জানুয়ারি মাসেও তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সে হিসেবে চলতি বছর সাত বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের বগুড়া জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বগুড়া জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রয়ারি) বগুড়ার শেরপুরস্থ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এম মাসুদ রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কেএম মুনিরুল আলম আল-মামুন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেভেলপমেন্ট উইংপ্রধান একেএম মাহবুব মোরশেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বগুড়া জোনপ্রধান শহীদুল্লাহ মজুমদার এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ। সম্মেলনে বগুড়া জোনের অধীন শাখাপ্রধান ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের স্বত্বাধিকারীগণ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে এম মাসুদ রহমান বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সেবাপ্রদানে অনবদ্য অবদান রেখে চলেছে। ব্যাংকের উন্নয়নের বাধা অপসারিত হয়েছে এবং আগামী দিনে ব্যাংক আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। ব্যাংকের অন্তর্ভুক্তিমুলক কার্যক্রম আরো প্রসারিত হবে।’ তিনি যথাযথ নিয়মাচার পরিপালন ও জ্ঞানসমৃদ্ধভাবে সেবা প্রদান করার জন্য এজেন্ট মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক দেশের গণমানুষের ব্যাংক। প্রান্তিক মানুষের আর্থিক অন্তভুক্তি ও উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মূল ব্যাংকিংয়ের মতো ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংও বিভিন্ন ব্যবসায়িক সূচকে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ কার্যক্রম আরো বহুমুখী করা হবে।’ সম্মেলনে তথ্য প্রকাশ করা হয়, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক দেশের ৪৭৩টি উপজেলায় ২৭৮৩টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকসংখ্যা ৫০ লাখের বেশি। দেশের মোট এজেন্ট ব্যাংকিং আমানতের ৩৯ শতাংশ ও বৈদেশিক রেমিট্যান্সের ৫৬ শতাংশ এককভাবে ধারণ করছে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং। শুধু ২০২৪ সালে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ২ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা নতুন ডিপোজিট ও ১৭ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স সংগৃহীত হয়েছে।

জাপানের বৃহৎ বাণিজ্য গ্রুপের সাথে বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠক

জাপানের শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে টোকিওতে জাপানের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য গ্রুপ NEXI (NIPPON), Mitsui, Marubeni, HSBC,Mitsubishi Heavy Industry ও JT প্রতিনিধিদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আহবান জানান তিনি। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।জাপান বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানি গন্তব্যের একটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৫০টির বেশি জাপানি কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জাপান থেকে আমরা আরো বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি।' জাপানকে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত। তারা আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রধান উন্নয়ন সহযোগী।' এ সময় উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে অধিক সংখ্যক পণ্যের পাশাপাশি জনশক্তি আমদানির জন্য প্রতিনিধিদলকে আহবান জানান। জাপানের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ এসময় বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা অব্যাহত রাখা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আশ্বাস দেন। বৈঠকে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী, জেটরো প্রতিনিধি Iuji Ando এবং জাইকা প্রতিনিধি Yasuyuki Murahashi, জাপানে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোরারজী দেশাই বর্মন এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ ( এনবিআর ) এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। পরে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন Watami Group-এর প্রধান Miki Watanabe-এর সাথে বৈঠক করেন।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি আরও পিছিয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় আরও পিছিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব এক সঙ্গে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপনে করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, আমরা বলেছি যে, আমাদের কিছু কাজ আছে। আমরা অত তাড়া করছি না। আমি একটা জিনিস বলি, আপনারা তো ভাবছেন ভিক্ষা করে নিয়ে আসি, আসলে অনেক শর্ত মেনে এবং আমাদের নিজস্ব তাগিদে। কিছু শর্ত আছে বললেই আমরা পালন করবো, তা নয়। এখন আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো। চলতি হিসাব, আর্থিক হিসাব ও প্রবাসী আয় ভালো। আমরা মরিয়া হয়ে উঠছি না। আগামী মার্চে কি আইএমএফ পর্ষদে প্রস্তাব উঠছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মার্চে না আমরা বলছি একটু অপেক্ষা করবো, আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম দুই কিস্তির প্রস্তাব এক সঙ্গে উঠবে। চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব প্রথম দফায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থার নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপনের কথা থাকলেও, প্রথম দফায় তা পিছিয়ে ১২ মার্চ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে তা আরও পিছিয়ে জুনে নিয়ে যাওয়া হলো। বোর্ড অনুমোদন করলে তার কয়েক দিন পর দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড় হতে পারে। আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে প্রতিটি কিস্তি পেতে কিছু শর্ত পরিপালন করতে হচ্ছে। চতুর্থ কিস্তির জন্য গত জুনভিত্তিক দেওয়া বিভিন্ন শর্তের মধ্যে কর সংগ্রহ ছাড়া সব শর্ত পূরণ হয়েছে। চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি দেখতে গত ৩ ডিসেম্বর ঢাকা সফরে আসে আইএমএফের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের বৈঠকে বারবারই কর আহরণ বাড়ানোর বিষয়টি অনেক গুরুত্ব পায় বলে জানান অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান, শুধু চতুর্থ কিস্তির জন্য নয়, আগের কিস্তিগুলোতেও কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায়নি। সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধি দল কর অব্যাহতি সুবিধা কমিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর জন্য চাপ দেয়। একই সঙ্গে কর-জিডিপি অনুপাত বছরে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে নতুন করে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বাড়ানোর শর্তজুড়ে দেওয়া হয়। সরকার এ শর্ত নিয়ে দরকষাকষি করে। বাড়তি রাজস্ব আহরণের কৌশল হিসেবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ায় সরকার। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নানা মহল থেকে সমালোচনা শুরু হয়। এতে করে প্রায় ১০টি পণ্য ও সেবায় শুল্ক- করা কিছুটা কমানো হয়।

