বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০১:১৩ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পশ্চিম বাঁশখালীর দারুল ইসলাহ দাখিল মাদরাসা মসজিদে ছাত্রশিবিরের একটি বৈঠকে ছাত্রদল হামলা চালায়। এ সময় শিবিরকর্মী রাকিব আহত হন। জামায়াতের দাবি, বৈঠকটি ছিল পবিত্র কোরআন ক্লাসের অংশ।
অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিবিরের ওই বৈঠকে বিএনপি ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় ছাত্রদল প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে প্রথম ধাপে সংঘর্ষে জামায়াত-শিবিরের অন্তত তিনজন আহত হন। পরে রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসার জন্য মোশাররফ আলী হাটে বৈঠকে বসার সময় আবারও সংঘর্ষ বাধে। এ সময়ও চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, যা রাত ১১টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন - চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক নয়নমণি, স্থানীয় ছাত্রদল কর্মী মো. তায়েব, এনামুল হক ও তানভীর হাসান এবং ছাত্রশিবিরের বাঁশখালী উত্তর শাখার সেক্রেটারি আজগর হোসাইন ও জামায়াত কর্মী মো. রাকিব।
বাহারছড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হাসান আজাদ বলেন, “মাদরাসা ছুটির পর বিকেলে পাশের মসজিদে পবিত্র কোরআন ক্লাসের আয়োজন করেছিল শিবির। সেখানে ছাত্রদল হামলা করে রাকিব নামের আমাদের একজন কর্মীকে আহত করেছেন। রাতে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য গেলে সেখানেও আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আরও সাত থেকে আটজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।”
বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লোকমান আহমদ বলেন, “আমি জানতে পেরেছি, শিবিরের বৈঠকে বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের হামলায় আমাদের চার থেকে পাঁচজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।”
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, “জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।”