আগারগাঁওয়ের ভাইরাল ‘কেক পট্টি’ বন্ধের নির্দেশ


আগারগাঁওয়ের ভাইরাল ‘কেক পট্টি’ বন্ধের নির্দেশ
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তরুণ উদ্যোক্তাদের তৈরি ভাইরাল ‘কেক পট্টি’ আপাতত আর থাকছে না। ভিড় ও যানজটের অভিযোগে শুক্রবার, ৯ অক্টোবর থেকে নির্বাচন কমিশন ভবন এলাকায় সবধরনের ভাসমান দোকান বন্ধে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।

নগরবাসীর চোখে যেন নতুন এক আকর্ষণ হয়ে উঠেছিল ‘কেক পট্টি’। আগারগাঁওয়ের মেট্রো স্টেশনের পাশে কয়েকজন তরুণ-তরুণীর হাতে তৈরি কেক বিক্রি দিয়ে যার শুরু, সেই স্থানটি দ্রুতই রূপ নেয় ব্যতিক্রমধর্মী এক মিলনমেলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর জোড়ে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই অস্থায়ী আয়োজন। ইউটিউব ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া নানা কনটেন্টে উদ্বুদ্ধ হয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেকপ্রেমীরা ভিড় করতে শুরু করে এখানে।

কিন্তু এই জনপ্রিয়তার আড়ালে জমে ওঠে একাধিক অভিযোগ। যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা, ট্রাফিক জট এবং পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন তৈরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ একাধিকবার অভিযোগ জানানো হয়। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে এলাকাটিতে ভ্রাম্যমাণ দোকান স্থাপন পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক বলেন, "এখানে কেক পট্টি আছে কি না, তা আমরা জানি না। আমরা জানি– নির্বাচন কমিশনসহ এ এলাকায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অফিস রয়েছে। আর এসব অফিসে যাওয়ার রাস্তায় এসব দোকানপাট অবৈধভাবে বসেছে। যার ফলে যাতায়াতে প্রচুর সমস্যা হয় এবং সবসময় রাস্তায় যানজট লেগে থাকে।"

তিনি আরও জানান, "এ নিয়ে জনগণের অনেক ক্ষোভ আছে এবং আমাদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা সেখানে গিয়ে এসব দোকানদারদের বলে দিয়েছি এবং তাদের সরে যাওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। আগামীকাল থেকে এখানে কোনো দোকানপাট বসানো যাবে না।"

ওসি ইমাউল হক জানান, সরাসরি সাধারণ জনগণ থেকেই অভিযোগ আসছিল, এমনকি ৯৯৯ নম্বরেও একাধিকবার ফোন করে তারা সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে দ্বিধার বিষয়ও তুলে ধরেন তিনি। "কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে জনগণই আমাদের অভিযোগ জানাচ্ছে, তাদের অসুবিধা হচ্ছে। আবার তারাই ওখানে বসে গিয়ে খাবার খাচ্ছে, মোটরসাইকেল রেখে পার্কিং বানিয়ে ফেলছে। এসব অবৈধ দোকান পাট যেন রাস্তায় না থাকে, এর জন্য তো জনগণকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। তারা যদি অভিযোগ করে আবার তারাই গিয়ে যদি এসব দোকানপাটে খাওয়া দাওয়া করে, তাহলে কীভাবে হবে?"

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন ভবন পর্যন্ত পুরো সড়কজুড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছিল কেক বিক্রির এ আয়োজন। তবে আপাতত সেই চিত্র বদলে যাচ্ছে। পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ থেকেই পুরো এলাকাটি ভাসমান দোকানমুক্ত থাকবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×