চট্টগ্রামে সেতু ভেঙে দ্বিখণ্ডিত, যান চলাচলে ভোগান্তি


চট্টগ্রামে সেতু ভেঙে দ্বিখণ্ডিত, যান চলাচলে ভোগান্তি

চট্টগ্রাম নগরীর ব্যস্ত বায়েজিদ বোস্তামী সড়কে একটি সেতুর একপাশে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে, যা কার্যত সেটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। স্টারশিপ গলিরমুখে অবস্থিত এই সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি নগরীর ২ নম্বর গেইট থেকে অক্সিজেনমুখী দিকের যান চলাচলের জন্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্য পাশ দিয়ে সীমিতভাবে যান চললেও, এতে সড়কে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে সেতুটি আংশিক ধসে পড়ে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কাঠামোর বর্তমান অবস্থা এমন যে, এটি পুনরায় নির্মাণ ছাড়া কার্যকরভাবে মেরামত সম্ভব নয়।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিফাতুল করিম চৌধুরী বলেন, "শীতল ঝর্ণা খালের উপর ইটের তৈরি সেতুটি ১৯৮০ সালের দিকে নির্মিত বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় শীতল ঝর্ণা খালের সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এতে খালের প্রস্থ বাড়ায় পানির স্রোতে সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। এখন এটি পুনর্নির্মাণ করতে হবে।"

সেতুর একপাশ ভেঙে পড়ায় পুরো বায়েজিদ বোস্তামী সড়কে যান চলাচলে চরম বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নাসিরাবাদ ও ষোলশহর শিল্প এলাকার অসংখ্য শ্রমিক যাতায়াত করেন। পাশাপাশি হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজানসহ উত্তর চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য অঞ্চলের রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির সাথে সংযোগ স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এটি।

চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের শিক্ষক মনসুর নবী বলেন, "সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য বের হয়ে দেখি বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের সেতুটি ভেঙে গেছে। এরমধ্যে খবর পাই অতি বৃষ্টির কারণে কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বাসায় ফিরে এসেছি। গাড়ি একপাশ দিয়ে চলাচল করায় যানজট তৈরি হয়েছে। সেতুর অন্য অংশও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।"

ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি দ্রুত পুনর্নির্মাণ না করলে যোগাযোগব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×