ফেব্রুয়ারির ১৫ দিনে যে ১১ ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স

চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে দেশে প্রায় ১৬ হাজার ১৪০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। তবে এই সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকসহ ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে রোববার পর্যন্ত কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১১টি। এর মধ্যে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ছাড়াও একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৫টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৪টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে। এই ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি, সিটিজেন্স ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। এ ছাড়াও বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংকের মাধ্যমেও ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

ডলার সংকটে চাল-গ্যাস আমদানির বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না: এনবিআর

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, ‘ডলার সংকটের কারণে চাল ও গ্যাসের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না।’ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সভায় ডায়মন্ড আমদানিতে উচ্চ শুল্কের প্রসঙ্গ তুলে তা সহজ করার দাবি জানালে তিনি এ কথা বলেন। এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, ‘চাল বা ফুয়েল এগুলো না হলে তো দেশ চলবে না। এগুলোর বিল পর্যন্ত দিতে পারছে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানিয়েছে। আপনারা তো বুঝতেই পারছেন ব্যাংকিং সেক্টরে কী ধরনের অরাজকতা ছিল।’ আবদুর রহমান খান বলেন, ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে তখন সরকারও এই ধরনের রেস্ট্রিকশন তুলে নেবে।’ সভায় জুয়েলারি শিল্পের নেতারা জুয়েলারির ওপর থেকে বিদ্যমান কর ও ভ্যাট হার কমানোর প্রস্তাব দেন। একইসঙ্গে দেশব্যাপী যেসব স্বর্ণ ব্যবসায়ী ভ্যাটের আওতার বাইরে আছেন, তাদের ভ্যাটের আওতায় আনার পরামর্শ দেন। এ সময় এনবিআরের চেয়ারম্যান জুয়েলারি আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাগেজ রুলসে সংশোধন আনা হবে বলে জানান। সেই সঙ্গে অগ্রিম আয়কর বসানোর বিষয়েও ইঙ্গিত দেন।

ঈদে নতুন নোট কবে থেকে পাওয়া যাবে, মিলবে ব্যাংকের যেসব শাখায়

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে নতুন নোট ছাড়া হচ্ছে। গ্রাহকরা আগামী ১৯ মার্চ থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া নোট বিতরণ চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে ৫, ২০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে।’ যেসব ব্যাংকের যেসব শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবে: জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মেইন ব্র্যাঞ্চ, দিলকুশা, যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন শাখা। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, মিরপুর-১, উত্তরা ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা, ঢাকা (কচুক্ষেত করপোরেট শাখা), দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ইব্রাহীমপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখা। ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি শাখা, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, এবি ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা।ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ভুলতা শাখা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী শাখা, ইসলামী ব্যাংকের কাঁচপুর শাখা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা, সাভার, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখা, সাভার, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, বসুন্ধরা শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সিগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখা।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে অগ্রণী ব্যাংককে এগিয়ে নিতে চাই

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ। ব্যাংকিং খাতের অভিজ্ঞ এ কর্মকর্তা এক সময় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষ ঢাকা ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন তিনি। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনীতির নানা শাখায় কাজ করেছেন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী এ অর্থনীতিবিদ। সম্প্রতি ঢাকাওয়াচকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন দেশের ব্যাংকিং খাত, মূল্যস্ফীতি, ডলার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও অন্তবর্তীকালীন সরকার নিয়ে। জানিয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক নিয়ে নানা পরিকল্পনা, পাশাপাশি এই মুহূর্তে সরকারের করণীয় কী, এ বিষয়েও মত দিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকাওয়াচ২৪.কমের স্টাফ রিপোর্টার ফরিদ উদ্দিন শ্রাবণ।ঢাকাওয়াচ: অনেক চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের দায়িত্ব নিলেন। ৬ মাসে কতটুকু সফল হয়েছেন?আবু নাসের বখতিয়ার : ব্যাংক সেক্টরে গত ১৫ বছর যেভাবে লুটপাট হয়েছে, যেভাবে লেফট এন্ড রাইট ল্যান্ডিং হয়েছে, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো নট ইজি। কিন্তু দায়িত্ব যখন নিয়েছি কাজ করবো, করতে হবে। সফল অবশ্যই হবো। দৃশ্যমান সফলতার জন্য আর কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে, সরকারকেও সময় দিতে হবে। ঢাকাওয়াচ: ঋণখেলাপীদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?আবু নাসের বখতিয়ার : আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঋণখেলাপীদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে, তাদের ব্যবসায় করার সুযোগ দিতে হবে। তারা গত কয়েক বছর অস্থিতিশীল পরিবেশের মাঝে ব্যবসায় করেছেন। তবে এখন ব্যবসায়ের জন্য স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, ঋণখেলাপীদের ব্যবসায় করার সুযোগ দিতে হবে। ব্যাংকটিকে ভালো করার জন্য ঋণখেলাপিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে যাচ্ছি।’ ঢাকাওয়াচ: আপনি তো এক সময় অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ছিলেন। এখন আবার চেয়ারম্যান হয়েছেন। ব্যাংকটির কোন তফাৎ দেখছেন কী?আবু নাসের বখতিয়ার : আমি যখন ২০০৪ সালে এমডি হিসেবে আসি তখন ব্যাংকের ইক্যুইটি প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ঋণাত্মক ছিল। খেলাপি ঋণ ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। আর নিট মুনাফা দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা ঋণাত্মক ছিল। তবে ২০১০ সালে বিদায় নেওয়ার আগে ইক্যুইটি এক হাজার ৭২ কোটি টাকা ইতিবাচক ছিল। খেলাপি ঋণ কমিয়ে দুই হাজার ১০০ কোটি টাকায় নেমে আসে। আর ৩৫২ কোটি টাকা মুনাফা ছিল। কিন্তু এখন আবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে দেখি মূলধন ঘাটতি ও খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। গত ১৫ বছর ঋণ ঠিকভাবে বিতরণ না করার কারণে এ পরিস্থিতি হয়েছে। তবে সহসায় এই সংকট কেটে উঠবো। ঢাকাওয়াচ : মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল অবস্থায় রাখার উপায় কী?