২০২৫ অর্থ বছরে কারখানা-দোকান-প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত প্রায় সাড়ে ৯৪ হাজার


Rashed (7).jpg

কোনো কারখানায় পাঁচজন বা তার বেশি শ্রমিক থাকলে সেই কারখানাকে শ্রম আইনের আওতায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। অন্য যে কোনো ধরনের দোকান ও প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন লাগে কোনো শ্রমিক না থাকলেও। অর্থাৎ, কোনো দোকান মালিক এককভাবে চালালেও তাকে নিবন্ধন নিতে হবে।

এমন নিয়ম থাকলেও দেশের সিংহভাগ কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান এখনো নিবন্ধনের বাইরে। সারাদেশের মাত্র ৯৪ হাজার ৫১৫টি কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। অনিবন্ধিত প্রায় দেড় লাখ।

সরকারের উদ্যোগ
এ পরিস্থিতিতে দেশের সব কারখানা, প্রতিষ্ঠান ও দোকান শ্রম আইনে নিবন্ধের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে ঢাকা জেলার সব আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সুপারশপ, শপিংমল ও বড় মার্কেটের দোকান নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জায়গায় এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। শ্রম ও কর্মংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

যা বলছে প্রতিবেদনের তথ্য
সারাদেশের নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে শ্রম ও কর্মংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। সারাদেশে অবস্থিত ৩১টি উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে ডিআইএফই। এতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ৯৪ হাজার ৫১৫টি কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত। আমাদের দেশে যে পরিমাণ কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান আছে, সে হিসাবে এই সংখ্যা সন্তোষজনক কি না? এমন প্রশ্ন করা হলে শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ কারণেই আমরা সবাইকে নিবন্ধনের আওতায় আনার কথা বলছি। সবাই নিবন্ধিত থাকলে তো এটা বলতে হতো না। যেহেতু সবাই নিবন্ধিত না, সে জন্য সবাইকে আমরা নিবন্ধনের আওতায় আনতে চাচ্ছি। আপাতত আমরা ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই কার্যক্রম চালাবো।’ 
   

 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×