সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে মিরসরাইয়ের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১০:৫৪ এম, ১০ এপ্রিল ২০২৫

দেশের সবচেয়ে বড় চট্টগ্রাম জেলঅর মিরসরাইয়ের জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আগামী দুই বছরের মধ্যে শিল্প স্থাপন উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে দেড় হাজার একর ভূমি। ৫০০ একরে আসবে আন্তর্জাতিক মানের মাস্টার ডেভেলপার। নিশ্চিত করা হবে সব ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন। পুরোপুরি চালু হলে কর্মসংস্থান হবে ১৫ লাখ মানুষের।
চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে ফেনীর সোনাগাজি পর্যন্ত ৩৩ হাজার একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠছে দেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। বর্তমানে ১১ হাজার একরে চলছে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ।
বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশিকে কাজে লাগিয়ে উপকূলে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে অপার সম্ভাবনাময় এই অর্থনৈতিক অঞ্চল। এরই মধ্যে উৎপাদনে গেছে কোলগেট, এশিয়ান পেইন্টস ও টিকে গ্রুপসহ ১৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণাধীন আরও ২৮টি।
বরাদ্দ দেয়া ১৫২টি প্লটে বিনিয়োগ হতে পারে ১৯ বিলিয়ন ডলার। কর্তৃপক্ষ বলছে, দুইটি জোন আগামী দুই বছরের মধ্যে চালু হলে খুলবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।
মিরসরাই জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেন, ‘জোন দুইটিতে দেড় হাজার একরের মত জমি রয়েছে। জমিগুলোকে পুরোপুরি কাজের উপযোগী করা হবে। এর পাশাপাশি পাঁচশো একরে আসবে আন্তর্জাতিক মানের মাস্টার ডেভেলপার।’
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষে (বেজা) কনসালটেন্ট আবদুল কাদের খান বলেন, ‘আগামী ২ বছর কী কী কাজ করা হবে, তা নিয়ে কাজ চলছে।’
সংকট নিরসনে মুহুরি প্রজেক্ট থেকে আনা হচ্ছে পানি। কেটে গেছে শ্রমিক জটিলতাও। সাগর পথে শিল্পপণ্য পরিবহনে নির্মাণ হচ্ছে জেটি।
ঢাকায় বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দেয়া একদল বিনিয়োগকারী পরিদর্শন করেছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল। তাই সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে বিনিয়োগ বান্ধব ও উৎপাদনমুখী নানা পদক্ষেপ।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘এখানে বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যাংকগুলো শাখা স্থাপন করেছে, আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।’
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে। বেজার চাহিদা অনুযায়ী কাজগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, পুরো অর্থনৈতিক অঞ্চলটি সচল হলে ৫০০ কারখানায় কর্মসংস্থান হবে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের।