ইসকন নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবিতে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ


ইসকন নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবিতে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর ইসকন নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন। সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা বিভিন্ন অভিযোগ ও দাবি তুলে ধরে সরকারের নীরবতার তীব্র সমালোচনা করেন।

বিক্ষোভে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মেহেদী হাসান, সদস্য আহমেদ রফিক এবং ইসলামি বক্তা মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রহমানী বক্তব্য দেন। তারা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে টঙ্গীতে এক ইমামের গুম, গাজীপুরে ধর্ষণ মামলা, এবং এসব ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বক্তারা রাষ্ট্রীয় নীরবতাকে “অবমাননাকর ও অন্যায্য” বলে মন্তব্য করেন।

সমাবেশে সংগঠনটি ছয়টি দাবি উপস্থাপন করে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: গাজীপুর ধর্ষণ ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ বিভাগের প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করা; টঙ্গীতে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালিয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া; রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলামবিদ্বেষ রোধে জাতীয় নীতি প্রণয়ন; মুসলিম নারীর নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষায় সুনির্দিষ্ট আইন তৈরি; এবং ইসলামবিদ্বেষ-বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ইমাম ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

বক্তব্যে আহমেদ রফিক বলেন, “ইসকনের বিরুদ্ধে কথা বলায় এক খতিবকে অপহরণ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় রাষ্ট্র চুপ করে আছে, প্রশাসন অপরাধীদের রক্ষা করছে। সুশীল সমাজ বা রাজনীতিবিদদের কেউই দায়িত্ব নিচ্ছে না।”

মুহাম্মদ জসীমউদ্দিন রহমানী বলেন, “ইসকন কোনো ধর্মীয় সংগঠন নয়, এটি ইহুদি প্রভাবিত উগ্রবাদী গোষ্ঠী, যারা একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে।”

ডা. মেহেদী হাসান বলেন, “আমরা বিচারের দাবিতে এসেছি। সরকার ন্যায়বিচার করলে আমরা শান্ত থাকব, কিন্তু বর্তমানে আমরা বিচার নয়, প্রহসন দেখছি। এমন গুরুতর ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও কোনো বক্তব্য নেই।”

সমাবেশ শেষে অংশগ্রহণকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে অগ্রসর হন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×