গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় ৬ আসামি গ্রেপ্তার
- গাজীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:৫২ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০২৫

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব এবং বাকিদের গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতভর গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাবনার চাটমোহনের পাঁচবারিয়া এলাকার ফয়সাল হাসান, কুমিল্লার হোমনার কাশিপুর এলাকার শাহ জালাল, সুমন, মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপি, আল আমিন এবং মো. স্বাধীন। এর মধ্যে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পুলিশ জানায়, তিনজনকে সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত করা গেছে এবং তারা একটি ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য।
শনিবার সকালে র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্প কমান্ডার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্বাধীন প্রাথমিকভাবে অপরাধের দায় স্বীকার করেছে।
পরে দুপুরে জিএমপি কার্যালয়ে কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান জানান, গোলাপীর হানিট্রাপে পড়ে ব্যাংক থেকে টাকা তোলা বাদশাহর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে সে। এ দৃশ্য ভিডিও করেন সাংবাদিক তুহিন। বিষয়টি টের পেয়ে আসামিরা ভিডিও মুছে ফেলতে বলে। তুহিন রাজি না হলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
কমিশনার আরও জানান, পিএম রিপোর্ট হাতে পেলেই ১৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দেওয়া হবে এবং দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, সাজা কার্যকরের সংস্কৃতি নিশ্চিত করতে পারলে অপরাধ দমন সহজ হবে।
তিনি নিহত তুহিনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সাংবাদিকদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
এসময় তিনি উল্লেখ করেন, ৫ আগস্টের পর গাজীপুরে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মসংস্থান কমে গেছে, যার ফলে অপরাধ বেড়েছে। আগের রাজনৈতিক শক্তি গাজীপুরকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানীয়রা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় হানিট্র্যাপের মাধ্যমে ছিনতাইয়ের ঘটনা ভিডিও করায় খুন হন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন।