৮০ টাকায় আমদানি করা কাঁচা মরিচের কেজি বাজারে ৩০০
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১২:১৯ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৫

দেশে অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে কাঁচা মরিচের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় ভারত থেকে মরিচ আমদানি বেড়েছে। গত এক মাসে কেবল বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েই ১,৫২১ মেট্রিক টন মরিচ আনা হয়েছে। তবুও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৮০ টাকার মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়, যা ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ১১টি ট্রাকে ১৬৫ মেট্রিক টন মরিচ আমদানি হয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ১৫ দিন আগেও প্রতি কেজি মরিচের দাম ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। আমদানিকারকদের নথিপত্র অনুযায়ী, বেনাপোল বন্দরে প্রতি কেজি মরিচের খরচ সর্বোচ্চ ৮০-৮৫ টাকা।
বেনাপোলের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক হাফিজ আহমেদ বলেন, “মরিচের বড় অংশ ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে আসে। খরচ বাদে আমরা কম লাভে বিক্রি করি, কিন্তু খুচরা বাজারে দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়।”
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, “প্রতি কেজি মরিচ আমদানিতে সরকারকে ৩৬ টাকা শুল্ক দিতে হয়। যদি শুল্ক কমানো হয়, আমদানি খরচও কমে আসবে এবং বাজারে দামও হ্রাস পাবে। এতে ক্রেতারা স্বল্পমূল্যে মরিচ কিনতে পারবেন।”
বেনাপোল বাজারের বিক্রেতা আনন্দ বলেন, “আমদানি করা মরিচের সরবরাহ সীমিত থাকায় দাম বেশি। সাধারণত এই মরিচগুলো বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে যায়। যদি আমদানি আরও বৃদ্ধি পায়, স্থানীয় বাজারের দামও কমবে।”
ক্রেতা আবির ইসলাম জানান, “কাঁচা মরিচের দাম খুব বেশি। বাজারে যথাযথ তদারকি না থাকায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।”
বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংরক্ষণ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, “চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ভারত থেকে মরিচ আমদানি বেড়েছে। বন্দরে ট্রাক প্রবেশের পর নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়া হয়, যাতে আমদানিকারকরা দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারেন।”