আওয়ামী লীগ আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করেছেন, ১৯৭১ সালের গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকারী হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগ আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তিনি বলেছেন, “আমরা ওই প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছি।”

শহীদ জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত এনসিপি সুনামগঞ্জ জেলা ও উপজেলার কমিটির সমন্বয় সভার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ হয়েছে। বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের দল হিসেবে বিচার হতে হবে এবং তারা নিষিদ্ধ হবেন। যারা বিপ্লবের জন্য লড়াই করেছে, আন্দোলনের পক্ষে ছিল, ছাত্রজনতা এবং ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে কোনোদিন কোনো দেশের রাজনৈতিক কাঠামোয় মিলিত হওয়া সম্ভব নয়।”

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “যদি কেউ আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিরোধীদল বানানোর বা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর মতো ভেতরভিতর সমঝোতার চেষ্টা করে, জনগণ তা বয়কট করবে। এই চিন্তা বন্ধ করতে হবে।”

সারজিস আলম বলেন, “মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়া মানে জনগণের বিশ্বাসঘাতকতা করা। ভবিষ্যতের বাংলাদেশে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। ভারতীয় আধিপত্যের প্রভাবের মধ্যে আর কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকবে না। ভারতীয় আশীর্বাদে কেউ ক্ষমতায় বসতে পারবে না। কোনো রাজনৈতিক দলকে ছোট বা অবমূল্যায়ন করলে তার ফল আগামীর বাংলাদেশে ভালো হবে না।”

তিনি আরও জানান, এনসিপি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং জানিয়েছে, “সুনামগঞ্জে যারা জুলাই বা তার আগে বিভিন্ন অন্যায় কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না এবং কোনো অপরাধী যেন পার পায় না। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, সুনামগঞ্জে মামলা নিয়ে বাণিজ্য যেন না হয়।”

সমন্বয় সভায় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক, যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাস, সুনামগঞ্জ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী সুমনসহ জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।