প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে বাণিজ্য বাড়ানো হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:৫০ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, সরকার আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। তিনি বলেন, যতগুলো দেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যে সংযুক্ত হওয়া সম্ভব, আমরা ততগুলো দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছি। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি হবে।
এই মন্তব্য তিনি করেছেন শুক্রবার (২২ আগস্ট) চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) আয়োজিত ‘মিটিং উইথ জাম কামাল খান ও শেখ বশিরউদ্দীন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে।
উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী, বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন, পাকিস্তান হাইকমিশনের ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট অ্যাটাশে জাইন আজিজ, সিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টরা এম এ সালাম ও এরশাদ উল্লাহ, বাংলাদেশ স্টিল রি রোলিং মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিসিসিআই প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম ও করাচির মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করা এবং সামুদ্রিক জাহাজে পণ্য পরিবহন শুরু করার মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া, শিপ বিল্ডিং খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা সম্ভব বলে তারা অভিমত দিয়েছেন।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, আমরা দু দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই, যা দু দেশের মানুষের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। আমাদের চ্যালেঞ্জ জানা আছে, এবার এগিয়ে যেতে হবে। যদি একটি সঠিক ব্যবসায়িক রোডম্যাপ তৈরি করতে পারি, বিজনেস অগ্রগতি নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, গ্লোবাল ইকনমিক ট্রেন্ড দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বাংলাদেশের ম্যানুফ্যাকচারিং, লেদার, ফুটওয়্যার, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং গার্মেন্টস খাতের বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সুযোগ এসেছে। আগামী দু বছরের জন্য বাণিজ্য রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। সরকার এবং ব্যবসায়ীরা সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি করতে পারবে। ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চালুর বিষয়ে আলোচনা চলবে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা বিক্রয় বৃদ্ধি এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে আমদানি করার লক্ষ্যে কাজ করছি। পাকিস্তানি অংশীদারের সঙ্গে সম্ভাবনামূলক আলোচনা হয়েছে। আমদানি ও রফতানি সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। সব ব্যবসায়ীর সম্মিলিত শক্তি ব্যবহার করে বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধি আরও উচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
পরবর্তীতে তারা সীতাকুণ্ডে কবির শিপ রি-সাইক্লিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা ও সহযোগিতা নিয়ে মতবিনিময় করেন।