রংপুরে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ৮ রোগী শনাক্ত
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:১৪ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় আট জন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এছাড়া মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলাতেও অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে আরও কিছু রোগী পাওয়া গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গে পীরগাছায় দুজনের মৃত্যু হয় এবং তখন চারটি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হন। প্রাণিসম্পদ বিভাগ পরীক্ষায় অসুস্থ গরুর মাংসে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত করে। এরপর আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পীরগাছা সদর ও পারুল ইউনিয়নের ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। এতে ৮ জনের দেহে অ্যানথ্রাক্সের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়।
আইইডিসিআর জানায়, সংক্রমিতদের কেউ কেউ ফ্রিজে রাখা গরুর মাংস খেয়েছেন এবং এক ব্যক্তি অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত ছাগলের মাংসের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, উপসর্গ নিয়ে অন্তত ৩০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। আরও ২০ জন বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুহাম্মদ তানভীর হাসনাত। তিনি বলেন, "সব মিলে ৫০ জন রোগীর তথ্য আমাদের কাছে আছে। কিছুদিন আগে আক্রান্ত এলাকায় মেডিক্যাল টিম গিয়েছিল, যারা আক্রান্ত, তারা যাতে শঙ্কিত না হন, এ জন্য সচেতন করতে। সেখানে ১৫-২০ জন রোগীর দেখা হয়েছে, যাদের ৯০ শতাংশ সুস্থ হয়েছেন।"
চিকিৎসকরা জানান, গবাদিপশুর শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত, মাংস, হাড় বা নাড়িভুঁড়ির সংস্পর্শে এলে মানুষ আক্রান্ত হয়। এই রোগ গবাদিপশু থেকে ছড়ালেও মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। প্রধান লক্ষণ হলো চামড়ায় ঘা সৃষ্টি। গরু ও ছাগলকে প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার তাগিদ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, পীরগাছার পর কাউনিয়া ও মিঠাপুকুরেও একই উপসর্গের রোগী মিলেছে। আরও আট জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ গবাদিপশু জবাই ও এদের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দেউতি, পূর্ব পারুল, আনন্দী ধনীরামসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে গত দুই মাসে শতাধিক গবাদিপশু মারা গেছে।