লক্ষ্মীপুরে ৫ হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়ল
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:৫০ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি মামলার অগ্রগতি তুলে ধরে তদন্ত সম্পন্নের জন্য আরও দুই মাস সময় চেয়ে আবেদন জানান। তবে ট্রাইব্যুনাল এক মাস সময় মঞ্জুর করে।
শুনানির সময় ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমরা বিলম্ব করতে চাই না। আপনাদের দুই মাস নয়। এক মাস সময় দিতে চাই।” প্রসিকিউশন তখন পুনরায় দুই মাস সময়ের অনুরোধ জানালে আদালত রসিকতার ছলে বলেন, “দুই বছর দিলে আরও ভালো।”
এরপর আদালত ১ ডিসেম্বরকে পরবর্তী শুনানির দিন হিসেবে নির্ধারণ করে।
এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মঙ্গলবারের দিন নির্ধারিত ছিল। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন একই প্যানেল এ সংক্রান্ত আদেশ দিয়েছিল।
বর্তমানে মামলাটির তিনজন আসামি কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন জাবেদ এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলম। মঙ্গলবার তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গত ২৮ জুলাই অন্য এক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর এ তিনজনকে এই মামলায় হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত। তার আগে, গত ১৬ জুলাই ট্রাইব্যুনাল-২ এই নির্দেশ দিয়েছিল।
গত বছরের ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হামলা ও গুলিতে চার শিক্ষার্থীসহ পাঁচজন নিহত হন। নিহতরা হলেন আল আসাদ আফনান, সাব্বির হোসেন রাসেল, কাউসার হোসেন, ওসমান গণি ও মো. সুজন। এদের মধ্যে আফনান শহরের মাদাম ব্রিজ এলাকায় এবং বাকিরা তমিজ মার্কেট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই ওই হামলায় অংশ নিয়েছিল।