আবু নাসের বখতিয়ার : মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়ে ১১ শতাংশ ছিল। সেখন থেকে কমে এখন সিঙ্গেল ডিজিটে আছে। অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নর চেষ্টা করছেন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। জুনের মধ্যে ৬-৭ শতাংশে নেমে আসবে, আমার বিশ্বাস মূল্যস্ফীতি অবশ্যই আরও কমে আসবে। ঢাকাওয়াচ: প্রাইভেট ব্যাংকের চেয়ে পাবলিক ব্যাংকের প্রতি আস্থা বাড়ছে। বিষয়টা কিভাবে দেখছেন?আবু নাসের বখতিয়ার : আমি মনে করি, পুরো ব্যাংক সেক্টর মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। তবে সরকারের কারেন্ট পলিসির কারণে আস্তে আস্তে আস্থা ফিরে আসছে। ঢাকাওয়াচ: তারল্য সংকট থেকে বের হওয়ার উপায় কী? আবু নাসের বখতিয়ার : বর্তমানে তারল্যসংকট বড় সমস্যা। সবাই ব্যাংকে যায় টাকা উঠানোর জন্য অর্থাৎ ডিপোজিটের চেয়ে উত্তোলন বেশি। তার মানে এই নয় যে, তারল্য সংকটে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে। তবে আশা করছি, জুনের মধ্যে এই সংকট কেটে যাবে। বাহির থেকে ফরেন কারেন্ট ইনভেস্টমেন্ট আসার কথা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইডিবি ফান্ড আসলে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো। তবে আমাদের রিজার্ভও বলে রিসেন্টলি ১৯ বিলিয়ন থেকে ২০ বিলিয়নের উপরে অবস্থান করছে। ঢাকাওয়াচ : রেমিটেন্স আহরণে অগ্রণী ব্যাংক কেমন কাজ করছে?আবু নাসের বখতিয়ার : গত ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় আনার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক। টপ টেন রেমিট্যান্স আহরণে দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করে। ওই মাসে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৬ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের। তবে ইসলামিক ব্যাংককে বিট করা বড় চ্যালেঞ্জ। ঢাকাওয়াচ : পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব কি? যদি ফেরত আনা যায় কীভাবে সম্ভব?আবু নাসের বখতিয়ার : অবৈধভাবে যে টাকা পাচার হয়েছে তা ফেরত আনা সম্ভব। তবে তার আগে প্রমাণ করতে হবে টাকা অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। লিগ্যাল ওয়েতে গেলে সে টাকা আনা সম্ভব নয়, যেমন একজন মানুষ পাসপোর্টের সাথে এন্ডোস করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার সাথে নিয়ে বিদেশ যেতে পারে। এটা লিগ্যাল ওয়ে। তার বেশি নিতে গেলে স্পেশাল পারমিশন দরকার। আর সে পারমিশন না থকলে টাকা নেয়া যাবে না। অবৈধ টাকা অবৈধ ওয়েতে যে দেশে পাচার হয়েছে, সে দেশের সাথে চুক্তি করে ফেরত আনা সম্ভব। তবে তার আগে প্রমাণ করতে হবে অবৈধ টাকা অবৈধ ওয়েতে পাচার হয়েছে। এসআলম, সামিট, বেক্সিমকো হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, আসলে এই টাকা ফেরত আসা উচিত। ঢাকাওয়াচ : সম্প্রতি ধানমন্ডি৩২ বাড়ি ভাঙ্গা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এ প্রসঙ্গে আপনার মন্তব্য জানতে চাই?আবু নাসের বখতিয়ার : আমি ব্যক্তিগতভাবে ধানমন্ডি ৩২ কেন কোন ভাঙচুর পছন্দ করিনা। আমার কথা হলো কেউ যদি অপরাধ করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত, ভাঙচুর সমাধান নয়। ঢাকাওয়াচ : অগ্রণী ব্যাংক নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?আবু নাসের বখতিয়ার : আমি চাইব, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব কর্মকর্তা-কর্মচারী হাতে হাত কাঁধে কাধ মিলিয়ে এ ব্যাংককে এগিয়ে নিতে। তবে তার জন্য তিনটা কোয়ালিটি প্রয়োজন। সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা। এই তিনটি গুণ থাকলে আমরা অগ্রণী ব্যাংককে বহু দূর এগিয়ে নিতে পারব। এই বিশ্বাস আমার আছে।

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল ছাড়াল ১৪ লাখ, দেওয়া যাবে বছরব্যাপী

১৪ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন। আয়কর রিটার্ন দাখিল করার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বছরজুড়ে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলন, ‘ইতোমধ্যে এ বছর ১৪ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন এবং ১৮ লাখের বেশি করদাতা ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আয়কর দিবস পরবর্তী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সেবাটি বছরব্যাপী চালু রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আয়কর দিবস পরবর্তী সময়ে রিটার্ন দাখিল করলে আয়কর আইন, ২০২৩’-এর ৭৬ ধারা অনুযায়ী বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত এবং কোনোরূপ কর অব্যাহতি পাবেন না।’ এছাড়া, কর দিবসে যে পরিমাণ কর অপরিশোধিত থাকবে তার ওপর আয়কর আইন, ২০২৩’-এর ১৭৪ ধারা অনুযায়ী মাসিক ২ শতাংশ হারে (সর্বোচ্চ ২৪ মাস) অতিরিক্ত কর আরোপ করা হবে। রোববার ছিল আয়কর রিটার্ন দাখিল করার শেষ দিন। তিন দফায় সময় বাড়িয়ে এনবিআরের ঘোষণা অনুযায়ী রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় শেষ দিন ১৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘সারাবছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট বন্ধ হবে না। ৩৬৫ দিনই লোকজন দিতে পারবে। নির্ধারিত সময়ের যারা ট্যাক্স রিটার্ন দেবেন, তাদের ট্যাক্স ক্যালকুলেশন এক রকম হবে, আর পরে যারা দেবেন তাদের অটোমেটিক্যালি অতিরিক্ত জরিমানা চলে আসবে। সেটা ধার্যকৃত ট্যাক্সের ওপর প্রতি মাসে ২ শতাংশ। ম্যাক্সিমাম সিলিং ২৪ মাস। আমরা ৪৮ শতাংশের বেশি কারো কাছ থেকে ইন্টারেস্ট নেব না।’ গত ৩০ জানুয়ারি আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় তৃতীয় দফায় বৃদ্ধি করে ১৬ ফেব্রুয়ারি করা হয়। একই পৃথক আদেশে কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃদ্ধি করে ১৬ মার্চ করা হয়। এর আগে রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের জন্য কোম্পানি ব্যতীত সব শ্রেণির করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। গত আগস্ট মাসের পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দুই দফায় সময় বাড়ানো হয়েছিল। এ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত সব সরকারি কর্মচারী, সারাদেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মী এবং বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত কর্মরতদের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়।

ফেব্রুয়ারির ১৫ দিনে এলে ১৬ হাজার কো‌টি টাকার রেমিট্যান্স

চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৫ দিনে বৈধপথে ১৩১ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬ হাজার ১৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বা এক হাজার ৭৬ কো‌টি টাকা। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৫ কোটি ৩৯ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়া‌রির ১৫ তা‌রিখ পর্যন্ত দেশে এক হাজার ৭২৭ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার এবং জানুয়া‌রি‌তে ২১৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পা‌ঠি‌য়েছেন প্রবাসীরা। অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দা‌য়িত্ব নেওয়ার পর টানা ছয় মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট‌্যান্স এসে‌ছে বাংলাদেশে।

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের ৭৮১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, দুদকের মামলা

৭৮১ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদের অভিযোগে নাসা গ্রুপ ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ অভিযোগে নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসাধু উপায়ে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি কমিশন আইন, ২০০৪’-এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭’-এর ৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ এর আগে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি নজরুল ইসলাম মজুমদার, তার স্ত্রী নাসরীন ইসলাম, মেয়ে আনিকা ইসলাম, ছেলে ওয়ালিদ ইবনে ইসলাম ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ ৫২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। গত ১ জানুয়ারি নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার স্ত্রী-সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। ব্যাংক থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে উদ্যোক্তাদের সুবিধা বাড়ানো ও নীতি পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার অভিযোগও রয়েছে।

চারকোল শিল্প রক্ষা ও সংস্কারে  বিসিসিএমইএ'র নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

