ব্যাংকের মূলধন ১০ শতাংশের নিচে হলে কোনো কর্মকর্তা বোনাস পাবেন না: গভর্নর
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:৩৭ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কোনো ব্যাংকের মূলধন যদি ১০ শতাংশের নিচে নেমে যায় এবং প্রভিশনে ক্ষতি হয়, তাহলে সেই ব্যাংক ডিভিডেন্ড বা বোনাস দিতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে কোনো কর্মকর্তাকেও বোনাস দেওয়া যাবে না।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি (এনআরবি) আয়োজিত "ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ: আসন্ন নির্বাচন, প্রবাসীদের অংশগ্রহণ ও আগামীর অর্থনীতি" শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, "চেষ্টা করছি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার।" তিনি জানান, গত কয়েক বছর অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিলেও বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটছে। তিনি বলেন, "ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সবগুলোতেই উদ্বৃত্ত আছে। এর কারণ হলো রেমিট্যান্সপ্রবাহ ২১% বেড়েছে আর সংকটের মধ্যে রপ্তানিও বেড়েছে।"
গভর্নর বলেন, “ওপরমহল থেকেও কমিশন বাণিজ্য যেভাবে হতো তবে হুন্ডিও কমে এসেছে। ৩০ শতাংশ লিকেজ হতো প্রবাসী আয়ের। আমদানি কমেনি তবে মূল্যটা কমে এসেছে। মূল্য বাড়িয়ে পাচার করার মানুষ এখন দেশে নেই তাই ব্যয় কমেছে। যেভাবে অর্থ পাচার হতো সেভাবে এখন হয় না। এর পেছনে কাজ করছে সুশাসন। এ জন্যই বেড়েছে রিজার্ভ।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যাংকের মূলধন ১০ শতাংশের নিচে হয় এবং প্রভিশন লস করে তাহলে ডিভিডেন্ড ও বোনাস দিতে পারবে না। এ ছাড়া কোনো কর্মকর্তাকে বোনাস দেওয়া হবে না। যদি তারা প্রভিশন লস করেন। তিন মাসের ঋণ অনাদায়ি থাকলে তাকে ননপারফর্মিং লোন হিসেবে ধরা হবে।”
গভর্নর জানান, গত এক মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে এক বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা কিনলেও ডলারের দাম বাড়েনি। তবে তিনি বলেন, ডলার সংকট না থাকলেও টাকার সংকট রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ চললেও তা এক দিনে সম্ভব নয়। আগস্টে চালের দাম বাড়ায় সামান্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, তবে তা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
তিনি জানান, জুন মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩০ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপির আশঙ্কা রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে, আগামী রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে সরকারের সঙ্গে পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, “এক-দুই বছরের মধ্যে ভালো করবে। কর্মকর্তা ও আমানতকারীদের জন্যও ভালো হবে।”