৮ ব্যাংক থেকে আরও ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত কয়েক বছর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করলেও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয় দফায় মোট ৬৮ কোটি ডলারের বেশি কেনা সম্পন্ন করেছে। সবশেষ মঙ্গলবার ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কেনা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, “বাজারে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে বাজার থেকে ডলার কেনা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।”

আজ ডলার কেনা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে, মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে। এক ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার ক্রয় করেছে। ১৩ জুলাই ১৮ ব্যাংক থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে এক কোটি ডলার, ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ১০ আগস্ট ১১ ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “ডলারের দাম হঠাৎ করে বাড়া বা কমা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং বিদেশি দায় পরিশোধ ঠিকঠাক সম্পন্ন হয়েছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে ডলারের তীব্র চাহিদা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”

তারা আরও বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধিও সম্ভব।