স্বল্প সময়ের মধ্যে রাজস্ব সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়: গভর্নর মনসুর


15Feb Naeem/WhatsApp Image 2025-02-20 at 8.05.30 PM.jpeg

সরকারের পক্ষে স্বল্প সময়ের মধ্যে রাজস্ব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। মূল্যস্ফীতি একদিনে হয়নি। তাই সমাধানও একদিনে সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি)  রাজধানীর ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (এআএএফ) আয়োজিত ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্চ এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

ইরআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালার সভাপত্তিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়াল (সিপিডির) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান এবং পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বক্তব্য রাখেন।

গভর্নর জানান, বছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া এক্সটার্নাল সেক্টর, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক খাত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংস্কার করাই এখন গভর্নরের ফোকাস। 

গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থান একটি স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছেছে, স্থিতিশীল বিনিময় হার এবং অর্থপ্রদানের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত রয়েছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন বলে উল্লেখ করেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের কিস্তি বিলম্বিত হওয়া সত্ত্বেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ সন্তোষজনক। পাচার কমার কারণে, এ বছর ৩০ বিলিয়ন ডলার আসবে। মূল্যস্ফীতি ঠিক করতে আরো ৫-৬ মাস লাগবে। 

তিনি বেসরকারি খাতে ঋণ বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করেছেন, এটিকে ব্যাংক আমানত হ্রাস এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারি ঋণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছেন। গভর্নর উল্লেখ করেছেন যে, ট্রেজারি বিল বন্ডের হার ১২.৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এটি ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারি ঋণ হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়, বেসরকারি খাতের ঋণ বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করতে হবে। 

গভর্নর বলেন, একটা গ্রুপ যদি একটা ব্যাংক থেকে ৮৭ ভাগ নিয়ে যায়, তাহলে সে ব্যাংকে কিভাবে বাচানো যায়। তবে ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে, ব্যাংকগুলোও নিজেরা আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে ফিরেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইসলামী ব্যাংক থেকে একটা গ্রুপ ৭০ থেকে ৮০ হাজার অর্থ নিয়ে যায়। সেই ইসলামী ব্যাংক এখন নিজেরাই দাঁড়িয়েছে। তাঁরা আমানত বাড়িয়ে এখন ঋণ বিতরণ করছে।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দৃশ্যমান কিছু একটা দেখাতে হবে। যাতে পরবর্তী সরকার এ বিষয়ে এটার ধারাবাহিকতা রাখে। তা ছাড়া ব্যাংক খাত সংস্কারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসনকে গুরুত্ব দিতে হবে। যাতে অর্থ মন্ত্রনালয়ে ইন্টারফেয়ার না থাকে। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিয়ে সুদহার বাড়ানোর সঙ্গে বিনিয়োগের বাধাকেও দূর করতে হবে। বিনিয়োগ বাড়িয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×