
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচন করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
এনসিপি বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে প্রথম ধাপের ১২৫ জন দলীয় মনোনীত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় নোয়াখালীর ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতে শাপলা কলি প্রতীকে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর এবং নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে আবদুল হান্নান মাসউদকে প্রতীকে মনোনীত করা হয়েছে।
অন্য তিনটি আসন, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী), নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) এর প্রার্থী এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
এ বিষয়ে আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, "শাপলা প্রতীক আমার জন্য গৌরবের, তবে প্রতীকের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষের ভালোবাসা। হাতিয়ার প্রতিটি মানুষের সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক। বহু বছর ধরে আমি এখানকার অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে থেকেছি। ঝড়-বন্যা থেকে শুরু করে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, চিকিৎসা-সেবায় বঞ্চিত রোগী, শিক্ষা ও জীবিকার সমস্যা, সব জায়গাতেই সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।"
তিনি আরও বলেন, "হাতিয়ার উন্নয়ন শুধু একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিষয় নয়। এটা আমার ব্যক্তিগত অঙ্গীকার। বিশেষ করে নদীভাঙন রোধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে যাচ্ছি, কারণ বাড়িঘর হারানোর কষ্ট আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। মানুষের চোখের জল মুছতে, তাদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে আমি সবসময় চেষ্টা করছি, সামনে আরও জোরদারভাবে কাজ করতে চাই।"
হান্নান মাসউদ বলেন, "রাজনীতি আমার কাছে ক্ষমতা বা পদ লাভের বিষয় নয়, এটা মানুষের সেবা করার সুযোগ। জনগণই আমার শক্তি, আমার অনুপ্রেরণা। তারা যে বিশ্বাস আমাকে দিয়েছেন, আমি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা আমৃত্যু রক্ষা করবো ইনশাআল্লাহ। হাতিয়ার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে আমি সর্বদা নিবেদিত থাকব। তাদের রায়কে আমি আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধা করি এবং বিশ্বাস করি, একসঙ্গে আমরা একটি উন্নত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ হাতিয়া গড়ে তুলতে পারব।"