কিশোরীকে মোবাইল টাওয়ারে উঠিয়েছে ‘জিন’!
- পটুয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১১:৩০ এম, ১৬ জুন ২০২৫

পটুয়াখালী দশমিনায় গ্রামীন ফোনের টাওয়ার থেকে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর মোসা. সীমা বেগম (১৫) নামের এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
রোববার (১৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার হওয়া মোসা. সীমা বেগম উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামের মো. জাহঙ্গীর সন্যামতের বড় মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোসা. সীমা বেগম মানসিক ভারসম্যহীন। মাঝে মধ্যেই সে বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। গত শনিবার সন্ধ্যার সময় সীমা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে বাবা-মা ও আত্নীয়স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাত ৯টায় মাইকিং করে হারানোর খবর প্রচার করেন। রোববার সকাল ১১টায় এক অটোরিকশা চালক বেতাগী বাজারের পশ্চিম পাশে গ্রামীন ফোনের টাওয়ারে চূড়ায় কোনো একজনকে দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়দের জানালে তারা দশমিনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসে ফোন করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে ওই কিশোরীকে তারা উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর সীমার বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তার মেয়ে বলে শনাক্ত করেন। পরে তার কাছে সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হস্তান্তর করেন।
সীমার বাবা মো. জাহাঙ্গীর সন্যামত জানান, তার মেয়ে সীমার সঙ্গে জিনপরি আছে। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় তাকে জিনেরা নিয়ে যায়। এর আগে মাদার গাছ ও বট গাছ থেকে বহুবার উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও এর আগে অনেকবার সে নিখোঁজ হয়েছে। ৭-৮ দিন পর বাউফল ও গলাচিপা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তাকে অনেক ডাক্তার এবং হুজুর দেখানো হয়েছে।
দশমিনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের অফিসে রোববার সকাল সোয়া ১১টার ৯৯৯ এবং স্থানীয়রা ফোন করে বিষয়টি জানালে আমরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করি। বৃষ্টির কারণে আমাদের উদ্ধার কাজে সমস্যা হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর ঐ কিশোরীকে উদ্ধার করি।