চারকোল শিল্প রক্ষা ও সংস্কারকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী (২০২৫-২০২৭) নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিসিসিএমইএ)। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিসিসিএমইএ সাংবাদিক সম্মেলনে এই ইশতেহার ঘোষণা করেছে বিসিসিএমইএ। নির্বাচনী ইশতেয়ারে বলা হয়, গভীর সংকটে চারকোল শিল্প খাত। একদিকে নিয়ম নীতি না মেনে যত্রতত্র কারখানা গড়ে উঠছে অন্যদিকে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল অপপ্রচার চালিয়ে এ সেক্টরের ফ্যাক্টরি গুলো বন্ধ করার চেষ্টা করছে। চারকোল খাতকে রক্ষা করার স্বার্থে সময় এসেছে সকলে একতাবদ্ধ হওয়ার, চ্যালেঞ্জ সমূহ সন্মিলিতভাবে মোকাবেলা করার। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজন একটি শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ টীম যারা দক্ষতার সাথে সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য কাজ করবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ইশতেহারকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।(১) চারকোল শিল্প রক্ষা (২) চারকোল শিল্প সংস্কার ও উন্নয়নচারকোল শিল্প রক্ষা:১. সকল ফ্যাক্টরির পরিবেশের ছাড়পত্র প্রাপ্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা। ২. চলমান ফ্যাক্টরি সমূহকে ফায়ার লাইসেন্স, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের লাইসেন্স,পাট অধিদপ্তরের লাইসেন্স সহ প্রয়োজনীয় লাইসেন্স প্রাপ্তিতে সঠিক দিক নির্দেশনারমাধ্যমে সহায়তা করা। ৩. সহজে ও সুলভে কাঁচামাল প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয়ব্যবস্থা গ্রহন করা। ৪. নতুন শিপিং লাইন খোলা এবং চারকোলকে সহজে রপ্তানি করার জন্য সকলকে সহযোগিতাকরা। ৫.চারকোলের বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন এর সহায়তায়কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা। চারকোল শিল্প সংস্কার ও উন্নয়ন: বাংলাদেশের চারকোল শিল্প ১২ বছর পার করেছে। এ শিল্পকে টেকসই করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নীতি সহযোগিতা ও ক্রেতাদের পরামর্শে সকল ফ্যাক্টরিকে ধীরে ধীরে কমপ্লায়েন্ট ফ্যাক্টরি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ১. চারকোলকে ক্ষুদ্র শিল্প থেকে মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে উন্নিত করা। ২. ফ্যাক্টরির প্রডাকশনের বিপরীতে ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া সহজতর করতে এসোসিয়েশনেরপক্ষ থেকে প্রয়োজনীয়সহযোগিতা করা। ৩. বিসিসিএমইএ-কে এফবিসিসিআই তে অর্ন্তভূক্ত করা। ৪. চারকোল এসোসিয়েশনের একটা স্থায়ী অফিস করা। ৫. প্রোডাকশনে নিয়োজিত সকলের জন্য স্বাস্থ্য সেবা/ ইন্সুরেন্সের আওতায়আনা। ৬. দক্ষ শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় শ্রমিকের ট্রেনিং ও মূল্য সংযোজিত চারকোল পন্যউৎপাদনের জন্য ‘বিসিসিএমইএ ট্রেনিং ইন্সটিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করা। ৭. বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার তৈরি করার জন্য এসোসিয়েশনের উদ্যোগে টার্গেটদেশসমূহে সদস্যদের নিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহযোগিতায় মেলার আয়োজন করেরপ্তানির বাজার সম্প্রসারন করা। ৮. বিসিসিএমইএ-কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অধিভূক্ত বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি)-তেঅর্ন্তভূক্তি করা। ৯. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধিভূক্ত জেডিপিসি এর গর্ভনীং বডিতে সদস্য হিসাবেবিসিসিএমইএ-কে অর্ন্তভূক্তি করা।

আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন আজ

আয়কর রিটার্ন দাখিল করার শেষ দিন আজ রোববার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি)। সে হিসাবে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত জরিমানা ছাড়াই রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন করদাতারা। তিন দফায় সময় বৃদ্ধি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঘোষণা অনুযায়ী রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় শেষ দিন ১৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, সারা বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট বন্ধ হবে না। ৩৬৫ দিনই লোকজন দিতে পারবে। নির্ধারিত সময়ে যারা ট্যাক্স রিটার্ন দেবেন, তাদের ট্যাক্স ক্যালকুলেশন এক রকম হবে, আর পরে যারা দিবেন তাদের অটোমেটিক্যালি অতিরিক্ত জরিমানা চলে আসবে। সেটা ধার্যকৃত ট্যাক্সের ওপর প্রতি মাসে ২ শতাংশ। ম্যাক্সিমাম সিলিং ২৪ মাস। আমরা ৪৮ শতাংশের বেশি কারো কাছ থেকে ইন্টারেস্ট নেব না। গত ৩০ জানুয়ারি আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় তৃতীয় দফায় বৃদ্ধি করে ১৬ ফেব্রুয়ারি করা হয়। একই পৃথক আদেশে কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃদ্ধি করে ১৬ মার্চ করা হয়। এর আগে রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের জন্য কোম্পানি ব্যতীত সব শ্রেণির করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। গত আগস্ট মাসের পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দুই দফায় সময় বাড়ানো হয়েছিল। এ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত সব সরকারি কর্মচারী, সারা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী এবং বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরতদের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়। ২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন দাখিল ও কর পরিপালন সহজীকরণের লক্ষ্যে এনবিআর গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম (ই-রিটার্ন) করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করে। ওই সিস্টেম দিয়ে নির্ধারিত চার্জ দিয়ে অনলাইনেই আয়কর পরিশোধ করতে পারছেন করদাতারা। দেশে বর্তমানে এক কোটি ১৫ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) করদাতা রয়েছেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪৪ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন, যার মধ্যে মাত্র ৫ লাখ রিটার্ন অনলাইনে জমা দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন। প্রসঙ্গত, সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে চার লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে পাঁচ লাখ টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া আরও অনেক কারণে ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হয়। শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই হবে না, বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রও দেখাতে হবে।

