কারখানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, বিক্ষোভে রণক্ষেত্র শ্রীপুর
- গাজীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০১:৩১ পিএম, ০৩ জুন ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় একটি কারখানার আটতলা ভবনের ছাদ থেকে কর্তৃপক্ষের ‘অপমানে’ লাফিয়ে পড়ে জাকির হোসেন (২৫) নামে এক শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সহকর্মী, শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল করে কারখানা ভাঙচুর ও আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে।
এ সময় পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৯টায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এই ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেলা ১১টা নাগাদ সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত আছেন। কারখানার ভেতরে অবস্থান করছেন বিপুল সংখ্যক শ্রমিক।
নিহত জাকির হোসেন নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাদেচিরাম গ্রামের মোক্তার উদ্দিনের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের ডিবিএল গ্রুপের জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের নতুন বাজার এলাকার জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিক জাকির হোসেন কারখানার ছাদের ওপর থেকে লাফিয়ে পড়েন। অ্যাম্বুলেন্সযোগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাকিরকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যুর খবর কারখানায় পৌঁছলে সহকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
নিহত ওই শ্রমিককে বকাঝকা করা হয়েছে এমন দাবি করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে তারা কারখানা ভাঙচুর ও আঞ্চলিক সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে। এসময় শ্রমিক ও পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে তাদের শত্রুর ভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে চাইলে তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা হয়েছে। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী রয়েছে।