হিলি স্থলবন্দরে বন্ধ পণ্য আমদানি-রপ্তানি

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে দিনাজপুর হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারের কার্যক্রম। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান জানান, শুক্রবার রাতে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। ফলে আজ শনিবার সরকারি ছুটি রয়েছে। এ কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, দুই দেশের স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আগামীকাল রোববার থেকে পুনরায় আমদানি রপ্তানিসহ সব কার্যক্রম যথারীতি শুরু হবে। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও সপ্তাহের ৭দিনই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই চেকপোস্ট ব্যবহার করে লোকজন বাংলাদেশ ও ভারতে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। তাই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধের সঙ্গে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারে কোনো সম্পর্ক নেই।

রাজস্ব আদায়ে বাস্তবসম্মত লক্ষ্যমাত্রা চায় এনবিআর

১ দশকের বেশি সময় ধরে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এবারও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন প্রায় অনিশ্চিত। এমন বাস্তবতায় এনবিআর আগামী তিন অর্থবছরের জন্য আরও বাস্তবসম্মত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে। সম্প্রতি অর্থ বিভাগের সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যথাযথ পর্যালোচনা ও গবেষণা ব্যতীত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলে অর্থবছর শেষে তা বরাবরের মতো ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। দেশের উৎপাদন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং বিগত বছরসমূহের ন্যায় ধারাবাহিক রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতার দায় থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করে চিঠিতে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে অনুষ্ঠিত বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় উপস্থাপিত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২৫-২৬, ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এর অধীন সব দপ্তরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৫,৬৪,৪১১.৯২ কোটি, ৬,৪৯,০৭৩.৭১ কোটি ও ৭,৪৬,৪৩৪.৭৬ কোটি টাকা। এতে বলা হয়, প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণ বিগত বছরসমূহের রাজস্ব আদায়ের সার্বিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারিত হওয়া সমীচীন। উল্লিখিত রাজস্ব প্রাপ্তির প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণ আপাতদৃষ্টে বাস্তবতাবিমুখ এবং যথাযথ গবেষণা উদ্ভূত নয় মর্মে প্রতিয়মান। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারায় এনবিআরের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, স্ফিত অঙ্কে বাজেট নির্ধারণ করা এবং বছর শেষে নির্ধারণকৃত বাজেট লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়া-এরূপ চিত্র ধারাবাহিকভাবে চলমান থাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। দেশের সিংহভাগ রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জন্য যা মোটেও কাম্য নয়। এতে আরও বলা হয়, রাজস্ব প্রাপ্তির প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণ নির্ধারণে বিগত বছরসমূহের প্রকৃত রাজস্ব আদায়ের উপর সাম্প্রতিক/বিগত বছরসমূহের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হলে তা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি বাস্তবসম্মত ব্যয় প্রাক্কলন করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাঠপর্যায়ের অফিসসমূহে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীরা দৃঢ় মনোবল ও উৎসাহের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে যা তাদের ভবিষ্যতে আরও কর্ম উদ্যমী করবে। এমতাবস্থায়, উপর্যুক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মতভাবে নির্ধারণের জন্য অনুরোধ করা হলো। এ নিয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, `রাজস্ব আহরণ জিডিপির তুলনায় কম। রাজস্ব বৃদ্ধির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এনবিআরের উচিত নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানো। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ করা এবং অপ্রয়োজনীয় কর ছাড় কমানোর ব্যবস্থা করা।'

৩৭৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৬ হাজার কোটি টাকার জব্দ

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ৩৭৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার টাকার স্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএফআইইউ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। বিএফআইইউ এই পদক্ষেপের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে, গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। এর পাশাপাশি, সরকারের নিট ব্যাংক ঋণও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পরিমাণ জানুয়ারি ২২ তারিখে ১৫ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৭৭৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তবে, চলতি অর্থবছরের জন্য সরকারের ব্যাংক ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।